ঢাকা ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অ’স্ত্র, নগদ টাকাসহ কলাতলীর কামরুল গ্রেফতার উখিয়ার ওসি জানেন না এসআইয়ের অভিযানের খবর! ১৬১১১ এ কল পেয়ে বিকল ফিশিং বোটের ১১ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করলো কোস্ট গার্ড কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ির সকল দোকান সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ বিএনপিতে যোগ দিলেন মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধ মহেশখালীতে অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল প্রতিযোগিতা সম্পন্ন: চ্যাম্পিয়ন টাইম বাজার প্রাইমারি স্কুল পেকুয়ায় পুকুরে ডুবে আবারো শিশুর মৃত্যু: ৪ দিনে গেলো ৫ শিশুর প্রাণ কক্সবাজার ২ আসনে এনসিপির প্রার্থী সুজা, ছাড়ের রাজনীতিতে সমঝোতার ইঙ্গিত! কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলায় ভারি বৃষ্টিপাত ও ভূমি ধ্বসের সম্ভাবনা রোহিঙ্গা নারীদের ৯৭ শতাংশই শিক্ষার বাইরে, বৈশ্বিক প্রতিনিধিদলের উদ্বেগ খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দেবে না এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী চট্টগ্রামের ৬ আসনে বিএনপির নতুন মুখ প্রলোভনের ফাঁদে জিম্মি,উদ্ধার ২৫: আটক ২ সাগরে লঘুচাপ: কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ৩ নং সতর্ক সংকেত জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা কবে, জানালেন শফিকুর রহমান

কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ির সকল দোকান সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে কার্ডধারী কিংবা কার্ডবিহীন বসানো দোকানকে আগামী ৬ নভেম্বরের মধ্যে স্বেচ্ছায় সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বেচ্ছায় সরিয়ে না নেবে ওই সব দোকান উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিদ্ধান্তের আলোকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পর্যটন সেলের সহকারি কমিশনার নোটিশের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে দেন।

নোটিশে জানানো হয় গত ১১ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা ও ট্যুরিস্ট পুলিশ, র‌্যাব, সেনা বাহিনী, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গোয়েন্দা সংস্থা, সৈকতের ব্যবসায়ীদের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এতে  বালিয়াড়িতে বসানো দোকানগুলোকে আগামী ৬ নভেম্বরের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তেমন না হলে প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালাবে।

মূলত ১৯৯৯ সালে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার দূরত্বের এই সমুদ্র সৈকতকে ইসি এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। সেই  আইন অনুযায়ী, সৈকতের জোয়ার-ভাটার অঞ্চল থেকে ৩০০ মিটার পর্যন্ত যেকোনো স্থাপনা নির্মাণ ও উন্নয়ন নিষিদ্ধ। এছাড়া এ আইন অনুযায়ী উচ্চ আদালত ২০১১ সালে সৈকতের বালিয়াড়িতে সকল স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশের আলোকে ২০২২ সালে  প্রায়ই ৫ শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন। তবে থেকে যায় আরো তিন শতাধিক স্থাপনা। সেই সব স্থাপনাও পরে উচ্ছেদের কথা ছিল। কিন্তু সে কথা রাখেনি জেলা প্রশাসন। পরে উচ্ছেদ হওয়া স্থাপনা আবারও নতুন করে তৈরি হয়ে যায়। আর এর মধ্যে এবার নতুন চুক্তি করে সৈকতে স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেল।

ট্যাগ :

অ’স্ত্র, নগদ টাকাসহ কলাতলীর কামরুল গ্রেফতার

This will close in 6 seconds

কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ির সকল দোকান সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ

আপডেট সময় : ১০:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে কার্ডধারী কিংবা কার্ডবিহীন বসানো দোকানকে আগামী ৬ নভেম্বরের মধ্যে স্বেচ্ছায় সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বেচ্ছায় সরিয়ে না নেবে ওই সব দোকান উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিদ্ধান্তের আলোকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পর্যটন সেলের সহকারি কমিশনার নোটিশের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে দেন।

নোটিশে জানানো হয় গত ১১ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা ও ট্যুরিস্ট পুলিশ, র‌্যাব, সেনা বাহিনী, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গোয়েন্দা সংস্থা, সৈকতের ব্যবসায়ীদের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এতে  বালিয়াড়িতে বসানো দোকানগুলোকে আগামী ৬ নভেম্বরের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তেমন না হলে প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালাবে।

মূলত ১৯৯৯ সালে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার দূরত্বের এই সমুদ্র সৈকতকে ইসি এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। সেই  আইন অনুযায়ী, সৈকতের জোয়ার-ভাটার অঞ্চল থেকে ৩০০ মিটার পর্যন্ত যেকোনো স্থাপনা নির্মাণ ও উন্নয়ন নিষিদ্ধ। এছাড়া এ আইন অনুযায়ী উচ্চ আদালত ২০১১ সালে সৈকতের বালিয়াড়িতে সকল স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশের আলোকে ২০২২ সালে  প্রায়ই ৫ শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন। তবে থেকে যায় আরো তিন শতাধিক স্থাপনা। সেই সব স্থাপনাও পরে উচ্ছেদের কথা ছিল। কিন্তু সে কথা রাখেনি জেলা প্রশাসন। পরে উচ্ছেদ হওয়া স্থাপনা আবারও নতুন করে তৈরি হয়ে যায়। আর এর মধ্যে এবার নতুন চুক্তি করে সৈকতে স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেল।