কক্সবাজার বিমানবন্দরে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আংশিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে।
এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক।
রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ও রানওয়ের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে আসেন বেবিচক চেয়ারম্যান।
পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সিভিল অ্যাভিয়েশন হেড কোয়ার্টার থেকে একটি টিম নিয়ে এসেছি। আমরা আশা করছি অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আংশিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করার জন্য এই এয়ারপোর্টটি প্রস্তুত হবে।”
কাজের অগ্রগতির বিষয়ে এয়ার ভাইস মার্শাল মো: মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, “এয়ারপোর্টটি আন্তর্জাতিককরণে সরকার এবং আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা আছে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার।”
কত শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বা কি কাজ বাকি আছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, “হিসাবনিকাশে যাচ্ছি না। তবে এটা বলতে পারি অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আংশিকভাবে ফ্লাইট চালু হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, এই বিমানবন্দর শুধু পর্যটন নয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও বড় ভূমিকা রাখবে। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক গন্তব্য হিসেবে গড়ে উঠবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিমানবন্দরের প্রকল্প পরিচালক ইউনূস ভূঁইয়া, বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মূর্তজা হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তবে প্রকল্প পরিচালক ইউনূস ভূঁইয়া জানান, রানওয়ে নির্মাণের প্রকল্প মেয়াদ ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। রানওয়ের নিরাপত্তা, লাইটিং, ডেনেজ, আউটার সড়ক নির্মাণের কাজ বাকি আছে।
ইউনূস ভূঁইয়া বলেন, টার্মিনালের কাজ শেষ হওয়ার মেয়াদ রয়েছে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। সবমিলিয়ে ৮৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
২০২১ সালে কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পের আওতায় রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬,৭৭৫ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৯,০০০ ফুট করা হয়েছে।
এরমধ্য দিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দর হয়ে উঠছে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।