ঢাকা ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক খালেদার সেবাসঙ্গী ফাতেমা খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, একদিনের সাধারণ ছুটি খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সাত দিন শোক পালনের কর্মসূচি বিএনপির

পেকুয়ায় টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে মানববন্ধন

কক্সবাজারের পেকুয়ার রাজাখালীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধের দাবীতে মানববন্ধন করেছে উপকূলীয় সাহিত্য ফোরাম।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৫ টায় রাজাখালী ইউনিয়নের বকশিয়া ঘোনা এলাকায় অরক্ষিত বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

উপকূলীয় সাহিত্য ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাহেদুল আলম রিফাতের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে ২৯ এপ্রিল প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আবু জাফর এমএ, সদস্য সচিব আবুল বশর বাবু, রাজাখালী এয়ার আলী খাঁন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহেদ উল্লাহ, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম, সিপিপির ইউনিয়ন টিম লিডার আহমদ কবির আজাদ, রাজাখালী ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি এস.এম. আমিন উল্লাহ, রাজাখালী এয়ার আলী খাঁন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ, রাজাখালী উম্মুক্ত পাঠাগারের প্রতিনিধি মোস্তাক আহমেদ, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পাঠাগারের সদস্য সাইদুল ইসলাম রোমানসহ অনেকে। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে রাজাখালীর বিস্তীর্ণ বেড়িবাঁধের বিধ্বস্ত অংশ দ্রুত সংষ্কার ও টেকসই বেড়িবাঁধ রক্ষার দাবী তুলে ধরেন।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের মধ্যরাতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী ও রবগুনাসহ দেশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ১২ থেকে ২০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানে। এতে উপকূলীয় ১৯ জেলার ১০২ থানা ও ৯টি পৌরসভায় সরকারি হিসাব মতে নিহত হয়েছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮২ জন লোক। নিখোঁজ ছিল ১২ হাজার ১২৫ জন। আহত হয়েছিল ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৪ জন। গৃহহারা হয়েছিল প্রায় ২০ লাখ মানুষ। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা দ্বিগুণ। ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে কয়েক হাজার পরিবার। সেই কালরাত্রির নানা ঘটনা এখনো উপকূলীয় এলাকার লোকের মুখে মুখে ফেরে। কিন্তু এতো প্রাণ-সম্পদহানির ৩৪ বছর পরও মানুষের সুরক্ষায় গড়ে উঠেনি টেকসই বেড়িবাঁধ। উপকূলে এখন প্রতিনিয়ত জোয়ার-ভাটা। স্বজন হারানোর চোখেও কেবল বিভীষিকা।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে

This will close in 6 seconds

পেকুয়ায় টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ১০:২১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

কক্সবাজারের পেকুয়ার রাজাখালীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধের দাবীতে মানববন্ধন করেছে উপকূলীয় সাহিত্য ফোরাম।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৫ টায় রাজাখালী ইউনিয়নের বকশিয়া ঘোনা এলাকায় অরক্ষিত বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

উপকূলীয় সাহিত্য ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাহেদুল আলম রিফাতের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে ২৯ এপ্রিল প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আবু জাফর এমএ, সদস্য সচিব আবুল বশর বাবু, রাজাখালী এয়ার আলী খাঁন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহেদ উল্লাহ, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম, সিপিপির ইউনিয়ন টিম লিডার আহমদ কবির আজাদ, রাজাখালী ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি এস.এম. আমিন উল্লাহ, রাজাখালী এয়ার আলী খাঁন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ, রাজাখালী উম্মুক্ত পাঠাগারের প্রতিনিধি মোস্তাক আহমেদ, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পাঠাগারের সদস্য সাইদুল ইসলাম রোমানসহ অনেকে। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে রাজাখালীর বিস্তীর্ণ বেড়িবাঁধের বিধ্বস্ত অংশ দ্রুত সংষ্কার ও টেকসই বেড়িবাঁধ রক্ষার দাবী তুলে ধরেন।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের মধ্যরাতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী ও রবগুনাসহ দেশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ১২ থেকে ২০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানে। এতে উপকূলীয় ১৯ জেলার ১০২ থানা ও ৯টি পৌরসভায় সরকারি হিসাব মতে নিহত হয়েছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮২ জন লোক। নিখোঁজ ছিল ১২ হাজার ১২৫ জন। আহত হয়েছিল ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৪ জন। গৃহহারা হয়েছিল প্রায় ২০ লাখ মানুষ। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা দ্বিগুণ। ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে কয়েক হাজার পরিবার। সেই কালরাত্রির নানা ঘটনা এখনো উপকূলীয় এলাকার লোকের মুখে মুখে ফেরে। কিন্তু এতো প্রাণ-সম্পদহানির ৩৪ বছর পরও মানুষের সুরক্ষায় গড়ে উঠেনি টেকসই বেড়িবাঁধ। উপকূলে এখন প্রতিনিয়ত জোয়ার-ভাটা। স্বজন হারানোর চোখেও কেবল বিভীষিকা।