প্রধান প্রতিবেদক:
প্রত্যাবাসন ইস্যুতে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে এসেছেন মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটে নাফনদী হয়ে বাংলাদেশের টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটিঘাটে পৌঁছলে বাংলাদেশের পক্ষে তাদের স্বাগত জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা। পরে সেখান থেকে প্রতিনিধিদল যান টেকনাফ কেরুনতলী প্রত্যাবাসন ঘাটে।
সেখানে রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলবেন তারা। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ১৪ জন। তারা কেরুনতলী প্রত্যাবাসন ঘাটে দুইদিন কথা বলবেন রোহিঙ্গাদের সাথে৷ পরে শুক্রবার বিকেলে তাদের মিয়ানমার ফেরত যাওয়ার কথা রয়েছে। কেরুনতলী ঘাটে ইতোমধ্যে বেশকিছু রোহিঙ্গাকে নিয়ে আসা হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ মার্চ প্রত্যাবাসন ইস্যুতে চার শতাধিক রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য এসেছিলেন। এরপর গত চলতি গেলো ৫ মে ২০ জন রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ দেখতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও রোহিঙ্গারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
তবে আশা করা হচ্ছে শিগগিরই ১ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে।
জানা গেছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আট লাখ ৮৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর তালিকা মিয়ানমারের কাছে পাঠিয়েছিল।
এরপর মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ৬৮,০০০ রোহিঙ্গার একটি ফিরতি তালিকা পাঠানো হয়।
গত বছর জানুয়ারিতে ওই তালিকা থেকে পরিবারভিত্তিক প্রত্যাবাসনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১১৪০ জনকে বাছাই করা হয় পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে।
এর মধ্যে ৭১১ জন রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমার সম্মতি দিলেও বাকি ৪২৯ জনের ব্যাপারে তাদের আপত্তি ছিল।
সেই ৪২৯ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই করতেই মিয়ানমারের ১৭ জন সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছেন।