ঢাকা ১০:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চাকসু নির্বাচনে সোহরাওয়ার্দী হলে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী কক্সবাজারের ওসমান গনি টাইগারদের সুপার ফোরে ওঠার লড়াইয়ের ময়নাতদন্ত রামুর বাঁকখালীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতা: চ্যাম্পিয়ন সুরের ক্লাব, রানার্সআপ কৃষক ক্লাব ধনেপাতা কেন খাবেন, কীভাবে খাবেন অনলাইন জুয়ার শাস্তি দুই বছরের কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড পেলো পেকুয়ার ইমন টেকনাফে দোকানদারকে কু’পি’য়ে হ ‘ত্যা স্ত্রীর মৃত্যুর ২২ দিন পর ডাকাতের হাতে প্রাণ হারালেন উখিয়ার রিয়াদ, এতিম দুই শিশু বিদেশে ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান: ৫২ জনের নাম কেন প্রকাশ করছে না সিআইসি? সরকার পক্ষপাতিত্ব করলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ইফতেখারুজ্জামান রাগিবের ” প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ ” অর্জন পোকখালীতে আলোচিত শিশু নির্যাতনের ঘটনায় দুজন হেফাজতে চকরিয়ায় মহাসড়কে রশির ফাঁদে আটকিয়ে ডাকাতি, নিহত ১ রামু কেন্দ্রীয় প্রবারণা ও কল্প জাহাজ ভাসা উদযাপন পরিষদ গঠিত টেকনাফে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযান- নারী-শিশুসহ অপহৃত ৬৬ জন উদ্ধার
শ্রীলঙ্কার সাহায্য নাকি নিজেদের যোগ্যতা!

টাইগারদের সুপার ফোরে ওঠার লড়াইয়ের ময়নাতদন্ত

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ সুপার ফোরে উঠেছে—এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা। অনেকেই দাবি করছেন, শ্রীলঙ্কার জয়ে ভর করেই বাংলাদেশ টিকে গেছে। কিন্তু আসল চিত্রটা ভিন্ন। আফগানিস্তানের ব্যর্থতাই তাদের বিদায়ের কারণ হয়েছে, আর তুলনামূলকভাবে ভালো খেলার ফলেই বাংলাদেশ পরের পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।

আফগানিস্তানের গ্রুপপর্বের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়, তারা কোথায় পিছিয়ে গেছে। হংকংয়ের বিপক্ষে বড় জয় ছাড়া তাদের আর কোনো স্মরণীয় সাফল্য নেই। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৫৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ১৭০ রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে ১৮ ওভারের মধ্যেই হেরে বসেছে।

পুরো গ্রুপপর্বে আফগানিস্তানের ব্যাটিং ভর করেছে গুটিকয়েক ইনিংসে। নবীর ৬২, হংকংয়ের বিপক্ষে সাদিক অটলের ৭৩ আর ওমরজাইয়ের ফিফটি ছাড়া আর কোনো উল্লেখযোগ্য অবদান নেই। বেশিরভাগ সময় ব্যাটাররা ২০–৩০ রান তুলতেই হিমশিম খেয়েছেন। বোলিংয়েও প্রত্যাশিত ধার ছিল না। সেরা দশ বোলারের তালিকায় আফগানিস্তানের মাত্র একজন জায়গা পেয়েছেন, যেখানে বাংলাদেশের আছেন তিনজন।

অন্যদিকে বাংলাদেশ দেখিয়েছে তুলনামূলক স্থিতিশীল দলীয় পারফরম্যান্স। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের ম্যাচেও জাকের আলি আর শামীম হোসেনের ৪০+ ইনিংস ছিল। হংকংয়ের বিপক্ষে লিটনের ৫৯, আফগানিস্তানের বিপক্ষে তামিমের ৫২ দলের লড়াইকে এগিয়ে নিয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ডু-অর-ডাই ম্যাচে বাংলাদেশ ১৫৫ রান ডিফেন্ড করে জয় পেয়েছে। চাপের ম্যাচে জয়লাভই বলে দেয়, কে মানসিকভাবে বেশি প্রস্তুত ছিল।

এশিয়া কাপ ইতিহাসে বাংলাদেশ একাধিকবার “সবাই হারবে” বলা পরিস্থিতি থেকেও ফাইনালে উঠেছে। এবারও তারা যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে। তাই বাংলাদেশ সুপার ফোরে গেছে শ্রীলঙ্কার সহায়তায় নয়, বরং নিজেদের কনসিসটেন্ট দলীয় পারফরম্যান্সের কারণেই। আর আফগানিস্তানের অতিরিক্ত শর্ট বল, এক্সট্রা, আর দিশাহীন ব্যাটিংই তাদের বিদায়ের মূল কারণ।

