১৬ মার্চ সন্ধা ৬ টার কিছু পর জমি দখলে নিতে বাধা দেয়ায় খুন হন পাহাড়তলীর মুজিব।
এই ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়েরের পর তিন জন আসামী আটক হলে ও এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে হত্যাকান্ডের মাষ্টার মাইন্ড জাহাঙ্গীর আলম।
এরপর মুজিব হত্যার বিচার চেয়ে জেলা প্রসাশন কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা।
সেখানে বলা হয় ঘটনার আগে থেকে দক্ষিণ পাহাড়তলী হালিমা পাড়া এলাকায় জমি দখলে নিতে তৎপর হয় একটি চক্র। এতে বাধা হয়ে দাড়ায় মুজিব।
টিটিএনের হাতে আসে ঘটনার মাষ্টার মাইন্ড জাহাঙ্গীর আলম ও মুজিবের দীর্ঘ ৪৫ মিনিট কথোপকথনের অডিও রেকর্ড। সেখানে মুজিবকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় জাহাঙ্গীর আলম।
এদিকে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,মুজিব বাধা দেয়ায় শাহ আলম,শফি, জাহাঙ্গীর আলমরা মিলে মুজিব হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করার উদ্দেশ্য ইসলামপুর থেকে ৩জন খুনি কে ভাড়া করে এনে দেন একই এলাকার বাসিন্দা শফি এবং সেই খুনিদের দখল করা জায়গায় আশ্রয় দেয় জাহাঙ্গীর আলম। তার কিছুদিন পরেই হত্যা করা হয় মুজিবকে।
“মুজিবকে খুন করা পিছনে জাহাঙ্গীর আলম,শফি ও শাহ আলম জড়িত রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।
এসময় তারা দোষীদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি এ ঘটনার বিচার দাবী করেন।
সম্প্রতি হত্যাকান্ড ঘটার পর ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে ইজিবাইক বিক্রির খবর ছড়ায় চক্রটি
হত্যাকান্ড জড়িত খুনি ও পরিকল্পনাকারীদেরও আসামী করেও কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে নিহতের স্ত্রী সেলিনা আক্তার
মুজিব হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ মোস্তফা ওরফে শাওন, মোহাম্মদ আনোয়ার, ছৈয়দ হোসেন ও রমজান আলীকে আটক করা হয়। যারা পরিকল্পনা মত হত্যাকান্ড শেষ করে পালিয়ে যান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুজনকে আটক করে টেকনাফ থেকে। উল্লেখ যে এই খুনিদের ভাড়া করে নিয়ে আসা শফির ঘরও টেকনাফ। হত্যাকাণ্ড শেষে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্য শফি তাদের টেকনাফ নিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানা গেছে-হালিমা পাড়ার জমিটি দখলে নিতে চেষ্টা করে শাহ আলম ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, সেখানে বাঁধা প্রদান করেন মুজিব।
ইঞ্জিনিয়ার নাজিম উদ্দিনের ছেলে বলেন, ‘গত ২১ বছর পূর্বে আমার বাবা হালিমা পাড়া মসজিদের পাশে প্রথমে ৭.৫ গন্ডা জমি ও পরবর্তীতে দুই গন্ডা জমি ক্রয় করেন। এই জমি আমাদের দখলে ছিল । হঠাৎ জাহাঙ্গীর আলম ও তার পিতা শাহা আলম মিলে কিছু সন্ত্রাসী ভাড়া করে রাতের আঁধারে আমাদের জমিটি দখলে নেন।’
তখন থেকে তাদেরকে খুন করার হুমকি দিচ্ছে জাহাঙ্গীর ও তার পালিত সন্ত্রাস বাহিনী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ” আমরা এই নিয়ে থানায় অবগত করেছিলাম। ”
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াছ খান বলেন,” ঘটনার পর পুলিশ ও র্যাব চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
তদন্ত সাপেক্ষে বাকি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।