ঢাকা ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বালুখালীর মিজান ইয়াবাসহ মরিচ্যায় ডিবির হাতে আটক “প্রতিরোধ নয়,দমনই দুর্নীতি নির্মূলের উপায়” শির্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘ফুটবল জাদুকর’ ম্যারাডোনার জন্মদিন আজ সোনার দাম বেড়ে ফের ২ লাখ টাকা ছাড়াল কৃষি ব্যাংকের ২০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ: উপলক্ষ্য তারুণ্যের উৎসব আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের অবৈধ নির্বাচন বন্ধে আদালতের শোকজ ঈদগাঁও’তে পুলিশের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ১ টেকনাফে ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ইয়াবা জব্দ কোস্ট গার্ডের বঙ্গোপসাগর থেকে ৭ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি গর্জনিয়ার আইনশৃঙ্খলা সভায় ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন হওয়ার’ আহবান গণভোট বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী নির্বাচন, বিচার ও দেশে ফেরা নিয়ে রয়টার্সকে যা বললেন শেখ হাসিনা শীলখালীতে র‌্যাবের অভিযান: জিম্মিদশা থেকে ২৪ জনকে উদ্ধার চুরি হওয়া রামুর আল-আমিন স্টোরের ১২ লাখ টাকার মালামালসহ ৩ চোর আটক ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বিএনপি হতাশ : সালাহউদ্দিন

বিক্ষোভে স্থগিত উচ্ছেদ!

শুক্রবার সকাল থেকে কক্সবাজার প্রধান সড়ক দখলে নেয় কয়েকহাজার মানুষ। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভে দাবী জানাতে থাকে চলমান বাঁকখালী নদী পাড়ের উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের।

পরে উচ্ছেদ অভিযান আর চালাতে পারেনি বিআইডব্লিউটিএ। জনতার বাঁধার মুখে ফিরে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা।

উচ্ছেদ অভিযানের ৫ম দিনে এসে বুলডোজারসহ নুনিয়াছড়ায় দিকে যাওয়ার কথা ছিলো অভিযান দলের। কিন্তু প্রধান সড়কেই সেনাবাহিনীসহ তারা আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়ে। এতে স্থানীয় নুনিয়ারছড়াবাসীর পাশাপাশি পেশকারপাড়াবাসীরাও যোগ দেন। যার গত পরশুদিন অর্থাৎ ৩য় দিনে তাদের পাড়ায় অভিযান চালাতে দেননি।

উচ্ছেদ অংশে থাকা বাসিন্দারা বলছেন, তাদের প্রাণের উপর দিয়ে উচ্ছেদ করতে হবে।

নুনিয়ারছড়ার বাসিন্দা কাদির হোসেন বলেন, এই দেশটাতো সরকারের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। যেখানে রোহিঙ্গারা জামাই আদর পাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও আমরা কেন ঠাঁই পাচ্ছিনা। এই অবৈধ উচ্ছেদ আমরা মানি না। কোন নোটিশ না দিয়ে কখনো উচ্ছেদ অভিযান হতে পারে না।

নতুন বাহারছড়ার মোসাদ্দিক হোসেন এর মতে, আগে বাঁকখালী নদীর সীমানা নির্ধারণ করা হোক তারপর জনগণের সাথে বসে উচ্ছেদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিন। আমরাও চাই কক্সবাজারের বাঁকখালি তার অস্তিত্ব ফিরে পাক। কিন্তু এর বিপরীতে যেন জনগণের গলা কাটা না হয়। তাই সঠিক সমীক্ষা ও জনগণের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এই অভিযান হোক এটাই আমাদের দাবি।

অভিযানে আসা প্রশাসনের কর্মকর্তারা স্থানীয়দের বৈধ কাগজপত্রও দেখছেন না বলে অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। এমনকি হাইকোর্টের আদেশ কর্মকর্তারাই মানছেন বলে জানান তারা।

বিক্ষোভে আসা একজন বলেন, বিআইডব্লিউটিএ ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন হাইকোর্টের রায়ের অনুকূলে বাঁকখালীর নদীর তীরে যারা অবৈধভাবে বসবাস করছে তাদেরকে উচ্ছেদ করছে। কিন্তু তারা হাইকোর্টের ওই নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছেন না। এমনকি সেই নির্দেশনা আমরা দেখতে চাইলেও দেখাচ্ছেন না।

