ঢাকা ০৫:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই ফাউন্ডেশন পরিচালনায় টাকা নেই, অনিশ্চয়তায় কর্মীদের বেতন কক্সবাজারে ফরেস্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের বর্ধিত সভা:মাঠপর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার আহ্বান ৩০ ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে ইসরায়েল, গাজায় ফের হামলা টেকনাফের মাহত আমিন র‍্যাবের জালে ১৫০০ রানার নিয়ে কক্সবাজার ম্যারাথন সম্পন্ন এক নামে ১০টির বেশি সিম থাকলে বন্ধ হবে শনিবার থেকে উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির শেষ সভা অনুষ্ঠিত; দায়িত্বে নির্বাচন কমিশন  হ্নীলার সড়ক দূর্ঘটনায় আরেকজনের মৃত্যু… টেকনাফে পুলিশের অভিযানে ৫৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার হ্নীলায় সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল চালকের ১৯ দিন ছিলেন চিকিৎসাধীন > চলে গেলেন মাইন বি’স্ফোর’ণে আহ’ত বিজিবি সদস্য প্রতিবাদের মুখে কবিতা চত্বরে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করলো পর্যটন কর্পোরেশন জাতিসংঘ সামাজিক সম্মেলনে যোগ দেবেন সিইএইচআরডিএফ প্রধান নির্বাহী মোঃ ইলিয়াছ মিয়া নাইক্ষ্যংছড়িতে ‘তারুণ্য উৎসব ২০২৫’ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বক্তা সাংবাদিক কন্যা নুরিয়ান হাসান ফাল্গুন’র মোড়ক উন্মোচন শনিবার

কক্সবাজার সৈকতে অরিত্র নিখোঁজের একমাস – আশা ছাড়ছে না পরিবার

বেড়াতে এসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে বন্ধুদের সাথে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান (২২)।

গত ৮ জুলাই সকালে এই ঘটনায় অরিত্রের সাথে সাগরে তলিয়ে যান তার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বন্ধু ঢাকার মিরপুরের কে এম সাদমান রহমান ও আসিফ মোহাম্মদ। ঘটনার প্রায় তিন ঘন্টার পর সৈকতের বালিয়াড়িতে ভেসে সাদমানের মরদেহ এবং পরদিন ৯ জুলাই আসিফের মরদেহ সৈকতের নাজিরারটেক পয়েন্টে। এক মাস অতিবাহিত হলেও এখনো বগুড়ার বাসিন্দা অরিত্রের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সি-সেফ লাইফ গার্ড এর সমন্বয়ে অরিত্রকে খোঁজার উদ্যোগ নেওয়া হয়, ড্রোন উড়িয়ে সাগরে তল্লাশি করে বিমানবাহিনী।

অরিত্র নিখোঁজের পরপরই কক্সবাজার চলে আসে তার পরিবার। ছেলে’কে খুঁজে পাওয়ার আশায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ উদ্ধার দলের সাথে টানা দুই সপ্তাহ সৈকতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ছুটেছেন অরিত্রের বাবা-মা।

ঢাকায় একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেন অরিত্রের বাবা সাকিব হাসান, ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশা ছাড়েননি তিনি।

মুঠোফোনে সাকিব বলেন, ‘ আমি কেনো এখনো আমার ছেলে পেলাম না? সবাই তো চেষ্টা করছে, পিতা হিসেবে আমি খুব হতাশ। ‘

আবেগাপ্লুত এই পিতা আরো বলেন, ‘ অরিত্র হাসান আমার একমাত্র সন্তান, আমি যতদিন বেঁচে
থাকবো তাকে ফিরে পেতে সব চেষ্টা অব্যাহত রাখবো। যেকোনো অবস্থাতেই হোক না কেনো আমি এক টুকরো অরিত্রকেও হলে ফিরে পেতে চাই। ‘

উদ্ধার তৎপরতা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘ আমরা সবধরনের প্রচেষ্টা চালিয়েছি, কিন্তু একমাসে কোনো ফলাফল আসেনি। তারপরেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া আছে অরিত্রের সন্ধানে করণীয় তৎপরতা বজায় রাখতে।’

অরিত্রের উদ্ধার অভিযানে শুরু থেকে কাজ করেছে সৈকতে সতর্কতা করার পাশাপাশি ডুবে যাওয়া পর্যটকদের উদ্ধারে নিয়োজিত সি-সেফ লাইফগার্ড।

