নিখোঁজের এক মাস অতিবাহিত হলেও অরিত্রের সন্ধান মেলেনি এখনো। তার আপন বোন মালিহা হক ফেসবুকে শুক্রবার (৮ আগস্ট) ‘অরিত্রের বাবার কিছু কথা,অরিত্রের জন্য বাবার শেষ না হওয়া অপেক্ষা’ শিরোনামে অরিত্রের বাবার বরাতে একটি স্ট্যাটাস লিখেছেন।
তিনি সেখানে লেখেন, ‘তিনটি সম্ভাবনাময় তাজা প্রাণের ঝরে যাওয়ার জন্য রাষ্ট্র কিভাবে তার দায় এড়াবে? বারবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটার পরেও, একটি বিপদজনক পয়েন্টে (হিমছড়ি) কি নূন্যতম নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে রাষ্ট্র?’
এছাড়াও স্ট্যাটাসে বলা হয়, ‘ সতর্কতামূলক লালপতাকা নেই কেন, কেন নেই নিরাপত্তা চৌকি? রাষ্ট্রকে এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। কারণ আমরা রাষ্ট্র কে ট্যাক্স দিই। আমাদের ট্যাক্সের টাকায় বেতন হয় কর্মচারীদের। বলুন, আমাদের নিরাপত্তা কোথায় এই দেশে ?’
বেড়াতে এসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে বন্ধুদের সাথে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান (২২)।
গত ৮ জুলাই সকালে এই ঘটনায় অরিত্রের সাথে সাগরে তলিয়ে যান তার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বন্ধু
ঢাকার মিরপুরের কে এম সাদমান রহমান ও আসিফ মোহাম্মদ।
ঘটনার প্রায় তিন ঘন্টার পর সৈকতের বালিয়াড়িতে ভেসে সাদমানের মরদেহ এবং পরদিন ৯ জুলাই আসিফের মরদেহ সৈকতের নাজিরারটেক পয়েন্টে।
এক মাস অতিবাহিত হলেও এখনো বগুড়ার বাসিন্দা অরিত্রের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সি-সেফ লাইফ গার্ড এর সমন্বয়ে অরিত্রকে খোঁজার উদ্যোগ নেওয়া হয়, ড্রোন উড়িয়ে সাগরে তল্লাশি করে বিমানবাহিনী।
অরিত্র নিখোঁজের পরপরই কক্সবাজার চলে আসে তার পরিবার। ছেলে’কে খুঁজে পাওয়ার আশায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ উদ্ধার দলের সাথে টানা দুই সপ্তাহ সৈকতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ছুটেছেন অরিত্রের বাবা-মা।
ঢাকায় একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেন অরিত্রের বাবা সাকিব হাসান, ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশা ছাড়েননি তিনি।