ঢাকা ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
“মাদক ডিলারদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপারেশন চাই”: টেকনাফে এনসিপি নেতা সুজা অ’স্ত্র, নগদ টাকাসহ কলাতলীর কামরুল গ্রেফতার ১৬১১১ এ কল পেয়ে বিকল ফিশিং বোটের ১১ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করলো কোস্ট গার্ড কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ির সকল দোকান সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ বিএনপিতে যোগ দিলেন মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধ মহেশখালীতে অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল প্রতিযোগিতা সম্পন্ন: চ্যাম্পিয়ন টাইম বাজার প্রাইমারি স্কুল পেকুয়ায় পুকুরে ডুবে আবারো শিশুর মৃত্যু: ৪ দিনে গেলো ৫ শিশুর প্রাণ কক্সবাজার ২ আসনে এনসিপির প্রার্থী সুজা, ছাড়ের রাজনীতিতে সমঝোতার ইঙ্গিত! কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলায় ভারি বৃষ্টিপাত ও ভূমি ধ্বসের সম্ভাবনা রোহিঙ্গা নারীদের ৯৭ শতাংশই শিক্ষার বাইরে, বৈশ্বিক প্রতিনিধিদলের উদ্বেগ খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দেবে না এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী চট্টগ্রামের ৬ আসনে বিএনপির নতুন মুখ প্রলোভনের ফাঁদে জিম্মি,উদ্ধার ২৫: আটক ২ সাগরে লঘুচাপ: কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ৩ নং সতর্ক সংকেত জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা কবে, জানালেন শফিকুর রহমান

রোহিঙ্গাদের জন্য এর বেশি করার উপায় বাংলাদেশের নেই: ইউনূস

রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রিত ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য অতিরিক্ত সম্পদ সংস্থান করা সম্ভব নয়।

সোমবার কক্সবাজারে ‘স্টেকহোল্ডারস ডায়ালগ: টেকঅ্যাওয়ে টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের অনিশ্চিত যাত্রার আট বছর পূর্ণ উপলক্ষে আয়োজিত এ সংলাপে সংকট সমাধানে সাত দফা কর্মপরিকল্পনা প্রস্তাব করেন।

কক্সবাজারে হোটেল বে ওয়াচে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে অংশগ্রহণ করছেন কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদ, বৈশ্বিক সংস্থা ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।

এ সংলাপ থেকে আসা প্রস্তাব এবং বক্তব্যগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে তুলে ধরার কথা বলছে সরকার। নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠেয় ওই সম্মেলনে প্রায় ১৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গাসহ নিপীড়নের শিকার মিয়ানমারের অন্যান্য জনগোষ্ঠীর দুর্দশা গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হবে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের অনিশ্চিত যাত্রার আট বছর পূর্ণ হচ্ছে সোমবার। ২০১৭ সালের এই দিনে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সেই ঢলের শুরু হয়েছিল।

এরপর কয়েক মাসের মধ্যে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে ওই এলাকার ক্যাম্পে বসবাস করছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।

জাতিসংঘ সে সময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর এই হত্যা ও নির্যাতনকে চিহ্নিত করেছিল ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদী উদাহরণ’ হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারও রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো ওই হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড’ হিসাবে বর্ণনা করেছে।

বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর থেকে কক্সবাজার ও উখিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বাঁশ আর প্লাস্টিকের খুপড়ি ঘরে বসবাস শুরু করে রোহিঙ্গারা। উখিয়ার কুতুপালং পরিণত হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে।

সূত্র:বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

ট্যাগ :

“মাদক ডিলারদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপারেশন চাই”: টেকনাফে এনসিপি নেতা সুজা

This will close in 6 seconds

রোহিঙ্গাদের জন্য এর বেশি করার উপায় বাংলাদেশের নেই: ইউনূস

আপডেট সময় : ১২:৫৬:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রিত ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য অতিরিক্ত সম্পদ সংস্থান করা সম্ভব নয়।

সোমবার কক্সবাজারে ‘স্টেকহোল্ডারস ডায়ালগ: টেকঅ্যাওয়ে টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের অনিশ্চিত যাত্রার আট বছর পূর্ণ উপলক্ষে আয়োজিত এ সংলাপে সংকট সমাধানে সাত দফা কর্মপরিকল্পনা প্রস্তাব করেন।

কক্সবাজারে হোটেল বে ওয়াচে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে অংশগ্রহণ করছেন কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদ, বৈশ্বিক সংস্থা ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।

এ সংলাপ থেকে আসা প্রস্তাব এবং বক্তব্যগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে তুলে ধরার কথা বলছে সরকার। নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠেয় ওই সম্মেলনে প্রায় ১৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গাসহ নিপীড়নের শিকার মিয়ানমারের অন্যান্য জনগোষ্ঠীর দুর্দশা গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হবে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের অনিশ্চিত যাত্রার আট বছর পূর্ণ হচ্ছে সোমবার। ২০১৭ সালের এই দিনে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সেই ঢলের শুরু হয়েছিল।

এরপর কয়েক মাসের মধ্যে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে ওই এলাকার ক্যাম্পে বসবাস করছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।

জাতিসংঘ সে সময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর এই হত্যা ও নির্যাতনকে চিহ্নিত করেছিল ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদী উদাহরণ’ হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারও রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো ওই হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড’ হিসাবে বর্ণনা করেছে।

বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর থেকে কক্সবাজার ও উখিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বাঁশ আর প্লাস্টিকের খুপড়ি ঘরে বসবাস শুরু করে রোহিঙ্গারা। উখিয়ার কুতুপালং পরিণত হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে।

সূত্র:বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম