সেন্টমার্টিনে দুই দিনের পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কেওক্রাডং বাংলাদেশ।
অভিযানে স্থানীয় বাসিন্দা,স্কুল মাদরাসার শিক্ষার্থী,পর্যটকসহ পাঁচ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেয়।
ইউনিলিভার বাংলাদেশ এ উদ্যোগে সহযোগিতা করে। দুই দিনে প্রায় ১৮৫০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য দ্বীপ থেকে সংগ্রহ করে টেকনাফে নিয়ে আসা হয়।
কেওক্রাডং বাংলাদেশের সমন্বয়কারী মুনতাসির মামুন জানান, অলিগলি ও সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্লাস্টিক বোতল, প্যাকেটসহ বিভিন্ন অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সারা বছর সেন্ট মার্টিনে পর্যটক প্রবেশের সুযোগ রাখা হলেও তা সীমিত রাখলে পরিবেশের ওপর চাপ কমবে। এছাড়া দ্বীপে জমা প্লাস্টিক মূল ভূখণ্ডে না নিলে এর নেতিবাচক প্রভাব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছৈয়দ আলম জানান, গত ১৫ বছর ধরে কেওক্রাডং বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে দ্বীপ পরিষ্কারে কাজ করছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ।
তিনি বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের বর্জ্যে সৈকত নোংরা হয়ে গেলেও এই ধারাবাহিক পরিষ্কার কার্যক্রমের ফলে দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে।
কেওক্রাডং বাংলাদেশের সমনৃবয়কারি মুনতাসির মামুনের ভাষায়, আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা ছিল সামর্থ্য অনুযায়ী পরিবেশগত ক্ষতি কমানো।
প্রতিবছর কেওক্রাডং বাংলাদেশের উদ্যোগে সেন্টমার্টিনে পরিচালিত হয় পরিচ্ছন্নতা অভিযান। এটি ছিলো দ্বীপে পরিচালিত ১৫তম পরিচ্ছন্নতা অভিযান।
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















