ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালপুরের ‘যৌনপল্লী’ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প – মাদকের এডি দিদারুলের যত অপকর্ম! সাংবাদিককে ফাঁসাতে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লাইভ নাটক! “আমার বোনের কান্না, আর না-আর না” পেকুয়ার বানৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাঁটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বানৌজা পেকুয়া পেকুয়ার নৌঘাঁটি সহ সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা-স্থাপনার নাম পরিবর্তন ধর্ম উপদেষ্টা কক্সবাজার আসছেন সোমবার: জেলা মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন চকরিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান: ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা মব ভায়োল্যান্স সৃষ্টিকারী সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: মাহফুজ আলম ব্যারিস্টার সাফফাত ফারদিন চৌধুরী – মরিচ্যাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন সভাপতি রিজার্ভ এখন ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার ধর্ষণের মামলা ৯০ দিনে শেষ করতে আইন হচ্ছে : উপদেষ্টা বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হলেন কাজল বদরখালীতে মহেশখালী পারাপারের গাড়ি যখন ইচ্ছে আটকে দিচ্ছে কতিপয় লোকজন কন্যা শিশুদের সাথে লেডিস ক্লাব, কক্সবাজারের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উখিয়ায় পরিত্যক্ত ব্যাগে মিললো ৫০ হাজার ইয়াবা

১৫ দিনে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার ৮০৭৯

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচালিত অপারেশন ডেভিল হান্টে সারাদেশ থেকে আরও ৭৬৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে শুরু করে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত ১৫ দিনে এ নিয়ে মোট ৮ হাজার ৭৯ জনকে গ্রেফতার করা হলো অপারেশন ডেভিল হান্টে।

শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের আওতায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৬৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর অন্য মামলা ও ওয়ারেন্টের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৭২ জনকে। ২৪ ঘণ্টায় মোট গ্রেফতার হয়েছেন ১ হাজার ৩৪১ জন।

২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্টে উদ্ধার যত অস্ত্র :

দেশে তৈরি একনলা বন্দুক একটি, কার্তুজ দুইটি, রামদা চারটি, চাপাতি দুইটি, ছুরি একটি, এলজি একটি ও একটি কেঁচি উদ্ধার হয় বলে জানান এআইজি ইনামুল হক সাগর।

ডেভিল অর্থ হচ্ছে ‘শয়তান’ আর হান্ট অর্থ ‘শিকার’। ডেভিল হান্ট, যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘শয়তান শিকার’ করা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ডেভিল হান্ট বলতে দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনা বোঝানো হয়েছে।

অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বিশেষ অভিযান, যা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা করে আওয়ামী লীগের সমর্থক সন্ত্রাসীরা। এই হামলায় নেতৃত্ব দেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।

ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামক বিশেষ অভিযান শুরু হয়।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরের ‘যৌনপল্লী’ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প – মাদকের এডি দিদারুলের যত অপকর্ম!

This will close in 6 seconds

১৫ দিনে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার ৮০৭৯

আপডেট সময় : ০২:২৬:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচালিত অপারেশন ডেভিল হান্টে সারাদেশ থেকে আরও ৭৬৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে শুরু করে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত ১৫ দিনে এ নিয়ে মোট ৮ হাজার ৭৯ জনকে গ্রেফতার করা হলো অপারেশন ডেভিল হান্টে।

শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের আওতায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৬৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর অন্য মামলা ও ওয়ারেন্টের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৭২ জনকে। ২৪ ঘণ্টায় মোট গ্রেফতার হয়েছেন ১ হাজার ৩৪১ জন।

২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্টে উদ্ধার যত অস্ত্র :

দেশে তৈরি একনলা বন্দুক একটি, কার্তুজ দুইটি, রামদা চারটি, চাপাতি দুইটি, ছুরি একটি, এলজি একটি ও একটি কেঁচি উদ্ধার হয় বলে জানান এআইজি ইনামুল হক সাগর।

ডেভিল অর্থ হচ্ছে ‘শয়তান’ আর হান্ট অর্থ ‘শিকার’। ডেভিল হান্ট, যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘শয়তান শিকার’ করা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ডেভিল হান্ট বলতে দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনা বোঝানো হয়েছে।

অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বিশেষ অভিযান, যা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা করে আওয়ামী লীগের সমর্থক সন্ত্রাসীরা। এই হামলায় নেতৃত্ব দেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।

ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামক বিশেষ অভিযান শুরু হয়।