ঢাকা ০৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার এসে পর্যটকদের আর চিন্তা নেই এসে গেছে ‘ভ্রমণিকা’ অ্যাপ শুক্রবার কক্সবাজার আসছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব জামালপুরের ‘যৌনপল্লী’ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প – মাদকের এডি দিদারুলের যত অপকর্ম! সাংবাদিককে ফাঁসাতে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লাইভ নাটক! “আমার বোনের কান্না, আর না-আর না” পেকুয়ার বানৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাঁটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বানৌজা পেকুয়া পেকুয়ার নৌঘাঁটি সহ সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা-স্থাপনার নাম পরিবর্তন ধর্ম উপদেষ্টা কক্সবাজার আসছেন সোমবার: জেলা মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন চকরিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান: ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা মব ভায়োল্যান্স সৃষ্টিকারী সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: মাহফুজ আলম ব্যারিস্টার সাফফাত ফারদিন চৌধুরী – মরিচ্যাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন সভাপতি রিজার্ভ এখন ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার ধর্ষণের মামলা ৯০ দিনে শেষ করতে আইন হচ্ছে : উপদেষ্টা বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হলেন কাজল বদরখালীতে মহেশখালী পারাপারের গাড়ি যখন ইচ্ছে আটকে দিচ্ছে কতিপয় লোকজন

জ্বরের সঙ্গে কেন শরীর ব্যথা করে

জ্বর আজকাল বেশ উদ্বেগের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরজুড়ে হচ্ছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জিকাসহ নানা রোগ। এখনকার সাধারণ ভাইরাস জ্বরেও তাপমাত্রা ১০৪ থেকে ১০৫ ডিগ্রি হতে পারে। জ্বর হলে শুরুতেই আতঙ্কিত হওয়া ঠিক নয়। বেশির ভাগ জ্বর এখনো ভাইরাসজনিত ও তেমন গুরুতর কিছু নয়।

ভাইরাস জ্বর প্রথম দিকে তীব্র ও কষ্টকর হলেও দ্রুতই ভালো হয়ে যায়। তবে জ্বর যদি অনেক দিন থাকে, তীব্রতা বেশি না হলেও সহজে ছেড়ে না যায়, সেসব জ্বরের কারণ শনাক্ত করতে কিন্তু সময় লাগে। সারতেও সময় লাগে। আবার এমন জ্বরের সঙ্গে নানা আনুষঙ্গিক উপসর্গও বেশ কষ্ট দেয়; যেমন শরীর, গিঁট ও পেশিতে ব্যথা।

কোন জ্বরে কেমন ব্যথা

চিকুনগুনিয়ায় জ্বরের সঙ্গে গিঁটে ব্যথা পরিচিত উপসর্গ। হাঁটু, কোমরসহ বড় গিঁটগুলোয় ব্যথা হয়। এমন সংক্রমণে জ্বরের চেয়ে ব্যথাই কষ্ট দেয় বেশি। অনেকে ব্যথার চোটে হাঁটতেই পারেন না, বাঁকা হয়ে হাঁটেন। জ্বর সেরে যাওয়ার পরও ব্যথা থাকতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে জয়েন্টে ব্যথা রয়ে যেতে পারে। তিন থেকে চার সপ্তাহ থাকতে পারে। এমনকি এর বেশিও।

ডেঙ্গুতে কিন্তু গিঁটে ব্যথা হয় না। তবে সারা শরীরে ব্যথা হয়। ডেঙ্গুতে মেরুদণ্ড ও কোমরেও খুব ব্যথা হয়। এ জন্য ডেঙ্গুকে ব্যাকবোন ফিভার বলা হয়। কারণ, এত ব্যথা হয়, মনে হয় কোমর ভেঙে যাচ্ছে। সাধারণত ডেঙ্গু সাত থেকে আট দিন পর ভালো হয়ে যায়। জ্বরের সঙ্গে ব্যথাও চলে যায়।

শরীরের নানা অংশে তীব্র ব্যথার পাশাপাশি এ দুই সংক্রমণেই শরীর খুব দুর্বল লাগে। কোনো কাজ করতে ইচ্ছা করে না। মাথাঘোরা, ক্লান্তি ও অবসাদ লাগে।

ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সেরে উঠতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারা দিনে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। ঘুম কম হলে ক্লান্তি ও শরীরে ব্যথা–যন্ত্রণা বাড়ে।

জ্বরে শরীরে অনেক ঘাম হয়। তাই পানির ঘাটতি হয়। শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে পড়ে। এতে শরীরে ব্যথার তীব্রতা বাড়ে। তাই যে কারণেই জ্বর হোক, অন্য সময়ের চেয়ে এক থেকে দেড় লিটার পানি ও পানীয় খাবার বাড়িয়ে দিতে হবে। শরীর থেকে যত বেশি টক্সিন বের করে দেওয়া যাবে, ততই শরীরের ব্যথা কমবে।