“হাইকোর্টের রায়ে লেখা আছে আরএস অনুযায়ী বাঁকখালীর পূর্ব সীমান নির্ধারণ করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। কক্সবাজারে নদী উপকূলের যে সকল জায়গা রয়েছে যেমন, বৃহত্তর নুনিয়ারছড়া ও পেশকার পাড়াবাসী নদীর উপরে উঠে নাই। নদী ভেঙ্গে আমাদের ওপর উঠেছে। নদীর ধর্মই ভাঙ্গন।”

সাদ্দাম হোসেন নামের এক বাসিন্দা বলেন, অভিযান পরিচালনাকারীরা আমাদের খতিয়ান বা খাজনার কোন কাগজপত্রই দেখছেন না। তারা বলছে পানি থেকে উপরের জায়গা আমরা ভেঙে ফেলব। তাহলে যুগ যুগ ধরে আমাদের বাপ দাদার ভিটা যে স্থানে আছে, যেখানে আমরা ছোট থেকে বড় হয়েছি সেসব জায়গার কি হবে। বি.এস ও এম.আর.আর মূলের অনেক জায়গায় তারা উচ্ছেদ করেছেন। তাদের এই অবৈধ উচ্ছেদের বিরুদ্ধে আমরা রাজপথে এসেছি।

উচ্ছেদ অভিযানে সাজোয়া যান নিয়ে এসেছিলো সেনাবাহিনী। প্রধান সড়কেই তা আটকে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এসময় নারীরা সেনা সদস্যদের পায়ে ধরে বিলাপ করতে থাকে।

এক নারী বলেন, বর্তমানে নদী যেখানে আছে, সেখান থেকে ২০০ ফিট পূর্ব দিকে আমাদের বাপ দাদার ভিটা। ৩০০ বছর ধরে আমাদের পূর্বপুরুষরা এখানে বসবাস করছে। আমাদের জায়গাগুলো তো নদীতে পড়েনি। বিভিন্ন দুর্যোগ কিংবা সময়ে সময়ে নদী ভাঙ্গে। সেই ভাঙ্গনের ফলেই কখনো কখনো আমাদের কাছ পর্যন্ত চলে যায়। এর মানে তো এই না যে আমাদের জায়গা নদীর।

এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলে ফিরে যায়। বিক্ষোভের মুখে তড়িঘড়ি করে চলে যান উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএ-এর বন্দর বিভাগের পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন। এবিষয়ে তিনি আর কথা বলেননি। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া দেননি।

বিক্ষোভের একপর্যায়ে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা লুৎফুর রহমান কাজল আসেন। তিনি আলোচনার আশ্বাস দিলে ফিরে যান বিক্ষোভকারীরা। এসময় লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, আমরা বিআইডব্লিউটিএ সহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলেছি আপনারা আগে নদীর সীমানা নির্ধারণ করুন। তারপর উচ্ছেদ করতে হলে নদীর সীমানায় বসবাসকারীদের আমরা বুঝিয়ে নিয়ে আসবো। হাইকোর্টের রায় আমরাও মানি। কিন্তু স্থানীয় জনগনদের সাথে বসে সেই রায় নিয়ে আলোচনা করতে হবে। রায়ে কি লেখা আছে তারা কি করতে চাচ্ছে সবকিছু স্পষ্ট তুলে ধরতে হবে স্থানীয় জনগণের সামনে।

কাজল বলেন, আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলে এসেছি। আজ বিকেলে আপনাদের নির্দিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা জেলা প্রশাসকের সাথে বসবে। প্রশাসন ঠিক করে দেবে উচ্ছেদ হওয়া এলাকাবাসীর স্থান কোথায় হবে, নদীর কতটুকু জায়গা তারা উচ্ছেদ করবে।

“যদি প্রশাসন আজ বিকেলের মধ্যে আমাদের কথা না শুনে তাহলে আমরা আবার রাজপথে নামবো। কক্সবাজারের বাঁকখালি নদী তার সৌন্দর্য ফিরে পাক এটা আমাদের জন্য গৌরবের। তাই এর সৌন্দর্য ফেরাতে যা যা প্রয়োজন আমরা সবকিছুই করব। কিন্তু এর জন্য কারো যেন দুর্ভোগ না হয় সেদিকেও আমরা লক্ষ্য রাখবো”- বলেন বিএনপির এই নেতা।

এদিকে উচ্ছেদ অভিযানকে ঘিরে যত মিথ্যা মামলা হয়েছে সব মামলা যেন প্রত্যাহারের দাবীও জানান বিক্ষোভকারী ও বিএনপি নেতা লুৎফুর রহমান কাজল।

এর আগে উচ্ছেদ অভিযান এর ৩য় দিনে পেশকার পাড়াতেও তোপের মুখে ফিরে আসে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। ২য় দিনেও বাঁধার মুখে পড়তে হয় উচ্ছেদ অভিযান। এনিয়ে গত দুইদিনে উচ্ছেদ অভিযানে বাঁধা দেয়ায় সাড়ে ছয়’শ জনকে আসামী করে দুটি মামলা হওয়ার কথা জানিয়েছে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

বিক্ষোভে স্থগিত উচ্ছেদ!

আপডেট সময় : ০৬:৪৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শুক্রবার সকাল থেকে কক্সবাজার প্রধান সড়ক দখলে নেয় কয়েকহাজার মানুষ। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভে দাবী জানাতে থাকে চলমান বাঁকখালী নদী পাড়ের উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের।

পরে উচ্ছেদ অভিযান আর চালাতে পারেনি বিআইডব্লিউটিএ। জনতার বাঁধার মুখে ফিরে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা।

উচ্ছেদ অভিযানের ৫ম দিনে এসে বুলডোজারসহ নুনিয়াছড়ায় দিকে যাওয়ার কথা ছিলো অভিযান দলের। কিন্তু প্রধান সড়কেই সেনাবাহিনীসহ তারা আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়ে। এতে স্থানীয় নুনিয়ারছড়াবাসীর পাশাপাশি পেশকারপাড়াবাসীরাও যোগ দেন। যার গত পরশুদিন অর্থাৎ ৩য় দিনে তাদের পাড়ায় অভিযান চালাতে দেননি।

উচ্ছেদ অংশে থাকা বাসিন্দারা বলছেন, তাদের প্রাণের উপর দিয়ে উচ্ছেদ করতে হবে।

নুনিয়ারছড়ার বাসিন্দা কাদির হোসেন বলেন, এই দেশটাতো সরকারের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। যেখানে রোহিঙ্গারা জামাই আদর পাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও আমরা কেন ঠাঁই পাচ্ছিনা। এই অবৈধ উচ্ছেদ আমরা মানি না। কোন নোটিশ না দিয়ে কখনো উচ্ছেদ অভিযান হতে পারে না।

নতুন বাহারছড়ার মোসাদ্দিক হোসেন এর মতে, আগে বাঁকখালী নদীর সীমানা নির্ধারণ করা হোক তারপর জনগণের সাথে বসে উচ্ছেদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিন। আমরাও চাই কক্সবাজারের বাঁকখালি তার অস্তিত্ব ফিরে পাক। কিন্তু এর বিপরীতে যেন জনগণের গলা কাটা না হয়। তাই সঠিক সমীক্ষা ও জনগণের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এই অভিযান হোক এটাই আমাদের দাবি।

অভিযানে আসা প্রশাসনের কর্মকর্তারা স্থানীয়দের বৈধ কাগজপত্রও দেখছেন না বলে অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। এমনকি হাইকোর্টের আদেশ কর্মকর্তারাই মানছেন বলে জানান তারা।

বিক্ষোভে আসা একজন বলেন, বিআইডব্লিউটিএ ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন হাইকোর্টের রায়ের অনুকূলে বাঁকখালীর নদীর তীরে যারা অবৈধভাবে বসবাস করছে তাদেরকে উচ্ছেদ করছে। কিন্তু তারা হাইকোর্টের ওই নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছেন না। এমনকি সেই নির্দেশনা আমরা দেখতে চাইলেও দেখাচ্ছেন না।

“হাইকোর্টের রায়ে লেখা আছে আরএস অনুযায়ী বাঁকখালীর পূর্ব সীমান নির্ধারণ করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। কক্সবাজারে নদী উপকূলের যে সকল জায়গা রয়েছে যেমন, বৃহত্তর নুনিয়ারছড়া ও পেশকার পাড়াবাসী নদীর উপরে উঠে নাই। নদী ভেঙ্গে আমাদের ওপর উঠেছে। নদীর ধর্মই ভাঙ্গন।”

সাদ্দাম হোসেন নামের এক বাসিন্দা বলেন, অভিযান পরিচালনাকারীরা আমাদের খতিয়ান বা খাজনার কোন কাগজপত্রই দেখছেন না। তারা বলছে পানি থেকে উপরের জায়গা আমরা ভেঙে ফেলব। তাহলে যুগ যুগ ধরে আমাদের বাপ দাদার ভিটা যে স্থানে আছে, যেখানে আমরা ছোট থেকে বড় হয়েছি সেসব জায়গার কি হবে। বি.এস ও এম.আর.আর মূলের অনেক জায়গায় তারা উচ্ছেদ করেছেন। তাদের এই অবৈধ উচ্ছেদের বিরুদ্ধে আমরা রাজপথে এসেছি।

উচ্ছেদ অভিযানে সাজোয়া যান নিয়ে এসেছিলো সেনাবাহিনী। প্রধান সড়কেই তা আটকে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এসময় নারীরা সেনা সদস্যদের পায়ে ধরে বিলাপ করতে থাকে।

এক নারী বলেন, বর্তমানে নদী যেখানে আছে, সেখান থেকে ২০০ ফিট পূর্ব দিকে আমাদের বাপ দাদার ভিটা। ৩০০ বছর ধরে আমাদের পূর্বপুরুষরা এখানে বসবাস করছে। আমাদের জায়গাগুলো তো নদীতে পড়েনি। বিভিন্ন দুর্যোগ কিংবা সময়ে সময়ে নদী ভাঙ্গে। সেই ভাঙ্গনের ফলেই কখনো কখনো আমাদের কাছ পর্যন্ত চলে যায়। এর মানে তো এই না যে আমাদের জায়গা নদীর।

এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলে ফিরে যায়। বিক্ষোভের মুখে তড়িঘড়ি করে চলে যান উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএ-এর বন্দর বিভাগের পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন। এবিষয়ে তিনি আর কথা বলেননি। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া দেননি।

বিক্ষোভের একপর্যায়ে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা লুৎফুর রহমান কাজল আসেন। তিনি আলোচনার আশ্বাস দিলে ফিরে যান বিক্ষোভকারীরা। এসময় লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, আমরা বিআইডব্লিউটিএ সহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলেছি আপনারা আগে নদীর সীমানা নির্ধারণ করুন। তারপর উচ্ছেদ করতে হলে নদীর সীমানায় বসবাসকারীদের আমরা বুঝিয়ে নিয়ে আসবো। হাইকোর্টের রায় আমরাও মানি। কিন্তু স্থানীয় জনগনদের সাথে বসে সেই রায় নিয়ে আলোচনা করতে হবে। রায়ে কি লেখা আছে তারা কি করতে চাচ্ছে সবকিছু স্পষ্ট তুলে ধরতে হবে স্থানীয় জনগণের সামনে।

কাজল বলেন, আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলে এসেছি। আজ বিকেলে আপনাদের নির্দিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা জেলা প্রশাসকের সাথে বসবে। প্রশাসন ঠিক করে দেবে উচ্ছেদ হওয়া এলাকাবাসীর স্থান কোথায় হবে, নদীর কতটুকু জায়গা তারা উচ্ছেদ করবে।

“যদি প্রশাসন আজ বিকেলের মধ্যে আমাদের কথা না শুনে তাহলে আমরা আবার রাজপথে নামবো। কক্সবাজারের বাঁকখালি নদী তার সৌন্দর্য ফিরে পাক এটা আমাদের জন্য গৌরবের। তাই এর সৌন্দর্য ফেরাতে যা যা প্রয়োজন আমরা সবকিছুই করব। কিন্তু এর জন্য কারো যেন দুর্ভোগ না হয় সেদিকেও আমরা লক্ষ্য রাখবো”- বলেন বিএনপির এই নেতা।

এদিকে উচ্ছেদ অভিযানকে ঘিরে যত মিথ্যা মামলা হয়েছে সব মামলা যেন প্রত্যাহারের দাবীও জানান বিক্ষোভকারী ও বিএনপি নেতা লুৎফুর রহমান কাজল।

এর আগে উচ্ছেদ অভিযান এর ৩য় দিনে পেশকার পাড়াতেও তোপের মুখে ফিরে আসে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। ২য় দিনেও বাঁধার মুখে পড়তে হয় উচ্ছেদ অভিযান। এনিয়ে গত দুইদিনে উচ্ছেদ অভিযানে বাঁধা দেয়ায় সাড়ে ছয়’শ জনকে আসামী করে দুটি মামলা হওয়ার কথা জানিয়েছে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান।