গভীর নিম্নচাপটি উপকূল অতিক্রম করলেও কক্সবাজারে এখনো এর তাণ্ডব থামেনি। শহরজুড়ে চলমান রয়েছে টানা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঝড়ো হাওয়ার গতিও বেশ উদ্বেগজনক। প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতি ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো আকারে কখনো কখনো ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছেছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে এখনো ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের প্রভাবে কক্সবাজার জেলার বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, রামু, চকরিয়া, টেকনাফ, উখিয়া, পেকুয়া, কক্সবাজার সদর ও ঈদগাঁও উপজেলার নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, আজ ও আগামীকাল পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এর ফলে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যেসব মানুষ পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস করছেন, তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।
প্রশাসন ও স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যদি দ্রুত নিরাপদে সরে না যাওয়া হয়, তবে বিগত বছরগুলোর মতো পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
উল্লেখ্য, চলমান দুর্যোগের কারণে জেলা জুড়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার ও অফিসগুলোতে উপস্থিতিও তুলনামূলক কম। প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে, এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও খুলে দেওয়া হয়েছে।
																			
										
																আব্দুর রশিদ মানিক:								 




















