ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাংবাদিক সরওয়ার আজম মানিকের মায়ের জানাজা সম্পন্ন নির্বাচন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ: ‘উখিয়া স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতি’র অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন সাংবাদিক সরওয়ার আজম মানিকের মায়ের ইন্তেকাল: টিটিএনের শোক কক্সবাজারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না থাকা লজ্জাজনক- জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি হাসান হাফিজ চকরিয়ায় কাভার্ডভ্যানের নিচে মোটর সাইকেল: নিহত-২ প্রার্থী চুড়ান্ত করা ,তারেক জিয়ার দেশে ফেরা, এনসিপির সাথে জোট প্রসঙ্গে যা বললেন সালাউদ্দিন আহমেদ প্রস্তুতি ছিলো চুড়ান্ত: আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উড়ার আগেই স্থগিত স্বীকৃতি ঘোষণার ১১ দিনের মাথায় ‘আন্তর্জাতিক’ স্বীকৃতি হারাল কক্সবাজার বিমানবন্দর বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে কোস্টগার্ডের অভিযান: নারী ও শিশুসহ ৪৪ অ’প’হৃ’ত উদ্ধার শাশুড়ির ১২ লাখ টাকার কিলারে খুন হন সালমান শাহ! যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কখনো মাথা নত করব না—কেন হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন দুদিন পতনের পর স্বর্ণের দাম আবার ঊর্ধ্বমুখী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পদত্যাগের গুঞ্জন, যা বললো এনসিপি এনসিপি থেকে পদত্যাগ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর খুটাখালীতে চাঁ’দার টাকায় অতিষ্ঠ লবণ চাষীরা : প্রতিবাদে মানববন্ধন

২০২৬ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল ‘ট্রায়োন্ডা’ উন্মোচন

২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের জন্য নতুন অফিসিয়াল বল হিসেবে “ট্রায়োন্ডা” উন্মোচন করা হয়েছে। আয়োজক তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর ঐক্য ও প্রতীককে ফুটিয়ে তুলতেই এর নকশা করা হয়েছে। উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান, কাফু, আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো, জাভি হার্নান্দেজ ও জিনেদিন জিদানসহ পাঁচজন বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি ফুটবলার। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলটিকে গর্বের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, অ্যাডিডাস আবারও প্রযুক্তি ও নকশার দিক থেকে ভিন্নধর্মী এক অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে।

“ট্রায়োন্ডা” নামটি এসেছে দুটি শব্দ থেকে—‘ট্রাই’ (তিন) ও ‘ওন্ডা’ (ঢেউ)। এর নকশায় যুক্তরাষ্ট্রের তারকা, কানাডার ম্যাপল পাতা এবং মেক্সিকোর ঈগলকে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। লাল, সবুজ ও নীল রঙে আঁকা ঢেউময় নকশা তিন আয়োজক দেশকে একসাথে ধারণ করছে, সঙ্গে রয়েছে সোনালি ছোঁয়া, যা বিশ্বকাপ ট্রফির প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে।

বলটি চার-প্যানেল প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি, যা খেলার সময় গতি ও স্থিতিশীলতা বাড়ায়। বিশেষ খোদাইয়ের কারণে ভিজে থাকলেও বলের গ্রিপ অটুট থাকে। এ ছাড়া বলটির ভেতরে যুক্ত হয়েছে ৫০০ হের্জ সেন্সর, যা রিয়েলটাইম তথ্য দেবে। এর ফলে VAR ব্যবহারের সময় অফসাইড, হ্যান্ডবল কিংবা ফাউল দ্রুত ও সঠিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

বিশ্বকাপের বল নিয়ে ইতিহাসে নানা আলোচনার জন্ম হয়েছে। ১৯৭০ সালে প্রথমবার অ্যাডিডাস বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল তৈরি করে, নাম ছিল “টেলস্টার”। সাদা-কালো নকশার সেই বল ফুটবলের প্রতীক হয়ে ওঠে। এরপর “ট্যাঙ্গো”, “ফিভারনোভা”, “টিমগাইস্ট”, “জাবুলানি”, “ব্রাজুকা” থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক “আল রিহলা”—প্রতিটি বলের নকশা সময়ের প্রযুক্তি ও সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলেছে। বিশেষ করে ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ব্যবহৃত “জাবুলানি” বিতর্কিত হলেও এটি ফুটবল ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। নতুন ট্রায়োন্ডা তাই শুধু খেলার সরঞ্জাম নয়, বরং ফুটবলের ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতারই সর্বশেষ সংযোজন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক সরওয়ার আজম মানিকের মায়ের জানাজা সম্পন্ন

This will close in 6 seconds

২০২৬ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল ‘ট্রায়োন্ডা’ উন্মোচন

আপডেট সময় : ০৫:১২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের জন্য নতুন অফিসিয়াল বল হিসেবে “ট্রায়োন্ডা” উন্মোচন করা হয়েছে। আয়োজক তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর ঐক্য ও প্রতীককে ফুটিয়ে তুলতেই এর নকশা করা হয়েছে। উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান, কাফু, আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো, জাভি হার্নান্দেজ ও জিনেদিন জিদানসহ পাঁচজন বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি ফুটবলার। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলটিকে গর্বের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, অ্যাডিডাস আবারও প্রযুক্তি ও নকশার দিক থেকে ভিন্নধর্মী এক অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে।

“ট্রায়োন্ডা” নামটি এসেছে দুটি শব্দ থেকে—‘ট্রাই’ (তিন) ও ‘ওন্ডা’ (ঢেউ)। এর নকশায় যুক্তরাষ্ট্রের তারকা, কানাডার ম্যাপল পাতা এবং মেক্সিকোর ঈগলকে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। লাল, সবুজ ও নীল রঙে আঁকা ঢেউময় নকশা তিন আয়োজক দেশকে একসাথে ধারণ করছে, সঙ্গে রয়েছে সোনালি ছোঁয়া, যা বিশ্বকাপ ট্রফির প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে।

বলটি চার-প্যানেল প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি, যা খেলার সময় গতি ও স্থিতিশীলতা বাড়ায়। বিশেষ খোদাইয়ের কারণে ভিজে থাকলেও বলের গ্রিপ অটুট থাকে। এ ছাড়া বলটির ভেতরে যুক্ত হয়েছে ৫০০ হের্জ সেন্সর, যা রিয়েলটাইম তথ্য দেবে। এর ফলে VAR ব্যবহারের সময় অফসাইড, হ্যান্ডবল কিংবা ফাউল দ্রুত ও সঠিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

বিশ্বকাপের বল নিয়ে ইতিহাসে নানা আলোচনার জন্ম হয়েছে। ১৯৭০ সালে প্রথমবার অ্যাডিডাস বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল তৈরি করে, নাম ছিল “টেলস্টার”। সাদা-কালো নকশার সেই বল ফুটবলের প্রতীক হয়ে ওঠে। এরপর “ট্যাঙ্গো”, “ফিভারনোভা”, “টিমগাইস্ট”, “জাবুলানি”, “ব্রাজুকা” থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক “আল রিহলা”—প্রতিটি বলের নকশা সময়ের প্রযুক্তি ও সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলেছে। বিশেষ করে ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ব্যবহৃত “জাবুলানি” বিতর্কিত হলেও এটি ফুটবল ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। নতুন ট্রায়োন্ডা তাই শুধু খেলার সরঞ্জাম নয়, বরং ফুটবলের ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতারই সর্বশেষ সংযোজন।