ঢাকা ০৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাগরে ঘূর্ণিঝড় মোনথা, ২ নম্বর সংকেত সাংবাদিক আব্দুল আজিজের পিতৃবিয়োগ পেকুয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অনলাইন জুয়ার ২ এজেন্ট আটক উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে কক্সবাজারে দ্রুত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন চায় শিবির টেকনাফে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার মহেশখালীতে পুলিশের অভিযানে আটক-১ সাংবাদিক হাফিজের বাবার জানাজা সোমবার সকাল ১০ টায় সাংবাদিক হাফিজের বাবার ইন্তেকাল: টিটিএনের শোক “গোলদীঘিতে ধরা পড়া কাতলা মাছটি ১১ কেজি নয়, প্রকৃত ওজন ৬ কেজি” আসছে “মন্থা”, কক্সবাজারে বৃষ্টি গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে: আঘাত হানবে মঙ্গল বা বুধবার প্রথম দিনই ধরা পড়ল আড়াই কেজির ইলিশ, ৯২০০ টাকায় বিক্রি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, কোথায়, কখন আঘাত হানতে পারে সবুজ ঘাসে ঢাকা চট্টগ্রামের উইকেট, কেমন হবে রান পাবনায় ট্রাকচাপায় বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ৭০ কাছিমের মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ৭০ টি কাছিমের মরদেহ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউট (বরি)। কাছিমগুলো জলপাই রঙের বা অলিভ রিডলি প্রজাতির।

শনিবার, রোববার ও সোমবার (২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১ টা পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের টেকনাফ থেকে হিমছড়ি সৈকতের পাড় থেকে মৃত কাছিমগুলো উদ্ধার করে বালিচাপা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিমুল ভূঁইয়া টিটিএন-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষক দল শনিবার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং জিরো পয়েন্ট থেকে উখিয়ার রূপপতি এলাকা পর্যন্ত ১২টি কচ্ছপের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন রোববার রূপপতি থেকে সোনারপাড়া পর্যন্ত ৫০টি এবং প্যাঁচার দ্বীপ থেকে হিমছড়ি পর্যন্ত আটটি কচ্ছপের মৃতদেহ উদ্ধার করেন তাঁরা।

তিনি জানান, সম্প্রতি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন এলাকায় কিছু সংখ্যক কচ্ছপের মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর দেন স্থানীয় লোকজন। এ তথ্যের ভিত্তিতে ইনস্টিটিউটের একটি গবেষক দলের সদস্যরা শনিবার সকাল থেকে সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যান। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সামুদ্রিক কচ্ছপের প্রজনন মৌসুম। এ সময় মা কচ্ছপ উপকূলে ডিম দিতে আসে। তখন অনেক কচ্ছপ জেলেদের জালে আটকে, সমুদ্রে চলাচলকারী বড় নৌযানের ধাক্কায় মারা যায়। তবে তদন্তের পর কচ্ছপগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।

তবে এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানান, কাছিমগুলো গেলো দুই মাসে মারা গেছে। এক দুদিনে মারা গেছে এমনটি নয়। আমরা অনেকগুলো কঙ্কাল পেয়েছি। অনেকগুলো কয়েকদিন আগেও মারা গেছে।

এদিকে প্রজনন মৌসুমে এভাবে কাছিমের মৃত্যুতে উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক এইচ এম এরশাদ টিটিএন-কে বলেন, কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন এবং সোনাদিয়া দ্বীপ, টেকনাফ, সোনারপাড়া, পেঁচারদ্বীপ, হিমছড়ি এলাকায় আগে কাছিম ডিম পাড়তে আসত। এখন অনিয়ন্ত্রিত পর্যটকদের কারণে কাছিম ডিম পাড়তে আসতে পারছে না। অন্যদিকে সন্দীপ, সোনাদিয়া, কুতুবদিয়া সহ বিভিন্ন উপকূলে প্রায় ২০ হাজার ট্রলার মাছ ধরতে গভীর সমুদ্র যায়। জেলেরা গভীর সাগরে ভাসমান জাল, ডুবাজাল, যন্ত্রযাপিত ট্রলার সহ ৪০/৬০ ফুট লম্বা বিহুন্দি ও লাইক্ষ্যা জাল পেতে রাখে। যেখানে কাছিম আটকে পড়ে। জেলেরা ঝামেলা এড়াতে বাঁশ, কাঠ, লোহাসহ বিভিন্ন কঠিন জিনিস দিয়ে কাছিমগুলো হত্যা করে। পরে মৃত কাছিমগুলো উপকূলে ভেসে আসে।

