ঢাকা ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক খালেদার সেবাসঙ্গী ফাতেমা খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, একদিনের সাধারণ ছুটি খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সাত দিন শোক পালনের কর্মসূচি বিএনপির

জলবায়ু ন্যায়বিচার ও যুদ্ধবিরতির দাবিতে কক্সবাজারে তরুণদের সমাবেশ

জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা ও ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কক্সবাজারে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছে এক্টিভিস্টা কক্সবাজার। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এ সমাবেশে বিশ্বনেতাদের কাছে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ ও জলবায়ু সুবিচারের দাবি জানান স্থানীয় তরুণরা।

একশনএইড বাংলাদেশ-এর যুব প্ল্যাটফর্ম এক্টিভিস্টা কক্সবাজার-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট থেকে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি ফিলিস্তিনে অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদ জানিয়ে যুদ্ধবিরতির জোর দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া জলবায়ু আন্দোলনকারীরা জানান, উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিপুল অর্থায়নের মাধ্যমে নব্য ঔপনিবেশিক শোষণ, যুদ্ধ এবং পরিবেশ ধ্বংসে ভূমিকা রাখছে। এর ফলে বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনছে।

এই ধর্মঘটে অংশ নেওয়া শতাধিক তরুণ প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, চিত্রকর্ম, গান ও নাটকের মাধ্যমে তাদের দাবি তুলে ধরেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল— ‘ডোন’t সেল আওয়ার ফিউচার’, ‘ফিক্স দ্য ফাইন্যান্স’, ‘জলবায়ু সুবিচার চাই’, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করো’, ‘ক্ষতিকর কৃষি চর্চা বন্ধ করো’, এবং ‘জলবায়ু সহনশীল কৃষিতে বিনিয়োগ করো’।

এসময় স্থানীয় জলবায়ু সংকট নিয়ে তারা কক্সবাজারে সুপেয় পানির সংকট, প্যারাবন নিধন, প্লাস্টিক দূষণ এবং পরিবেশ রক্ষার দাবিও জানান।

তরুণ জলবায়ু কর্মী আয়শা ছিদ্দিকা রিয়া বলেন, “যেভাবে বিশ্বজুড়ে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ছে, আমাদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ বিক্রি করতে দিতে পারি না।”

একশনএইড বাংলাদেশ-এর কর্মকর্তা তাফহীমুল জান্নাত সিফাত বলেন, “ভবিষ্যৎ সুরক্ষার দাবি জানাতে আজকে একত্রিত হয়েছে কক্সবাজারের তরুণরা। এর জন্য জলবায়ু ন্যায়বিচার ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, আমরা যুদ্ধবিরতির জোর দাবি জানাচ্ছি।”

জলবায়ু ধর্মঘটে সংহতি জানিয়ে অংশ নেন কক্সবাজারের ৬টি যুব সংগঠনের শতাধিক তরুণ-তরুণী।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে

This will close in 6 seconds

জলবায়ু ন্যায়বিচার ও যুদ্ধবিরতির দাবিতে কক্সবাজারে তরুণদের সমাবেশ

আপডেট সময় : ০৪:৩১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা ও ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কক্সবাজারে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছে এক্টিভিস্টা কক্সবাজার। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এ সমাবেশে বিশ্বনেতাদের কাছে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ ও জলবায়ু সুবিচারের দাবি জানান স্থানীয় তরুণরা।

একশনএইড বাংলাদেশ-এর যুব প্ল্যাটফর্ম এক্টিভিস্টা কক্সবাজার-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট থেকে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি ফিলিস্তিনে অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদ জানিয়ে যুদ্ধবিরতির জোর দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া জলবায়ু আন্দোলনকারীরা জানান, উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিপুল অর্থায়নের মাধ্যমে নব্য ঔপনিবেশিক শোষণ, যুদ্ধ এবং পরিবেশ ধ্বংসে ভূমিকা রাখছে। এর ফলে বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনছে।

এই ধর্মঘটে অংশ নেওয়া শতাধিক তরুণ প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, চিত্রকর্ম, গান ও নাটকের মাধ্যমে তাদের দাবি তুলে ধরেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল— ‘ডোন’t সেল আওয়ার ফিউচার’, ‘ফিক্স দ্য ফাইন্যান্স’, ‘জলবায়ু সুবিচার চাই’, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করো’, ‘ক্ষতিকর কৃষি চর্চা বন্ধ করো’, এবং ‘জলবায়ু সহনশীল কৃষিতে বিনিয়োগ করো’।

এসময় স্থানীয় জলবায়ু সংকট নিয়ে তারা কক্সবাজারে সুপেয় পানির সংকট, প্যারাবন নিধন, প্লাস্টিক দূষণ এবং পরিবেশ রক্ষার দাবিও জানান।

তরুণ জলবায়ু কর্মী আয়শা ছিদ্দিকা রিয়া বলেন, “যেভাবে বিশ্বজুড়ে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ছে, আমাদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ বিক্রি করতে দিতে পারি না।”

একশনএইড বাংলাদেশ-এর কর্মকর্তা তাফহীমুল জান্নাত সিফাত বলেন, “ভবিষ্যৎ সুরক্ষার দাবি জানাতে আজকে একত্রিত হয়েছে কক্সবাজারের তরুণরা। এর জন্য জলবায়ু ন্যায়বিচার ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, আমরা যুদ্ধবিরতির জোর দাবি জানাচ্ছি।”

জলবায়ু ধর্মঘটে সংহতি জানিয়ে অংশ নেন কক্সবাজারের ৬টি যুব সংগঠনের শতাধিক তরুণ-তরুণী।