সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে কক্সবাজারে ১৩ বছর বয়সী মাদরাসা পড়ুয়া এক কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় হৃদয় হাসান বাবু (২২) নামের তরুন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ বলছে, বাবুই এ ঘটনার মুলহোতা।সে এই ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী।
পরিবারের দাবী মতে,সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার সেই কিশোরী পাঁচ দিন আইসিউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মারা যায়।
তার পরিবার বলছে, তারা যে ভাড়া বাসায় থাকতো সেই বাড়ির মালিকের সাথে কথা কথাকাটি হলে গেলো ২২ ডিসেম্বর কিশোরীকে অপরহরণ করে নিয়ে যায় সাহিত্যকাপল্লীর বাসিন্দা হৃদয় হাসান বাবু,নায়েমসহ কয়েকজন।
পরে পুলিশি সহযোগিতায় রামুর নায়েমের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারের পর শহর পুলিশ ফাঁড়ির এক কর্মকর্তা উভয় পক্ষ কে ডেকে স্পর্শকাতর এই বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে সমাধান করে দেয়।
অবশ্য পুলিশ বলছে মেয়েটির বয়স ১৩ বছর। প্রেমের সম্পর্কের কারণে মেয়েটি পালিয়ে যায়। পরিবার মেনে না নিলে মেয়েটি আত্মহত্যা করতে চাইলে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় পরে সে মারা যায়।
তবে পরিবার বলছে, কিশোরীকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় এবং সে কারণেই আত্মহননের চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত না ফেরার দেশে পাড়ি জমায়।
এই ঘটনায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং রোকেয়া নামের এক নারীকে সকালে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে কিশোরীর পরিবার বলছে, বাবু একা নয়, এ ঘটনায় জড়িত সকলকে গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ ঘটনা যেনো কেউ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে না পারে সে দিকে লক্ষ রাখতে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে নিহত কিশোরীর স্বজনেরা।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনা জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। আসামীদের ধরতে চলছে অভিযান।
তানভীর শিপু 











