Friday, May 17, 2024

নারী উদ্যোক্তা মেলায় ‘ক্রাশ খাইলাম ‘ স্টল

সাইফুল আফ্রিদি.

কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে চলছে নারী উদ্যোক্তা মেলা। ৮ মার্চ মেলায় ঘুরতে গিয়ে দেখা মিলে নারীদের হাতে বানানো পিঠা পুলি, হস্তশিল্পের নানান দোকান । তাদের বেশিরভাগই নতুন উদ্যোক্তা। ঘরে বসেই এসব জিনিসপত্র বানায় তারা। অফলাইনে অনলাইনে সেল করে সেসব পণ্য। শখের বানানো সেসব জিনিস স্টলের সামনে সাজিয়ে রেখেছে। স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখতেই চোখ আটকে ‘ক্রাশ খাইলাম’ এক দোকানে। আসলেই ক্রাশ খেয়েছি তা না, ওই স্টলের নামই বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে’ ক্রাশ খাইলাম’। দোকানটিতে প্লেকার্ডে লেখা রয়েছে কারণে অকারণে ক্রাশ খাওয়া বারণ। ক্রাশ খাওয়া বারণ থাকলেও অনেকেই ক্রাশ খাচ্ছে এই দোকানের ওপর।

ভেলপুরি এই স্টলের প্রধান আকর্ষণ। এক প্লেট ৩০ টাকা করে বিক্রি করছেন। পাশাপাশি ফুচকা, ছোলা বিরিয়ানি, লোভনীয় তেঁতুল আচার রয়েছে। মেয়েদের প্রিয় লোভনীয় এসব খাবারের প্রতি বরাবরই মেয়েদের ঝুঁকতে দেখা গেছে। অনেকেই দোকানটির ছবি তুলছেন। ক্রাশ খাইলাম স্টলের দোকানি নারী উদ্যোক্তা রোকসানা। তিনি জানান, এসব খাবারের ওপর যে কেউ ক্রাশ খায় তাই এর নাম দিয়েছি ক্রাশ খাইলাম। উদ্যোক্তা মেলায় এবারে প্রথম স্টল দিয়েছেন জানিয়ে বলেন, প্রতিদিন কক্সবাজার গার্ল স্কুলের সামনে তার এ ভেলপুরি বিক্রি করা হয়। তার পাশেই ‘নুসরাত কালেকশন’ নামে রয়েছে আরেকটি দোকান। সেখানে হাতে তৈরি পুলি পিঠা,পাকন পিঠা, আতিক্কা পিঠার সমাহার। এছাড়াও শপিং ব্যাগ তৈরি করে দোকান সাজিয়েছে তারা তিন বোন।

পাবলিক লাইব্রেরির প্রবেশপথের হাতের ডান পাশেই আকলিমা ও নজমুননেছার ‘স্বপ্ন কুটির’। খালা-ভাগনি দুজনের স্টল। তাদের স্টলে রয়েছে হাতে আঁকা কিছু ড্রয়িং। স্বপ্ন কুটিরে রয়েছে আঁকা নানান ছবি। এসব ছবিতে গ্রাম বাংলার নানা চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। এছাড়াও কিছু কাপড়ও ওই দোকানে রয়েছে। কিছু কাপড় নিজেদের তৈরি আবার কিছু বাইর থেকে কিনে এনে রেখেছেন বলে জানান। নারী উদ্যোক্তা নজমুননেছা জানিয়েছেন, তাদের একটি অনলাইন পেইজও আছে। পেইজের নাম ‘novikas fashion’। তারাও উদ্যোক্তা মেলায় প্রথমবার স্টল দিয়েছেন। অনলাইনে টুকটাক অর্ডার হয় এবং বাড়ি থেকে এসব বিক্রি করা হয় প্রতিবেশী আত্নীয়দের।

স্বপ্ন কুটিরের কয়েক দোকান পরেই ‘আনজুমান বুটিকস’। এই দোকানে হাতে তৈরি পুঁতির কারুকাজের ব্যাগ, পুঁতির তৈরি ঝাঁড়, পুঁতির তৈরি টিস্যু হোল্ডার, পুঁতির টিস্যু রাখার ব্যাগ ও পুঁতির মালা রয়েছে। পুঁতির একটা ঝাঁড়ের দাম ৫ হাজার টাকা জানিয়েছেন দোকানি। ৪ হাজার হলেই দিয়ে দিবে বলে জানান দোকানি আনজুমান। আনজুমানও তার এসব হস্তশিল্পের জিনিসপত্র বাড়িতে বিক্রি করেন বলে জানান। তার এসব পণ্যের চাহিদাও বেশ ভালো বলে জানান।

এসব নারী উদ্যোক্তারা জানান আমাদের হাতে তৈরি জিনিসপত্রগুলো পছন্দ করেন ট্যুরিস্টরাও। এখনো এসব জিনিস বাড়ি থেকেই বিক্রি করি। সামনে বড় পরিসরে করার ইচ্ছে আছে।

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page