ঢাকা ০৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার এসে পর্যটকদের আর চিন্তা নেই এসে গেছে ‘ভ্রমণিকা’ অ্যাপ শুক্রবার কক্সবাজার আসছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব জামালপুরের ‘যৌনপল্লী’ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প – মাদকের এডি দিদারুলের যত অপকর্ম! সাংবাদিককে ফাঁসাতে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লাইভ নাটক! “আমার বোনের কান্না, আর না-আর না” পেকুয়ার বানৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাঁটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বানৌজা পেকুয়া পেকুয়ার নৌঘাঁটি সহ সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা-স্থাপনার নাম পরিবর্তন ধর্ম উপদেষ্টা কক্সবাজার আসছেন সোমবার: জেলা মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন চকরিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান: ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা মব ভায়োল্যান্স সৃষ্টিকারী সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: মাহফুজ আলম ব্যারিস্টার সাফফাত ফারদিন চৌধুরী – মরিচ্যাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন সভাপতি রিজার্ভ এখন ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার ধর্ষণের মামলা ৯০ দিনে শেষ করতে আইন হচ্ছে : উপদেষ্টা বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হলেন কাজল বদরখালীতে মহেশখালী পারাপারের গাড়ি যখন ইচ্ছে আটকে দিচ্ছে কতিপয় লোকজন

জিপি এক্সিলারেটর গালা নাইট- কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ স্টার্টআপের খেতাব পেলো ‘দরিয়া’

দেশজুড়ে উদীয়মান উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নেওয়া ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি জিপি অ্যাক্সিলারেটরের ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তার’ সাফল্য উদ্‌যাপন করেছে গ্রামীণফোন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে গালা নাইট আয়োজনের মাধ্যমে অনুপ্রেরণামূলক এই উদ্যোগ উদ্‌যাপন করে অপারেটরটি।

গালা নাইটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২০ জন বিজয়ী স্টার্টআপের সাফল্য উদ্‌যাপন এবং কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ৩০ জন কমিউনিটি বিল্ডারের অসামান্য ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সেখানে কক্সবাজার জেলা থেকে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অর্জন করে দুই তরুণ উদ্যোক্তা সায়ন্তন ভট্টাচার্য ও অতনু দাশের কক্সবাজার ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘দরিয়া’।

‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রতিভাবান তরুণদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধি, নেটওয়ার্কিংয়ে সুযোগ তৈরি ও যথাযথ দিকনির্দেশনা দেওয়ার মাধ্যমে তাঁদের ব্যবসায়িক ও আর্থিক সাফল্যকে বেগবান করা।

 

দেশের সম্ভাবনাময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলো বাস্তবে রূপ দিতে জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা উদ্যোগটি নেওয়া হয়। এ উদ্যোগের আওতায় দেশব্যাপী ২০টি অঞ্চলে নিবিড় প্রশিক্ষণ কর্মশালার (বুটক্যাম্প) মাধ্যমে ৫ হাজার ২০০-এর বেশি স্টার্টআপকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশের উদ্যোক্তা গড়ে তোলার পরিবেশকে সুগম করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। এ সময় বিজয়ী উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দিক, গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশিষ্ট উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কীভাবে এ কর্মসূচি উদ্যোক্তা হওয়ার যাত্রাকে সফল করেছে, অনুষ্ঠানে বিজয়ীরা তাঁদের সেসব অনুপ্রেরণামূলক গল্প তুলে ধরেন।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে গ্রামীণফোনের এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সত্যিই প্রশংসনীয়। তরুণেরা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি। তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় সম্পৃক্ত করতে অপারেটরটির যে প্রচেষ্টা, তা সত্যিই প্রশংসনীয়; এ উদ্যোগ তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’

গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদ তরুণদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোনের লক্ষ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মের সাফল্যের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা, সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখাই আমাদের লক্ষ্য। জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে অসাধারণ সম্ভাবনা দেখেছি। আজ আমরা সেই ২০ জন বিজয়ী উদ্যোক্তার (স্টার্টআপের) সাফল্য উদ্‌যাপন করছি, যাঁরা তাঁদের উদ্ভাবনী ধারণা ও দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে নিজেদের বিশেষত্ব তুলে ধরেছেন।’

জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা বুটক্যাম্প সিরিজ দেশের ২০টি অঞ্চলে ধাপে ধাপে পরিচালিত হয়। অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা উন্নয়ন, দিকনির্দেশনা ও অর্থায়নসংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে; যাতে তাঁরা প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক পরিবেশে টিকে থাকতে পারেন।

২০১৫ সালে কার্যক্রম চালুর পর থেকে দেশের স্টার্টআপ খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে জিপি অ্যাক্সিলারেটর। এটি ৫০টি স্টার্টআপের মাধ্যমে ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। একই সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে জিপি অ্যাক্সিলারেটর।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজার এসে পর্যটকদের আর চিন্তা নেই এসে গেছে ‘ভ্রমণিকা’ অ্যাপ

This will close in 6 seconds

জিপি এক্সিলারেটর গালা নাইট- কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ স্টার্টআপের খেতাব পেলো ‘দরিয়া’

আপডেট সময় : ০৪:২৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

দেশজুড়ে উদীয়মান উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নেওয়া ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি জিপি অ্যাক্সিলারেটরের ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তার’ সাফল্য উদ্‌যাপন করেছে গ্রামীণফোন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে গালা নাইট আয়োজনের মাধ্যমে অনুপ্রেরণামূলক এই উদ্যোগ উদ্‌যাপন করে অপারেটরটি।

গালা নাইটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২০ জন বিজয়ী স্টার্টআপের সাফল্য উদ্‌যাপন এবং কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ৩০ জন কমিউনিটি বিল্ডারের অসামান্য ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সেখানে কক্সবাজার জেলা থেকে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অর্জন করে দুই তরুণ উদ্যোক্তা সায়ন্তন ভট্টাচার্য ও অতনু দাশের কক্সবাজার ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘দরিয়া’।

‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রতিভাবান তরুণদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধি, নেটওয়ার্কিংয়ে সুযোগ তৈরি ও যথাযথ দিকনির্দেশনা দেওয়ার মাধ্যমে তাঁদের ব্যবসায়িক ও আর্থিক সাফল্যকে বেগবান করা।

 

দেশের সম্ভাবনাময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলো বাস্তবে রূপ দিতে জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা উদ্যোগটি নেওয়া হয়। এ উদ্যোগের আওতায় দেশব্যাপী ২০টি অঞ্চলে নিবিড় প্রশিক্ষণ কর্মশালার (বুটক্যাম্প) মাধ্যমে ৫ হাজার ২০০-এর বেশি স্টার্টআপকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশের উদ্যোক্তা গড়ে তোলার পরিবেশকে সুগম করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। এ সময় বিজয়ী উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দিক, গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশিষ্ট উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কীভাবে এ কর্মসূচি উদ্যোক্তা হওয়ার যাত্রাকে সফল করেছে, অনুষ্ঠানে বিজয়ীরা তাঁদের সেসব অনুপ্রেরণামূলক গল্প তুলে ধরেন।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে গ্রামীণফোনের এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সত্যিই প্রশংসনীয়। তরুণেরা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি। তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় সম্পৃক্ত করতে অপারেটরটির যে প্রচেষ্টা, তা সত্যিই প্রশংসনীয়; এ উদ্যোগ তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’

গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদ তরুণদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোনের লক্ষ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মের সাফল্যের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা, সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখাই আমাদের লক্ষ্য। জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে অসাধারণ সম্ভাবনা দেখেছি। আজ আমরা সেই ২০ জন বিজয়ী উদ্যোক্তার (স্টার্টআপের) সাফল্য উদ্‌যাপন করছি, যাঁরা তাঁদের উদ্ভাবনী ধারণা ও দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে নিজেদের বিশেষত্ব তুলে ধরেছেন।’

জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা বুটক্যাম্প সিরিজ দেশের ২০টি অঞ্চলে ধাপে ধাপে পরিচালিত হয়। অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা উন্নয়ন, দিকনির্দেশনা ও অর্থায়নসংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে; যাতে তাঁরা প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক পরিবেশে টিকে থাকতে পারেন।

২০১৫ সালে কার্যক্রম চালুর পর থেকে দেশের স্টার্টআপ খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে জিপি অ্যাক্সিলারেটর। এটি ৫০টি স্টার্টআপের মাধ্যমে ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। একই সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে জিপি অ্যাক্সিলারেটর।