হালকা ফ্রি–হ্যান্ড এক্সারসাইজও করতে পারেন।

ব্যথার তীব্রতা বেশি হলে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন এনএসএআইডি বিপজ্জনক হতে পারে।

অত্যধিক ও একনাগাড়ে ব্যথা–যন্ত্রণা হতে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজার এসে পর্যটকদের আর চিন্তা নেই এসে গেছে ‘ভ্রমণিকা’ অ্যাপ

This will close in 6 seconds

জ্বরের সঙ্গে কেন শরীর ব্যথা করে

আপডেট সময় : ০৮:৪২:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

জ্বর আজকাল বেশ উদ্বেগের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরজুড়ে হচ্ছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জিকাসহ নানা রোগ। এখনকার সাধারণ ভাইরাস জ্বরেও তাপমাত্রা ১০৪ থেকে ১০৫ ডিগ্রি হতে পারে। জ্বর হলে শুরুতেই আতঙ্কিত হওয়া ঠিক নয়। বেশির ভাগ জ্বর এখনো ভাইরাসজনিত ও তেমন গুরুতর কিছু নয়।

ভাইরাস জ্বর প্রথম দিকে তীব্র ও কষ্টকর হলেও দ্রুতই ভালো হয়ে যায়। তবে জ্বর যদি অনেক দিন থাকে, তীব্রতা বেশি না হলেও সহজে ছেড়ে না যায়, সেসব জ্বরের কারণ শনাক্ত করতে কিন্তু সময় লাগে। সারতেও সময় লাগে। আবার এমন জ্বরের সঙ্গে নানা আনুষঙ্গিক উপসর্গও বেশ কষ্ট দেয়; যেমন শরীর, গিঁট ও পেশিতে ব্যথা।

কোন জ্বরে কেমন ব্যথা

চিকুনগুনিয়ায় জ্বরের সঙ্গে গিঁটে ব্যথা পরিচিত উপসর্গ। হাঁটু, কোমরসহ বড় গিঁটগুলোয় ব্যথা হয়। এমন সংক্রমণে জ্বরের চেয়ে ব্যথাই কষ্ট দেয় বেশি। অনেকে ব্যথার চোটে হাঁটতেই পারেন না, বাঁকা হয়ে হাঁটেন। জ্বর সেরে যাওয়ার পরও ব্যথা থাকতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে জয়েন্টে ব্যথা রয়ে যেতে পারে। তিন থেকে চার সপ্তাহ থাকতে পারে। এমনকি এর বেশিও।

ডেঙ্গুতে কিন্তু গিঁটে ব্যথা হয় না। তবে সারা শরীরে ব্যথা হয়। ডেঙ্গুতে মেরুদণ্ড ও কোমরেও খুব ব্যথা হয়। এ জন্য ডেঙ্গুকে ব্যাকবোন ফিভার বলা হয়। কারণ, এত ব্যথা হয়, মনে হয় কোমর ভেঙে যাচ্ছে। সাধারণত ডেঙ্গু সাত থেকে আট দিন পর ভালো হয়ে যায়। জ্বরের সঙ্গে ব্যথাও চলে যায়।

শরীরের নানা অংশে তীব্র ব্যথার পাশাপাশি এ দুই সংক্রমণেই শরীর খুব দুর্বল লাগে। কোনো কাজ করতে ইচ্ছা করে না। মাথাঘোরা, ক্লান্তি ও অবসাদ লাগে।

ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সেরে উঠতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারা দিনে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। ঘুম কম হলে ক্লান্তি ও শরীরে ব্যথা–যন্ত্রণা বাড়ে।

জ্বরে শরীরে অনেক ঘাম হয়। তাই পানির ঘাটতি হয়। শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে পড়ে। এতে শরীরে ব্যথার তীব্রতা বাড়ে। তাই যে কারণেই জ্বর হোক, অন্য সময়ের চেয়ে এক থেকে দেড় লিটার পানি ও পানীয় খাবার বাড়িয়ে দিতে হবে। শরীর থেকে যত বেশি টক্সিন বের করে দেওয়া যাবে, ততই শরীরের ব্যথা কমবে।

হালকা ফ্রি–হ্যান্ড এক্সারসাইজও করতে পারেন।

ব্যথার তীব্রতা বেশি হলে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন এনএসএআইডি বিপজ্জনক হতে পারে।

অত্যধিক ও একনাগাড়ে ব্যথা–যন্ত্রণা হতে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।