জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, কক্সবাজারবাসী ট্যাবলেট বদীকে উৎখাত করেছেন, এখন আমাদের লড়াই করতে হবে ট্যাবলেটের বিরুদ্ধে। কক্সবাজার থেকে ইয়াবাসহ সকল মাদক নিষিদ্ধ করতে হবে।
শনিবার দুপুরে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দানে, হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আমাদের পরবর্তী বাংলাদেশ নিয়ে ভাবতে হলে অবশ্যই বঙ্গোপসাগরকে প্রাধান্য দিয়েই ভাবতে হবে”।
পর্যটন বিকাশে কক্সবাজারের মানুষ গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, “কক্সবাজারের লবণ চাষী ও মৎস্য চাষীদের ন্যায্য হিষ্যা নিশ্চিত করতে হবে। ব্লু ইকোনোমির জন্য বঙ্গোপসাগরকে স্বীকৃতি দিতে হবে”।
“পরবর্তী বাংলাদেশ হবে হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর বিস্তৃত” এমন ধারণা এই মূখ্য সংগঠকের।
তবে কক্সবাজারকে ঘিরে সম্ভাবনার পাশাপাশি কিছু সমস্যার কথাও তুলে ধরেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
নোবেলের লোভে শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো সেইফ এক্সিট নিশ্চিত না করে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যতকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা।অতিদ্রুত কক্সবাজারের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হলে এই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে হবে।
নির্বাচনের বিষয়ে হাসনাত বলেন,রাষ্ট্র কাঠামো গঠন মূলক করতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তবে সেটির জন্য গঠনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, একটা দল বিচার, সংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদেরকে স্বার্থ হাসিলের সুযোগ দেওয়া যাবে না।
শনিবার দুপুরে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ দৌলত ময়দানে জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে।
এতে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মূখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: তাসনিম জারা, যুগ্ম সচিব এসএম সুজাউদ্দিন বক্তব্য দেন।
“দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা”র অংশ হিসেবে এনসিপির ১৯তম দিনের এ কর্মসূচি কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়। বেলা পৌনে একটার দিকে কক্সবাজার শহরের বাস টার্মিনাল থেকে শুরু হয় জুলাই পদযাত্রা।