বেসরকারি প্রকল্পটির কর্মী মোহাম্মদ ওসমান জানালেন, ‘ অরিত্রের পরিণতি কি ঘটেছে একমাত্র আল্লাহই জানেন। আমরা উদ্ধার অভিযানে গিয়ে জলদস্যুর ফাঁদেও পড়েছি। গভীর সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের বলে রেখেছি, কোনো লাশ ভাসতে দেখলে যাতে জানানো হয়।’

অরিত্রর মা জেসমিন আক্তার এখনো অপেক্ষায় আছেন—যদি কোনো এক ঢেউয়ে ভেসে আসে অরিত্র।

ট্যাগ :

জুলাই ফাউন্ডেশন পরিচালনায় টাকা নেই, অনিশ্চয়তায় কর্মীদের বেতন

This will close in 6 seconds

কক্সবাজার সৈকতে অরিত্র নিখোঁজের একমাস – আশা ছাড়ছে না পরিবার

আপডেট সময় : ০২:০৮:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

বেড়াতে এসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে বন্ধুদের সাথে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান (২২)।

গত ৮ জুলাই সকালে এই ঘটনায় অরিত্রের সাথে সাগরে তলিয়ে যান তার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বন্ধু ঢাকার মিরপুরের কে এম সাদমান রহমান ও আসিফ মোহাম্মদ। ঘটনার প্রায় তিন ঘন্টার পর সৈকতের বালিয়াড়িতে ভেসে সাদমানের মরদেহ এবং পরদিন ৯ জুলাই আসিফের মরদেহ সৈকতের নাজিরারটেক পয়েন্টে। এক মাস অতিবাহিত হলেও এখনো বগুড়ার বাসিন্দা অরিত্রের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সি-সেফ লাইফ গার্ড এর সমন্বয়ে অরিত্রকে খোঁজার উদ্যোগ নেওয়া হয়, ড্রোন উড়িয়ে সাগরে তল্লাশি করে বিমানবাহিনী।

অরিত্র নিখোঁজের পরপরই কক্সবাজার চলে আসে তার পরিবার। ছেলে’কে খুঁজে পাওয়ার আশায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ উদ্ধার দলের সাথে টানা দুই সপ্তাহ সৈকতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ছুটেছেন অরিত্রের বাবা-মা।

ঢাকায় একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেন অরিত্রের বাবা সাকিব হাসান, ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশা ছাড়েননি তিনি।

মুঠোফোনে সাকিব বলেন, ‘ আমি কেনো এখনো আমার ছেলে পেলাম না? সবাই তো চেষ্টা করছে, পিতা হিসেবে আমি খুব হতাশ। ‘

আবেগাপ্লুত এই পিতা আরো বলেন, ‘ অরিত্র হাসান আমার একমাত্র সন্তান, আমি যতদিন বেঁচে
থাকবো তাকে ফিরে পেতে সব চেষ্টা অব্যাহত রাখবো। যেকোনো অবস্থাতেই হোক না কেনো আমি এক টুকরো অরিত্রকেও হলে ফিরে পেতে চাই। ‘

উদ্ধার তৎপরতা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘ আমরা সবধরনের প্রচেষ্টা চালিয়েছি, কিন্তু একমাসে কোনো ফলাফল আসেনি। তারপরেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া আছে অরিত্রের সন্ধানে করণীয় তৎপরতা বজায় রাখতে।’

অরিত্রের উদ্ধার অভিযানে শুরু থেকে কাজ করেছে সৈকতে সতর্কতা করার পাশাপাশি ডুবে যাওয়া পর্যটকদের উদ্ধারে নিয়োজিত সি-সেফ লাইফগার্ড।

বেসরকারি প্রকল্পটির কর্মী মোহাম্মদ ওসমান জানালেন, ‘ অরিত্রের পরিণতি কি ঘটেছে একমাত্র আল্লাহই জানেন। আমরা উদ্ধার অভিযানে গিয়ে জলদস্যুর ফাঁদেও পড়েছি। গভীর সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের বলে রেখেছি, কোনো লাশ ভাসতে দেখলে যাতে জানানো হয়।’

অরিত্রর মা জেসমিন আক্তার এখনো অপেক্ষায় আছেন—যদি কোনো এক ঢেউয়ে ভেসে আসে অরিত্র।