এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান রিয়াদকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠে ছাত্র শিবিরের বিরুদ্ধে।
সিলেট নগরীর সোবাহানীঘাট এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের বোর্ড রুমে তালামীযে ইসলামিয়া ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে বৈঠক হয়।
সিলেটের এমসি কলেজে ছাত্রাবাসে তালামীযে ইসলামিয়ার এক কর্মীকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রশিবিরের কিছু কর্মী জড়িত বলে জানিয়েছে জামায়াত ইসলামী।
রোববার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর সোবাহানীঘাট এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের বোর্ড রুমে তালামীযে ইসলামিয়া ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন জামায়াতের সিলেট মহানগরের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “ফেইসবুকে একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে সেখানে (এমসি কলেজে) যে বাড়াবাড়িটুকু হয়েছে, আমাদের দৃষ্টিতে সেখানে ছাত্রশিবিরের কিছুসংখ্যক কর্মী এটার সঙ্গে জড়িত এবং যেটা করেছে সেটা অন্যায়ভাবে করেছে এবং সেটা দুঃখজনক। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই। দুঃখপ্রকাশ করছি।”
শিবির ও তালামীযকে একই আদর্শের সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দুটি সংগঠনই আমাদের হৃদয়ের ভালোবাসার সংগঠন। আমরা পরস্পরই ইসলামী সংগঠন, আমরা দেশ ও জাতির ভালো চাই। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হলে বিরোধীপক্ষ উপকৃত হবে। ভবিষ্যতে আর কোনো এ ধরণের ভুলবুঝাবুঝি তৈরি হলে আমরা পরস্পর বসে এ ব্যাপারে মীমাংসার দিকে যাব। কোন কর্মীও যেনো বাড়াবাড়ি না করে।”
এর আগে বুধবার রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান রিয়াদকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠে ছাত্র শিবিরের বিরুদ্ধে।
আহত রিয়াদ আনজুমানে তালামীযে ইসলামীয়া নামের একটি রাজনৈতিক সংগঠনের এমসি কলেজ শাখার সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
এদিকে, রোববার রাতে সিলেট মহানগর জামায়াতের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃষ্ট অনাকাঙ্খিত ঘটনার আপোষ নিষ্পত্তি হয়েছে। কয়েকজন ছাত্রের মধ্যে সংঘটিত অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি নিয়ে তৃতীয় পক্ষের অবৈধ ফায়দা হাসিল ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে এক মতবিনিময় সভা করেন সিলেট জামায়াত ও আঞ্জুমানে আল ইসলাহ নেতৃবৃন্দ।”
“সভায় সংঘটিত অনাকাঙ্খিত ঘটনার ব্যাপারে নিন্দা জানানো হয় ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়। এছাড়া ইসলামী সংগঠনগুলোর মধ্যে ঐক্য সুদৃঢ় করা, পরস্পর উস্কানী ও উত্তেজনামূলক বক্তব্য পরিহারের আহ্বান জানানো হয়। দুই পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট ঘটনায় ৩য় পক্ষ যাতে অবৈধ ফায়দা হাসিল করতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়। ”
মতবিনিময় সভায় জামায়াত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান এবং জেলা জামায়াত নেতা ও সাবেক দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদ।
আঞ্জুমানে আল ইসলাহ নেতৃবৃন্দের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী ফুলতলী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, এডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকীব, হাফিজ নাজমুল হুদা, মাওলানা জৈন উদ্দিন ও কাজী বুরহান উদ্দিন।
সূত্র : বিডিনিউজ ২৪