নিজস্ব প্রতিবেদক:
৩ কোটি ৪২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে শাহজাহান আনসারীকে সস্ত্রীক কারাগারে প্রেরণ করেছে কক্সবাজার আদালত।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের দায়ের করা মামলায় শুনানী শেষে জামিন না মঞ্জুর করে কক্সবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ মোঃ শাহীন উদ্দিন আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
কক্সবাজারে দায়িত্বরত দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের পিপি এডভোকেট আবদুর রহিম জানান, দুদকের মামলা নাম্বার ২ এবং ৩ এর আসামী শাহজাহান আনচারী এবং তার স্ত্রীর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে স্পেশাল জজ মো: শাহীন উদ্দিনের আদালত। ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকালে দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত আসামীদের না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, গত বছরের ২০ ডিসেম্বর তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইনে এজাহার দায়েরের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মামলার পর এজাহারকারী কর্মকর্তা বাদে অন্য কর্মকর্তাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে এজাহারের কপি, তদন্তকারী ও তদারককারী কর্মকর্তা নিয়োগের পত্র পাঠানোর জন্য কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালককে নির্দেশ দেয় কমিশন। পরে সে অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
শাহজাহান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে শাহজাহানকে উভয় মামলায় আসামি করা হলেও তাঁর স্ত্রীকে একটিতে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়েছে, দুদকের অনুসন্ধানকালে সংগৃহীত নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শাহজাহানের মোট সম্পদ ৩ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৭ টাকা। এর মধ্যে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৯৪ লাখ ১২ হাজার ৪৮০ টাকা। পাশাপাশি স্ত্রীর মোট সম্পদ ৮৮ লাখ ১০ হাজার ৮৯০ টাকা। এর মধ্যে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৬২৫ টাকার।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের হাতে আত্মসমর্পণ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ও আত্মস্বীকৃত ১০২ ইয়াবা কারবারি। তাদের মধ্যে অন্যতম শাহজাহান আনসারী। এর পরই শাহজাহান ও তাঁর পারিবারিক সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।