ঢাকা ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মায়ানমার: শান্তি ও গণতন্ত্রের নামে দাবার খেলায় রেফারি কে? মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক শাহাবুদ্দিন, মানুষের সাহায্যের অপেক্ষায়… কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সমগ্র কক্সবাজার বিদ্যুৎ থাকবেনা শুক্রবার! অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করলো মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা অনলাইন মাল্টিমিডিয়ায় নুরুন্নাহারকে নিয়ে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ ‘নির্বাচন একদিনও পেছাবে না, তবে আগামী ৫-৬ দিন গুরুত্বপূর্ণ’ অতিরিক্ত রোগীর চাপে নিজেই রোগী কক্সবাজার সদর হাসপাতাল! কক্সবাজার সদর উপজেলা ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। নির্বাচন প্রধান উপদেষ্টা যে সময়ে বলেছেন, তার থেকে একটা দিন দেরি হবে না: প্রেস সচিব চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে শিবির নেতা সাদিক কায়েম সমন্বয়ক ছিল না, ৫ আগস্ট থেকে এই পরিচয় ব্যবহার করেছে : নাহিদ জাতীয় ঐকমত্য কমিশন: প্রথম ধাপে ৬২ প্রস্তাবে একমত রাজনৈতিক দলগুলো প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : শেখ হাসিনার বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি অনলাইনে ময়মনসিংহের তরুণীর সাথে প্রেম, বিয়ের এক বছর পর উখিয়ায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার
টিআইবি প্রতিবেদন

দুর্নীতির শীর্ষে পাসপোর্ট-বিআরটিএ-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা

২০২৩ সালে জাতীয়ভাবে প্রাক্কলিত ঘুসের পরিমাণ ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও জিডিপির ০ দশমিক ২২ শতাংশ। এই পরিমাণ অর্থ দেশের মানুষ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা পেতে ঘুস দিয়েছে।

সর্বোচ্চ দুর্নীতি ও ঘুসের হার পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায়।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ ২০২৩ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেবা পেতে খানা বা পরিবারপ্রতি ৫ হাজার ৬৮০ টাকা ঘুস দিতে হয়েছে। গড় ঘুসের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বিচারিক সেবা, ভূমি সেবা ও ব্যাংকখাতে। সেবা পেতে ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবার দুর্নীতি ও ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার ঘুসের শিকার হয়েছে।

জরিপে অন্তর্ভুক্ত ঘুসদাতা খানার ৭৭ দশমিক ২ শতাংশ ঘুস দেওয়ার কারণ হিসেবে ঘুস না দিলে সেবা পাওয়া যায় না–একথা বলেছেন, অর্থাৎ ঘুস আদায়ে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ অব্যাহত রয়েছে।

ফলাফলে আরও বলা হয়, জরিপ অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ঘুস বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়ের তিনটি খাত হলো- বিচারিক সেবা, বিমা ও ভূমি সেবা।

৫৯ দশমিক ৬ শতাংশ খানা অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি বা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানে না এবং দুর্নীতির শিকার খানাসমূহের মাত্র ৮ দশমিক ৫ শতাংশ অভিযোগ করেছে।

জরিপে উঠে এসেছে, উচ্চ আয়ের তুলনায় নিম্ন আয়ের খানার ওপর দুর্নীতির বোঝা অপেক্ষাকৃত বেশি এবং সেবা নিতে গিয়ে উচ্চ আয়ের তুলনায় নিম্ন আয়ের খানা তাদের বার্ষিক আয়ের অপেক্ষাকৃত বেশি অংশ ঘুস দিতে বাধ্য হয়।

জরিপে উঠে এসেছে, বিচারিক সেবা পেতে পরিবার প্রতি ৩০ হাজার ৯৭২ টাকা ঘুস দিতে হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘুস ১১ হাজার ৭৭৬ টাকা দিতে হয়েছে ভূমি সেবা খাতে। সবচেয়ে বেশি ঘুস ও দুর্নীতি বরিশাল বিভাগে।

৫০ দশমিক ৯ শতাংশ খানা জানিয়েছে অভিযোগ জানানো হলেও প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ ঘটনায় কোনো অভিযোগ গ্রহণ করেনি প্রতিষ্ঠানগুলো।

গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষণা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরে আলম, মোহাম্মদ বদিউজ্জামান প্রমুখ।

৮ বিভাগের ১৫ হাজার ৫১৫টি পরিবারের তথ্য এই জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৩ মে থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত জরিপ পরিচালনা করা হয়।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল থেকে জাতীয় পর্যায়ে মোট ঘুসের ন্যূনতম প্রাক্কলিত পরিমাণ ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। দুর্নীতিবাজদের আগের মতো মানুষ ঘৃণা করে না। দুর্নীতিবাজদের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করা হয়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সভাপতি করা হয়।

ট্যাগ :

মায়ানমার: শান্তি ও গণতন্ত্রের নামে দাবার খেলায় রেফারি কে?

This will close in 6 seconds

টিআইবি প্রতিবেদন

দুর্নীতির শীর্ষে পাসপোর্ট-বিআরটিএ-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা

আপডেট সময় : ০৮:০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

২০২৩ সালে জাতীয়ভাবে প্রাক্কলিত ঘুসের পরিমাণ ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও জিডিপির ০ দশমিক ২২ শতাংশ। এই পরিমাণ অর্থ দেশের মানুষ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা পেতে ঘুস দিয়েছে।

সর্বোচ্চ দুর্নীতি ও ঘুসের হার পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায়।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ ২০২৩ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেবা পেতে খানা বা পরিবারপ্রতি ৫ হাজার ৬৮০ টাকা ঘুস দিতে হয়েছে। গড় ঘুসের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বিচারিক সেবা, ভূমি সেবা ও ব্যাংকখাতে। সেবা পেতে ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবার দুর্নীতি ও ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার ঘুসের শিকার হয়েছে।

জরিপে অন্তর্ভুক্ত ঘুসদাতা খানার ৭৭ দশমিক ২ শতাংশ ঘুস দেওয়ার কারণ হিসেবে ঘুস না দিলে সেবা পাওয়া যায় না–একথা বলেছেন, অর্থাৎ ঘুস আদায়ে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ অব্যাহত রয়েছে।

ফলাফলে আরও বলা হয়, জরিপ অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ঘুস বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়ের তিনটি খাত হলো- বিচারিক সেবা, বিমা ও ভূমি সেবা।

৫৯ দশমিক ৬ শতাংশ খানা অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি বা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানে না এবং দুর্নীতির শিকার খানাসমূহের মাত্র ৮ দশমিক ৫ শতাংশ অভিযোগ করেছে।

জরিপে উঠে এসেছে, উচ্চ আয়ের তুলনায় নিম্ন আয়ের খানার ওপর দুর্নীতির বোঝা অপেক্ষাকৃত বেশি এবং সেবা নিতে গিয়ে উচ্চ আয়ের তুলনায় নিম্ন আয়ের খানা তাদের বার্ষিক আয়ের অপেক্ষাকৃত বেশি অংশ ঘুস দিতে বাধ্য হয়।

জরিপে উঠে এসেছে, বিচারিক সেবা পেতে পরিবার প্রতি ৩০ হাজার ৯৭২ টাকা ঘুস দিতে হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘুস ১১ হাজার ৭৭৬ টাকা দিতে হয়েছে ভূমি সেবা খাতে। সবচেয়ে বেশি ঘুস ও দুর্নীতি বরিশাল বিভাগে।

৫০ দশমিক ৯ শতাংশ খানা জানিয়েছে অভিযোগ জানানো হলেও প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ ঘটনায় কোনো অভিযোগ গ্রহণ করেনি প্রতিষ্ঠানগুলো।

গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষণা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরে আলম, মোহাম্মদ বদিউজ্জামান প্রমুখ।

৮ বিভাগের ১৫ হাজার ৫১৫টি পরিবারের তথ্য এই জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৩ মে থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত জরিপ পরিচালনা করা হয়।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল থেকে জাতীয় পর্যায়ে মোট ঘুসের ন্যূনতম প্রাক্কলিত পরিমাণ ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। দুর্নীতিবাজদের আগের মতো মানুষ ঘৃণা করে না। দুর্নীতিবাজদের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করা হয়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সভাপতি করা হয়।