‘সি-ট্রাকে নেই ডাস্টবিন: যাত্রীরা যত্রতত্র ফেলছে প্লাস্টিক বর্জ্য’ এই শিরোনামে সংবাদ প্রচার করেছিল দ্য টেরিটোরিয়্যাল নিউজ (টিটিএন)। এর আগে প্রতিবেদক বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে বিষয়টি অবগত করে সংবাদের জন্য মন্তব্য নেন ২৮ মে।
৩১ মে টিটিএনে সংবাদ প্রচারের পর কক্সবাজার-মহেশখালী নৌরুটে চলাচলকারী বিআইডব্লিউটিসি’র এস.টি ভাষা শহীদ জব্বার (C-1732) সি-ট্রাকে যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণের স্বাস্থ্যকর পরিবেশে যাতায়াত নিশ্চিত ও সি–ট্রাকে যত্রতত্র ফেলা বর্জ্যের কারণে নদী দূষণ রোধে দ্রুত পর্যাপ্ত পরিমাণ ডাস্টবিন ও জনসচেতনতামূলক স্টিকার সংযোজন করতে বিআইডব্লিউটিসি-কে নির্দেশ প্রদান করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
বিষয়টি টিটিএনকে নিশ্চিত করেছেন, বিআইডব্লিউটিএ’র কক্সবাজার নদীবন্দর (কস্তুরাঘাট) শাখার সহকারী পরিচালক মো. খায়রুজ্জামান।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, “প্রতিদিন সহস্রাধিক যাত্রী সি-ট্রাকের মাধ্যমে যাতায়ত করছে। অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে জানাতে হচ্ছে যাত্রী পারাপারে স্বস্তি আনলেও সি-ট্রাকে যাতায়তকারী যাত্রীগণের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নদী দূষণ হচ্ছে। যাত্রী সাধারণ যাতায়তকালীন বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা (চিপসের প্যাকেট, পানি/বেভারেজ ড্রিংকসের বোতল, পলিথিন ইত্যাদি) নদীতে ফেলছে। সি-ট্রাকে কর্তব্যরত কর্মচারীগণও ময়লা-আবর্জনা যথাযথ স্থানে না ফেলে নদীতে ফেলছে। যা নদী দূষণ করছে এবং পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরুপ। এ বিষয়ে সরেজমিনে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, সি-ট্রাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাস্টবিন নেই ও যাত্রী সাধারণও সুনির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার বিষয়ে উদাসীন।”
“এমতাবস্থায়, দ্রুত সি-ট্রাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডাস্টবিন ও জনসচেতনতামূলক স্টিকার সংযোজন করে যাত্রীসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করে নদী দূষণ রোধ ও সি-ট্রাকে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি নিশ্চিত করতে বলা হলো।”
গত ২৫ এপ্রিল থেকে মহেশখালী-কক্সবাজার নৌরুটে আনুষ্ঠানিকভাবে বিআইডব্লিউটিএ’র সি–ট্রাক সার্ভিস চলাচল শুরু হয়। এই নৌপথে ২৫০ জন যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সি–ট্রাক প্রতিদিন তিনবার করে যাওয়া-আসা করছে। মহেশখালী দ্বীপের প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষের নিরাপদ যাতায়াতের জন্য সি–ট্রাক হয়ে উঠেছে ভরসাস্থল।
মহেশখালী থেকে কক্সবাজার এবং কক্সবাজার থেকে মহেশখালী সি–ট্রাকে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘন্টা। এই দীর্ঘ সময়ে অবকাশ যাপনে যাত্রীরা নিজেদের সাথে নেন পানীয় এবং শুকনো খাবার। এসব খাবারের প্যাকেট ও প্লাস্টিকের পানীয় বোতল ফেলার জন্য সি–ট্রাকে নির্দিষ্ট ডাস্টবিন না থাকায় অনেকে তা ফেলতেন নদীতে। এতে করে সি–ট্রাকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের পাশাপাশি নদীতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি এবং নদী দূষণের আশংকা করা হচ্ছিল।