সব মিলিয়ে, ক্রিকেট মানে খালি কয়েকটা ফ্লেয়ারফুল শট নয়, ধারাবাহিক পারফরম্যান্সই এখানে মুখ্য। সেই জায়গাতেই বাংলাদেশ আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে থেকেছে, আর যোগ্যতর দল হিসেবেই জায়গা করে নিয়েছে সুপার ফোরে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাকসু নির্বাচনে সোহরাওয়ার্দী হলে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী কক্সবাজারের ওসমান গনি

This will close in 6 seconds

শ্রীলঙ্কার সাহায্য নাকি নিজেদের যোগ্যতা!

টাইগারদের সুপার ফোরে ওঠার লড়াইয়ের ময়নাতদন্ত

আপডেট সময় : ০৮:১২:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ সুপার ফোরে উঠেছে—এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা। অনেকেই দাবি করছেন, শ্রীলঙ্কার জয়ে ভর করেই বাংলাদেশ টিকে গেছে। কিন্তু আসল চিত্রটা ভিন্ন। আফগানিস্তানের ব্যর্থতাই তাদের বিদায়ের কারণ হয়েছে, আর তুলনামূলকভাবে ভালো খেলার ফলেই বাংলাদেশ পরের পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।

আফগানিস্তানের গ্রুপপর্বের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়, তারা কোথায় পিছিয়ে গেছে। হংকংয়ের বিপক্ষে বড় জয় ছাড়া তাদের আর কোনো স্মরণীয় সাফল্য নেই। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৫৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ১৭০ রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে ১৮ ওভারের মধ্যেই হেরে বসেছে।

পুরো গ্রুপপর্বে আফগানিস্তানের ব্যাটিং ভর করেছে গুটিকয়েক ইনিংসে। নবীর ৬২, হংকংয়ের বিপক্ষে সাদিক অটলের ৭৩ আর ওমরজাইয়ের ফিফটি ছাড়া আর কোনো উল্লেখযোগ্য অবদান নেই। বেশিরভাগ সময় ব্যাটাররা ২০–৩০ রান তুলতেই হিমশিম খেয়েছেন। বোলিংয়েও প্রত্যাশিত ধার ছিল না। সেরা দশ বোলারের তালিকায় আফগানিস্তানের মাত্র একজন জায়গা পেয়েছেন, যেখানে বাংলাদেশের আছেন তিনজন।

অন্যদিকে বাংলাদেশ দেখিয়েছে তুলনামূলক স্থিতিশীল দলীয় পারফরম্যান্স। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের ম্যাচেও জাকের আলি আর শামীম হোসেনের ৪০+ ইনিংস ছিল। হংকংয়ের বিপক্ষে লিটনের ৫৯, আফগানিস্তানের বিপক্ষে তামিমের ৫২ দলের লড়াইকে এগিয়ে নিয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ডু-অর-ডাই ম্যাচে বাংলাদেশ ১৫৫ রান ডিফেন্ড করে জয় পেয়েছে। চাপের ম্যাচে জয়লাভই বলে দেয়, কে মানসিকভাবে বেশি প্রস্তুত ছিল।

এশিয়া কাপ ইতিহাসে বাংলাদেশ একাধিকবার “সবাই হারবে” বলা পরিস্থিতি থেকেও ফাইনালে উঠেছে। এবারও তারা যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে। তাই বাংলাদেশ সুপার ফোরে গেছে শ্রীলঙ্কার সহায়তায় নয়, বরং নিজেদের কনসিসটেন্ট দলীয় পারফরম্যান্সের কারণেই। আর আফগানিস্তানের অতিরিক্ত শর্ট বল, এক্সট্রা, আর দিশাহীন ব্যাটিংই তাদের বিদায়ের মূল কারণ।

সব মিলিয়ে, ক্রিকেট মানে খালি কয়েকটা ফ্লেয়ারফুল শট নয়, ধারাবাহিক পারফরম্যান্সই এখানে মুখ্য। সেই জায়গাতেই বাংলাদেশ আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে থেকেছে, আর যোগ্যতর দল হিসেবেই জায়গা করে নিয়েছে সুপার ফোরে।