নিজস্ব প্রতিবেদক:
শাহ আলম, বয়স ৩৭। পেশায় ভ্যানচালক।সেন্টমার্টিনের ২ নং ওয়ার্ডের ডেইল পাড়ার বাসিন্দা। ঘূর্নিঝড় মোখায় তার বাড়িটি সম্পুর্ন ভেঙ্গে গেছে। তার পরিবারে বৃদ্ধ পিতা মাতা,তার স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ রয়েছে ৬ সদস্য। এখন সবাই আশ্রয় কেন্দ্রে। কোথায় যাবে, তার বাড়িতো ভেঙ্গে গেছে। কিন্ত আর কদিনইবা আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা যাবে, এর মধ্যে হাত যা ছিলো সব খরচ হয়ে গেছে। ভ্যান নিয়ে দুচার টাকার ভাড়া পেলে কেবল খাবারের জোগাড় করা যায়। ঘর ঠিকঠাক তো দূরহ ব্যাপার। শাহ আলম বলছিলেন,তার মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে, ঘর নতুন করে বাঁধতে গেলে মেয়ের পড়ালেখার খরচ হয়ত চালানো যাবে না। বড় আশা করে মেয়েকে পড়তে দিয়েছিলো নিজের মতো যেনো অশিক্ষিত হয়ে পড়ে থাকতে না হয়। সেই স্বপ্ন ফিকে হতে চলেছে তার। তার ভ্যানের চাকা চলতে থাকে,চাকার ভেতর ঘুরতে থাকে স্বপ্ন ভাঙ্গার শব্দ।
সেন্টমার্টিনে শাহ আলমের মতো প্রায় ৭০০ মানুষের ঘরবাড়ি প্রায় বিলীন হয়ে গেছে আরো ৫০০ বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
সোমবার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক সেন্টমার্টিনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে জানান,ক্ষতিগ্রস্থ সবাইকে পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে। যাদের ঘরবাড়ি সম্পুর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে তারা যাতে ঘর নির্মান করতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।