সাংবাদিক এইচ এম এরশাদ জানান, আমরা জেলা প্রশাসন, সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউট এবং মৎস্য কর্মকর্তাদের এগুলো নিয়ে কিভাবে সমাধান করা যায় সেটির দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানাব। আমরা জেলা প্রশাসক বরাবর কাছিম বাঁচাতে স্মারকলিপি দেব।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ৭০ কাছিমের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৮:১৯:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ৭০ টি কাছিমের মরদেহ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউট (বরি)। কাছিমগুলো জলপাই রঙের বা অলিভ রিডলি প্রজাতির।

শনিবার, রোববার ও সোমবার (২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১ টা পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের টেকনাফ থেকে হিমছড়ি সৈকতের পাড় থেকে মৃত কাছিমগুলো উদ্ধার করে বালিচাপা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিমুল ভূঁইয়া টিটিএন-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষক দল শনিবার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং জিরো পয়েন্ট থেকে উখিয়ার রূপপতি এলাকা পর্যন্ত ১২টি কচ্ছপের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন রোববার রূপপতি থেকে সোনারপাড়া পর্যন্ত ৫০টি এবং প্যাঁচার দ্বীপ থেকে হিমছড়ি পর্যন্ত আটটি কচ্ছপের মৃতদেহ উদ্ধার করেন তাঁরা।

তিনি জানান, সম্প্রতি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন এলাকায় কিছু সংখ্যক কচ্ছপের মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর দেন স্থানীয় লোকজন। এ তথ্যের ভিত্তিতে ইনস্টিটিউটের একটি গবেষক দলের সদস্যরা শনিবার সকাল থেকে সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যান। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সামুদ্রিক কচ্ছপের প্রজনন মৌসুম। এ সময় মা কচ্ছপ উপকূলে ডিম দিতে আসে। তখন অনেক কচ্ছপ জেলেদের জালে আটকে, সমুদ্রে চলাচলকারী বড় নৌযানের ধাক্কায় মারা যায়। তবে তদন্তের পর কচ্ছপগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।

তবে এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানান, কাছিমগুলো গেলো দুই মাসে মারা গেছে। এক দুদিনে মারা গেছে এমনটি নয়। আমরা অনেকগুলো কঙ্কাল পেয়েছি। অনেকগুলো কয়েকদিন আগেও মারা গেছে।

এদিকে প্রজনন মৌসুমে এভাবে কাছিমের মৃত্যুতে উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক এইচ এম এরশাদ টিটিএন-কে বলেন, কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন এবং সোনাদিয়া দ্বীপ, টেকনাফ, সোনারপাড়া, পেঁচারদ্বীপ, হিমছড়ি এলাকায় আগে কাছিম ডিম পাড়তে আসত। এখন অনিয়ন্ত্রিত পর্যটকদের কারণে কাছিম ডিম পাড়তে আসতে পারছে না। অন্যদিকে সন্দীপ, সোনাদিয়া, কুতুবদিয়া সহ বিভিন্ন উপকূলে প্রায় ২০ হাজার ট্রলার মাছ ধরতে গভীর সমুদ্র যায়। জেলেরা গভীর সাগরে ভাসমান জাল, ডুবাজাল, যন্ত্রযাপিত ট্রলার সহ ৪০/৬০ ফুট লম্বা বিহুন্দি ও লাইক্ষ্যা জাল পেতে রাখে। যেখানে কাছিম আটকে পড়ে। জেলেরা ঝামেলা এড়াতে বাঁশ, কাঠ, লোহাসহ বিভিন্ন কঠিন জিনিস দিয়ে কাছিমগুলো হত্যা করে। পরে মৃত কাছিমগুলো উপকূলে ভেসে আসে।

সাংবাদিক এইচ এম এরশাদ জানান, আমরা জেলা প্রশাসন, সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউট এবং মৎস্য কর্মকর্তাদের এগুলো নিয়ে কিভাবে সমাধান করা যায় সেটির দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানাব। আমরা জেলা প্রশাসক বরাবর কাছিম বাঁচাতে স্মারকলিপি দেব।