পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ কখনোই আর ‘সেকেন্ডারি’ ইস্যু হতে পারে না, রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিবেশকে আনতে হবে। এটি ‘জনস্বার্থ’ এবং ‘রাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকার’। রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের পরিবেশ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গীকারে জনগণের জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে।
শনিবার (২৬ জুলাই) পরিবেশ অধিদফতরে আয়োজিত এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, পরিবেশ রক্ষা এখন আর শুধু নীতির বিষয় নয়, এটি মানবিক দায়িত্ব। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুস্থ, নিরাপদ, বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তুলতেই হবে। পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে ম্যানিফেস্টোতে যেসব চমৎকার কথা লেখা হয়, বাস্তবে তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। তরুণরা এখন ভোটব্যাংকের বড় অংশ, তাদেরকে রাজনীতিবিদদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বাধ্য করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সত্য বলতে হবে—জলবায়ু পরিবর্তন, নদী দখল, বন উজাড়, পাহাড় নিধনের যে ভয়াবহতা সামনে আসছে—তা থেকে রক্ষা পেতে হলে পরিবেশকে আর উপেক্ষা করা যাবে না।
জাফলং অঞ্চলে পাথর উত্তোলন এবং সোনাদিয়ার বনভূমি রক্ষা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, যেখানে আমরা দেখেছি সর্বদলীয় ঐক্য পাথর তুলতে, সেখানে পরিবেশ রক্ষায় তেমন ঐক্য নেই। অথচ প্রকৃতি ধ্বংস করে উন্নয়ন টেকসই হবে না। ইকোট্যুরিজমের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব, কিন্তু সেদিকে নজর নেই।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয় বাজেটে বরাবরই উপেক্ষিত, অথচ রাজধানীর বায়ুদূষণ, জলাশয় সংকট, খাদ্য ও পানির নিরাপত্তা—সবকিছুর সঙ্গে এই মন্ত্রণালয় সরাসরি যুক্ত। বেইজিং যেমন পাঁচ বছরে বায়ুর মান ৩৭ শতাংশ উন্নত করেছে, আমাদেরও তেমনি বিনিয়োগ করতে হবে।
সচেতন ফাউন্ডেশনসহ কয়েকটি বেসরকারি সংগঠনের যৌথ আয়োজনে পানি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মেনিফেস্টু টক-২০২৫ এ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন