কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় পরকীয়ার অভিযোগ তুলে এক নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়—এক নারীকে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। তার হাত মোটা রশি দিয়ে বাঁধা, রশিতে রক্তের দাগ স্পষ্ট। ভিডিওতে উপস্থিত কয়েকজন যুবককে বলতে শোনা যায়, ওই নারীকে “রাতের বেলায় আপত্তিকর অবস্থায় ধরা হয়েছে।” একই ঘটনায় অভিযুক্ত পরকীয়া প্রেমিককেও মারধর করা হয় বলে ভিডিওতে দেখা যায়।
ভিডিওতে উল্লেখ আছে ঘটনাস্থল টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকা। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কোন পাড়া বা ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিত নারীর স্বামী বর্তমানে প্রবাসে অবস্থান করছেন।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনদের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করলেও অধিকাংশই নারীকে নির্যাতনের ঘটনাটিকে “জঘন্য ও অমানবিক অপরাধ” বলে আখ্যা দিয়ে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী শিপ্ত বড়ুয়া বলেন, “অপরাধ করেছে বলে কেউ নিজ হাতে শাস্তি দিতে পারে না। এ ধরনের কাজ নিজেরাই অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া আইনবিরোধী।”
বিষয়টি জানতে চাইলে টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর দূর্জয় বিশ্বাস জানান, “এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে কেউ অভিযোগ করলে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হবে।”
শামীমুল ইসলাম ফয়সাল 











