কক্সবাজারের উখিয়ায় ইয়াবা সহ মোহাম্মদ ইউনুস (২৮) নামে এক যুবক’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে পুলিশ বলছে ইয়াবার পরিমান মাত্র ৪ পিস। এ নিয়ে উখিয়া জুড়ে চলছে নানা গুঞ্জন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে সমালোচনা।
পুলিশ জানিয়েছে, উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাইন্যাশিয়া এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পেশায় খোলা তেল ব্যবসায়ী ইউনুস রাজাপালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাজী নুর আহম্মেদের ছেলে ও উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহীমের আপন ছোট ভাই।
গ্রেফতার প্রসঙ্গে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, ‘ এসআই সুমনের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। পরবর্তীতে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রজু করে আটক মাদক কারবারিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’
তবে এসআই সুমন’কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ ওসি সাহেব নিজেও অভিযানে ছিলেন। আমাদের কাছে ভিডিও,ছবি সংরক্ষিত আছে।’
পুলিশের ৪ পিস ইয়াবা উদ্ধারের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের হাস্যরস সৃষ্টির পাশাপাশি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ফেসবুক থেকে সংগৃহিত একটি স্ক্রিনশটে লেখা আছে, ‘ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা হয়ে গেলো রাজনৈতিক খেলায় হয়ে গেলো চারপিছ! হায়রে প্রশাসন’। কিন্তু এই অভিযোগের কোন সত্যতা মিলেনি।
অন্যদিকে ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্টে মিজান বাবু নামে এক যুবক মন্তব্য করেছেন, ‘এইটা পরিকল্পিত মনে হচ্ছে। ৪ পিস ইয়াবা নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হইছে। মানুষকে এইভাবে হয়রানি করা ঠিক না।’
একই পোস্টে এমডি জলিল মাহমুদ নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘ঐ পুলিশকে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হউক! তারমানে ১ টা ইয়াবাও এদিক থেকে যাচ্ছে না। চিন্তার বিষয় পুলিশ সততার সাথে…………..’
ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে ১ পিস ইয়াবার আনুমানিক ওজন হয় ০.১ গ্রাম সে হিসেবে ৪ পিস ইয়াবার পরিমাণ দাঁড়ায় মাত্র ০.৪ গ্রাম।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী,
ইয়াবা বা অ্যামফিটামিনের উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহন বা পরিবহন ও আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে—১০০ গ্রাম পর্যন্ত ইয়াবা পাওয়া গেলে ১ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া যাবে।
এছাড়া ইয়াবার পরিমাণ ১০০ থেকে ২০০ গ্রামের মধ্যে হলে ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া যাবে। ইয়াবার পরিমাণ ২০০ গ্রাম বা তার বেশি হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া যাবে।