ঢাকা ০২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় পাকিস্তানের স্পিকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জনতার ঢল সংসদ ভবনের পথে খালেদা জিয়ার মরদেহ কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক

টেকনাফে ৬৯ হাতবোমাসহ আটক ২

টেকনাফের  হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল এলাকার একটি জরাজীর্ণ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৬৯টি হাত বোমা এবং বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরীর সরঞ্জামসহ দুই দুস্কৃতিকারীকে গ্রেফতার করেছে বিজিবি।

গ্রেফতারকৃত হলেন- চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার নবুরকান্দি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মো. সম্রাট প্রধান (৩৩) এবং নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার দক্ষিণ গারমোরা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে মো. অন্তর (৩২)।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান।

তিনি বলেন, (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে কতিপয় দুষ্কৃতকারী দেশীয় বোমা তৈরীর সরঞ্জামাদিসহ অবস্থান করছে এমন এক তথ্যের প্রেক্ষিতে, রাত ৩ টার দিকে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের নেতৃত্বে বিজিবির একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকার কয়েকটি জরাজীর্ণ টিনশেড বাড়িকে ঘিরে অভিযান পরিচালনা করে। প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে ব্যাপক তল্লাশী চালিয়ে একটি জরাজীর্ণ ঘরের ভেতর থেকে তৈরিকৃত ৬৯টি হাত বোমা, ১.৬ কেজি সালফার, ১.৩ কেজি লালা, ৩১টি জর্দার কৌটা, ২২০ গ্রাম গুনাতার এবং ১টি প্লাসসহ দুইজন দুষ্কৃতকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় অবস্থানরত অপর দুইজন ব্যক্তি দ্রুত পালিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধচক্র চুক্তিভিত্তিক বোমা তৈরি করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি ও সরবরাহ করে আসছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। ধারনা করা হচ্ছে- স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার, সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমুলক কাজে ব্যবহারের জন্য এসব বোমা তৈরি করা হচ্ছিল।

গ্রেফতারকৃত দুষ্কৃতিদেরকে জব্দকৃত বোমা ও বোমা তৈরীর সরঞ্জামাদিসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও পলাতক ব্যক্তিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং উক্ত বাড়ির মালিকের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির এই কর্মকর্তা।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

টেকনাফে ৬৯ হাতবোমাসহ আটক ২

আপডেট সময় : ১২:১৯:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টেকনাফের  হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল এলাকার একটি জরাজীর্ণ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৬৯টি হাত বোমা এবং বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরীর সরঞ্জামসহ দুই দুস্কৃতিকারীকে গ্রেফতার করেছে বিজিবি।

গ্রেফতারকৃত হলেন- চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার নবুরকান্দি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মো. সম্রাট প্রধান (৩৩) এবং নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার দক্ষিণ গারমোরা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে মো. অন্তর (৩২)।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান।

তিনি বলেন, (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে কতিপয় দুষ্কৃতকারী দেশীয় বোমা তৈরীর সরঞ্জামাদিসহ অবস্থান করছে এমন এক তথ্যের প্রেক্ষিতে, রাত ৩ টার দিকে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের নেতৃত্বে বিজিবির একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকার কয়েকটি জরাজীর্ণ টিনশেড বাড়িকে ঘিরে অভিযান পরিচালনা করে। প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে ব্যাপক তল্লাশী চালিয়ে একটি জরাজীর্ণ ঘরের ভেতর থেকে তৈরিকৃত ৬৯টি হাত বোমা, ১.৬ কেজি সালফার, ১.৩ কেজি লালা, ৩১টি জর্দার কৌটা, ২২০ গ্রাম গুনাতার এবং ১টি প্লাসসহ দুইজন দুষ্কৃতকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় অবস্থানরত অপর দুইজন ব্যক্তি দ্রুত পালিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধচক্র চুক্তিভিত্তিক বোমা তৈরি করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি ও সরবরাহ করে আসছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। ধারনা করা হচ্ছে- স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার, সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমুলক কাজে ব্যবহারের জন্য এসব বোমা তৈরি করা হচ্ছিল।

গ্রেফতারকৃত দুষ্কৃতিদেরকে জব্দকৃত বোমা ও বোমা তৈরীর সরঞ্জামাদিসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও পলাতক ব্যক্তিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং উক্ত বাড়ির মালিকের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির এই কর্মকর্তা।