ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৫ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করা বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন কক্সবাজারের ১২৬ টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কক্সবাজারসহ চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত কুতুব‌দিয়া স্বাস্থ্য কম‌প্লে‌ক্সে সেবা নি‌শ্চি‌তের দা‌বি‌ নি‌য়ে মত‌বি‌নিময় “ভালো থেকো প্রিয়তমা” নিহত রিমঝিমকে নিয়ে হবু স্বামীর স্ট্যাটাস শেখ হাসিনা সাত দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির না হলে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু নিষেধাজ্ঞা শেষ : বৈরী আবহাওয়ায় হতাশ জেলেরা ছেলেকে আলেম বানানোর স্বপ্ন ছিলো বাবার ফ্যাসিষ্টমুক্ত গণমাধ্যম জাতীর জন্য আশীর্বাদ- সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার আয়োজিত সংবাদপত্রের কালো দিবসে বক্তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলোনা রিমঝিমের বাবা-ছেলেসহ নিহত তিন, আহত ১০ সেনাবাহিনীর অভিযান: গোলদীঘি এলাকা থেকে ২০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার, আটক ৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু-করোনা প্রতিরোধে মাউশির বিশেষ নির্দেশনা উখিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহিন

উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন সি আর আবরার

 

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের নতুন সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সি আর আবরার (চৌধুরী রফিকুল আবরার)। বুধবার (৫ মার্চ) সকাল ১১টায় বঙ্গভবনে তাকে শপথ পাঠ করার রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

সংক্ষিপ্ত শপথ অনুষ্ঠানে সি আর আবরার প্রথমে উপদেষ্টা পদে ও পরে গোপনীয়তার শপথ পাঠ করেন। শপথগ্রহণ শেষে তিনি শপথ বইয়ে সই করেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘অধ্যাপক সিআর আবরার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক নামকরা শিক্ষক। কাল (আজ বুধবার) উনি শপথ নেবেন। প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ অনেক দিন ধরেই বলছিলেন, উনি একসঙ্গে দুটি মন্ত্রণালয় কাজ করতে পারছেন না। যেহেতু উনি অ্যাডভান্সড স্টেজে, প্ল্যানিং মিনিস্ট্রিতে অনেক বড় দায়িত্ব ওনার। এ জন্য অধ্যাপক সি আর আবরার যুক্ত হচ্ছে উপদেষ্টা পরিষদে।’

শরণার্থী ও শ্রম অভিবাসন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সি আর আবরারের জন্ম ১৯৫২ সালের ১৭ আগস্ট ফরিদপুরে। তার পিতা আবদুস সাত্তার চৌধুরী ও মা সোফিয়া সুলতানা। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন তিনি। এরপর যুক্তরাজ্যের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে এমএ এবং অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ১৯৭৯ সাল থেকে টানা চার দশক ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষকতা করছেন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের খ্যাতিমান এই অধ্যাপক শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) নির্বাহী পরিচালক। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করছেন তিনি। তার গবেষণার বিষয় রোহিঙ্গা শরণার্থী, স্বল্পমেয়াদি শ্রম অভিবাসী এবং বাংলাদেশে ক্যাম্পে বসবাসকারী উর্দুভাষী সম্প্রদায়ের নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে। তিনি শ্রম নিয়োগ শিল্প, সামাজিক সুরক্ষা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অধিকার বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন।

সি আর আবরার উর্দু ভাষাভাষী তরুণদের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ক্যাম্প সংগঠিত করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন।

ট্যাগ :

৫ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করা বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন

উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন সি আর আবরার

আপডেট সময় : ০৬:১৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

 

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের নতুন সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সি আর আবরার (চৌধুরী রফিকুল আবরার)। বুধবার (৫ মার্চ) সকাল ১১টায় বঙ্গভবনে তাকে শপথ পাঠ করার রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

সংক্ষিপ্ত শপথ অনুষ্ঠানে সি আর আবরার প্রথমে উপদেষ্টা পদে ও পরে গোপনীয়তার শপথ পাঠ করেন। শপথগ্রহণ শেষে তিনি শপথ বইয়ে সই করেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘অধ্যাপক সিআর আবরার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক নামকরা শিক্ষক। কাল (আজ বুধবার) উনি শপথ নেবেন। প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ অনেক দিন ধরেই বলছিলেন, উনি একসঙ্গে দুটি মন্ত্রণালয় কাজ করতে পারছেন না। যেহেতু উনি অ্যাডভান্সড স্টেজে, প্ল্যানিং মিনিস্ট্রিতে অনেক বড় দায়িত্ব ওনার। এ জন্য অধ্যাপক সি আর আবরার যুক্ত হচ্ছে উপদেষ্টা পরিষদে।’

শরণার্থী ও শ্রম অভিবাসন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সি আর আবরারের জন্ম ১৯৫২ সালের ১৭ আগস্ট ফরিদপুরে। তার পিতা আবদুস সাত্তার চৌধুরী ও মা সোফিয়া সুলতানা। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন তিনি। এরপর যুক্তরাজ্যের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে এমএ এবং অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ১৯৭৯ সাল থেকে টানা চার দশক ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষকতা করছেন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের খ্যাতিমান এই অধ্যাপক শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) নির্বাহী পরিচালক। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করছেন তিনি। তার গবেষণার বিষয় রোহিঙ্গা শরণার্থী, স্বল্পমেয়াদি শ্রম অভিবাসী এবং বাংলাদেশে ক্যাম্পে বসবাসকারী উর্দুভাষী সম্প্রদায়ের নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে। তিনি শ্রম নিয়োগ শিল্প, সামাজিক সুরক্ষা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অধিকার বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন।

সি আর আবরার উর্দু ভাষাভাষী তরুণদের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ক্যাম্প সংগঠিত করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন।

This will close in 6 seconds