ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
উখিয়া হাসপাতালের ২ টন ময়লা অপসারণ করলো বিডি ক্লিন টিম মাতারবাড়িতে শ্রমিক দলের সভাপতি মামুনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন মধ্যরাতে ইডেন গার্ডেনের ‘ছাদ থেকে পড়ে’ যুবকের মৃত্যু! বাঁকখালী নদীর তীরে পুনঃদখল উচ্ছেদে প্রশাসনের ফের অভিযান টেকনাফে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ নাফ নদীতে ২০২৬ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল ‘ট্রায়োন্ডা’ উন্মোচন ৩৯ জন নারী শিশু আটকে ছিলো পাহাড়ে! রাজা কংসনারায়ণের দূর্গা পূজা ও সমাজের ঐক্য ডিসেম্বরে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দেশে ফিরছেন সেফুদা! সু’মু’দ ফ্লো’টি’লা’য় পৌঁছে গেলো টিটিএনের সংবাদ, শহীদুল আলমের ফেসবুক পোস্ট.. জালিয়াপালংয়ে জেলা আমীর আনোয়ারী-“জামায়াতে ইসলামী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ” বিসর্জনের সুরে ‘ফিলিস্তিন মুক্তির’ প্রার্থনা টেকনাফে বিএনপি কার্যালয়ে র‍্যাবের অভিযান: ‘স্বৈরাচারী পদক্ষেপ’ বলছে স্থানীয় নেতারা বৈরি আবহাওয়াতেও কক্সবাজারে হোটেল রুম ‘সোল্ড আউট’ কক্সবাজারে চুরি হওয়া ৬৫ মোবাইলসহ কুমিল্লা থেকে ‘চোর’ গ্রেপ্তার
বিদেশ যাওয়ার প্রলোভন:

৩৯ জন নারী শিশু আটকে ছিলো পাহাড়ে!

অস্ত্রের মুখে জিম্মি, মুক্তিপণের দাবিতে পাহাড়ে আটকে রাখা হয়েছিল নারী ও শিশুসহ ৩৯ জনকে। বিদেশে পাঠানোর প্রলোভনে যারা ধরা দিয়েছিল মানবপাচারকারীদের ফাঁদে। অবশেষে রাতের আঁধারে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড। এসময় পাচারচক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়।

নৌবাহিনী জানায়, বুধবার গভীর রাতে গোপন সংবাদে বাহারছড়া ইউনিয়নের দুর্গম কচ্ছপিয়া পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে প্রবেশ করে নৌবাহিনীর বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াডস কমান্ডো দল এবং কোস্টগার্ডের সদস্যরা। অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালানোর চেষ্টা করলে দুইজনকে ধাওয়া করে আটক করা হয়।

পরে গহীন অরণ্যে চালানো হয় চিরুনি অভিযান। অন্ধকার পাহাড়ে ছড়িয়ে থাকা নারী-পুরুষ-শিশুরা আতঙ্কে লুকিয়ে ছিলেন। সেনাদের দেখা পেয়ে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। একে একে উদ্ধার করা হয় ১৮ জন রোহিঙ্গা নারী, ১১ জন রোহিঙ্গা পুরুষ, ৮ জন রোহিঙ্গা শিশু ও ২ জন বাঙালি পুরুষকে।

উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীরা জানান, পাচারকারীরা প্রথমে বিদেশে পাঠানোর আশ্বাস দেয়। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। কারো কারো কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থও হাতিয়ে নেয় তারা।

নৌবাহিনীর টেকনাফ কন্টিনজেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম মোহাইমিনুল হক মাহিম বলেন, “মানবপাচারকারীরা দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্ত এলাকায় সক্রিয়। তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করা হয়। আমাদের লক্ষ্য, মানবপাচার ও মাদকসহ যেকোনো অপরাধমূলক কার্যক্রম সম্পূর্ণ নির্মূল করা।”

উদ্ধার হওয়া সবাইকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আটক দুই পাচারকারীর বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

নৌবাহিনী জানিয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত যৌথ অভিযানে মোট ১৩৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় মানবপাচার রোধে এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

উখিয়া হাসপাতালের ২ টন ময়লা অপসারণ করলো বিডি ক্লিন টিম

This will close in 6 seconds

বিদেশ যাওয়ার প্রলোভন:

৩৯ জন নারী শিশু আটকে ছিলো পাহাড়ে!

আপডেট সময় : ০৪:৫০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

অস্ত্রের মুখে জিম্মি, মুক্তিপণের দাবিতে পাহাড়ে আটকে রাখা হয়েছিল নারী ও শিশুসহ ৩৯ জনকে। বিদেশে পাঠানোর প্রলোভনে যারা ধরা দিয়েছিল মানবপাচারকারীদের ফাঁদে। অবশেষে রাতের আঁধারে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড। এসময় পাচারচক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়।

নৌবাহিনী জানায়, বুধবার গভীর রাতে গোপন সংবাদে বাহারছড়া ইউনিয়নের দুর্গম কচ্ছপিয়া পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে প্রবেশ করে নৌবাহিনীর বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াডস কমান্ডো দল এবং কোস্টগার্ডের সদস্যরা। অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালানোর চেষ্টা করলে দুইজনকে ধাওয়া করে আটক করা হয়।

পরে গহীন অরণ্যে চালানো হয় চিরুনি অভিযান। অন্ধকার পাহাড়ে ছড়িয়ে থাকা নারী-পুরুষ-শিশুরা আতঙ্কে লুকিয়ে ছিলেন। সেনাদের দেখা পেয়ে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। একে একে উদ্ধার করা হয় ১৮ জন রোহিঙ্গা নারী, ১১ জন রোহিঙ্গা পুরুষ, ৮ জন রোহিঙ্গা শিশু ও ২ জন বাঙালি পুরুষকে।

উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীরা জানান, পাচারকারীরা প্রথমে বিদেশে পাঠানোর আশ্বাস দেয়। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। কারো কারো কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থও হাতিয়ে নেয় তারা।

নৌবাহিনীর টেকনাফ কন্টিনজেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম মোহাইমিনুল হক মাহিম বলেন, “মানবপাচারকারীরা দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্ত এলাকায় সক্রিয়। তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করা হয়। আমাদের লক্ষ্য, মানবপাচার ও মাদকসহ যেকোনো অপরাধমূলক কার্যক্রম সম্পূর্ণ নির্মূল করা।”

উদ্ধার হওয়া সবাইকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আটক দুই পাচারকারীর বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

নৌবাহিনী জানিয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত যৌথ অভিযানে মোট ১৩৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় মানবপাচার রোধে এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।