কক্সবাজারে ৩১৮ টি মন্ডপে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসবকে ঘিরে পুরো জেলায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)–১৫।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবার বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে র্যাব সদস্যরা। পাশাপাশি পূজামণ্ডপগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ডগ স্কোয়াড, ড্রোন নজরদারি এবং চিকিৎসা ক্যাম্প।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের একটি পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে র্যাব–১৫ এর উপ অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ তৌহিদুল মবিন খান সাংবাদিকদের জানান,’পূজার সময় কোনো ধরনের অরাজকতা বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে র্যাব বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ও আশপাশ এলাকায় র্যাবের মোবাইল টহল, স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং ডগ স্কোয়াড কাজ করছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জনসাধারণ যাতে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করতে পারেন, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি। পূজামণ্ডপের আশেপাশে ভিড় নিয়ন্ত্রণে তাদের সদস্যরা পোশাকধারী বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করছেন। পূণ্যার্থিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে র্যাবের পক্ষ থেকে অস্থায়ী চিকিৎসা ক্যাম্প খোলা হয়েছে, যেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’
কক্সবাজার শহরসহ জেলার উখিয়া, টেকনাফ, রামু, চকরিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় শতাধিক পূজামণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি মণ্ডপেই ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ভিড় থাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পূজার সময় নারীদের হয়রানি, ভিড়ের মধ্যে ছিনতাই কিংবা কোনো প্রকার নাশকতার আশঙ্কা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
পূজা চলাকালীন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কক্সবাজার ও দায়িত্বপূর্ণ এলাকা বান্দরবানে বিশেষ এই নিরাপত্তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে র্যাব।