পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন ও হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগ তুলে কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এক সাংবাদিক।
প্রতিদিনের কাগজ নামের একটি জাতীয় দৈনিকের জেলা প্রতিনিধি মনসুর আলম মুন্না এ মামলা দায়ের করেন।
মনসুর আলম মুন্না জানান, “মামলার ভয় দেখিয়ে ঘুষ নেন চকরিয়া থানার ওসি” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করায় তার উপর ক্ষিপ্ত হন ওসি মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়া। এর প্রেক্ষিতে ২৫ ডিসেম্বর ভোর রাতে তার কক্সবাজারের অফিস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
মুন্না বলেন,”অফিস থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে রামুর পানিরছড়া ঢালায় নামিয়ে আমাকে মারধর করা হয়। এরপর থানায় নিয়ে গিয়ে আরেকবার নির্যাতন করা হয় হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে।”
পরে দ্রুত বিচার আইনে চাঁদাবাজির মামলায় ২১ দিনের কারাভোগ শেষে জামিনে আছেন বলে জানান মুন্না।
বাদী পক্ষের আইনজীবী সালাউদ্দীন আহমেদ জানান, মঙ্গলবার মামলাটি আমলে নিয়েছে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাভেদ এর আদালত। ১৬ মার্চের মধ্যে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে সিআইডিকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মামলার অভিযুক্ত ৮ জনের প্রত্যেকেই পুলিশের সদস্য জানিয়ে আইনজীবী সালাউদ্দীন আহমেদ বলেন, “টেরিটোরিয়াল জুরিকডিকশনের বাইরে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সাদা পোশাকে ওসির নেতৃত্বে পুলিশ এমন কর্মকাণ্ড করেছে”।
ওসি মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়া বলেন, “মুন্না নামের এক ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে একটা নিউজ লিখে আমাকে দেন এবং নিউজটা ছাপাবো কি ছাপাবোনা জানতে চান এবং চাঁদা দাবীর ইঙ্গিত করেন”
বিষয়টি তিনি স্ক্রিনশট নিয়ে উপর মহলে জানালে আইনমত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ পাওয়ায় চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা করেন বলে জানান ওসি মঞ্জুর কাদের।
মুন্নাকে মারধর ও শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন,”থানায় সিসি ক্যামারা রয়েছে। এধরণের কিছু হলে তা সেখানে উঠে আসবে।”
চকরিয়া থেকে কক্সবাজার এসে আটকের বিষয়ে মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়া বলেন, “এসপির নির্দেশে জেলার যেকোনো জায়গায় অভিযান করা যায়।”
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন জানান, আদালতের নির্দেশ মতোই পুলিশ সহযোগিতা করবে৷