৩৬ দিনের জুলাই আন্দোলনের কথা স্মরন করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তাফা সরওয়ার ফারুকী বলেন, সীমান্তে বর্ডার গার্ড বিজিবির সাথে জনগন যেভাবে এগিয়ে এসেছে এটাই আমাদের কালচার ও সংস্কৃতি। আন্দোলন পরবর্তী যেভাবে দুর্যোগে বন্যা মোকাবেলা, হিন্দুদের মন্দির পাহারায় এগিয়ে যাওয়া, রাস্তায় ছাত্রদের ট্রাফিকের কাজে সহযোগিতা করাই আমাদের কালচার সংস্কৃতি। দল মত নির্বিশেষে আমাদের ধরে রাখা উচিত।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেল ৫ টায় বাহারছড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা (গোল চত্বর) মাঠে বই মেলার উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা ফারুকী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, “দেশকে বদলানোর কাজ শুরু করেছি যার ফলে জনগনের চাওয়া ও চাহিদা বদলেছে। সামনে যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে সকলকে এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।”
“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” এই স্লোগানে কক্সবাজারে বৃহৎ পরিসরে ৯ দিনব্যাপি জেলা বই মেলা শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
প্রথম দিনেই কিশোর থেকে বৃদ্ধ সব বয়সি পাঠকের ভিড়ে জমে উঠে কক্সবাজার জেলা বইমেলা। এছাড়া এসেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তারাও স্টলে গিয়ে শিশু কিশোরের গল্পের বই এবং ছড়া ছন্দের বই পড়ে ব্যস্ত সময় কাটাছেন।
কক্সবাজার সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাফিয়া মেলায় ঘুরার অনুভুতি জানাতে গিয়ে বলেন,”আমি প্রথমবারের মতো বই মেলায় এসেছি। খুবই ভালো লাগছে। মন খারাপ থাকলে বই পড়ি বাসায় তবে এখন এখানে এসে বই পড়ছি সাথে মেলার আয়োজন দেখে আনন্দ লাগছে।”
মেলায় পাঞ্জেরির স্টলে গিয়ে দেখা যায় ভিড়। সেখানে দায়িত্বে থাকা রাহুল দাশ বলেন, “জেলা পর্যায়ের মেলা হিসেবে শুরু থেকেই ক্রেতাদের বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে অনেকগুলো বই অর্ডার করে নিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি শেষ পর্যন্ত ভালোই সাড়া মিলবে।”
সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের আয়োজনে মেলায় অংশ নিয়েছে ৫৯ প্রকাশনীর স্টল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাকিল আহমেদ, জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, জেলা জামায়াতের আমির নুর আহাম্মেদ আনোয়ারি।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, মুক্ত চিন্তা- মুক্ত চর্চা করার যে সুযোগ ও চিন্তা বাড়ানোর প্রয়াস, সেটিই বইমেলার সৌন্দর্য্য।
উদ্বোধন শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন পাঠক, পর্যটক ও স্থানীয় দর্শনার্থীরা। প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত মেলার পাশাপাশি কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।