কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অরণ্যে একাধিক গোপন বৈঠকে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
সূত্র বলছে, ঈদগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি সোহেল জাহান চৌধুরী এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নওশাদ মাহমুদের উদ্যোগে ২০-২৫ জনকে একাধিক বৈঠকে ডাকা হয়। বৈঠকগুলোর একটি অনুষ্ঠিত হয় ভাদিতলা এলাকার সোহেল চৌধুরীর বাগানবাড়িতে। সেখানে কয়েক ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয় বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আওয়ামী লীগ কর্মী জানান, “বৈঠকে থানায় আগুন দেওয়া, মহাসড়ক অবরোধ ও হামলার পরিকল্পনার কথা ওঠে। আমি বিষয়টি টের পেয়ে চলে আসি।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা তাহমিম মোরশেদ বলেন, “সরকার বদলের পরও একই ব্যক্তিরা এখন নাশকতার পরিকল্পনা করছে, এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে সোহেল জাহান চৌধুরী প্রভাব খাটাতেন বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে। তাঁর নামে একাধিক মামলা থাকলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, “নাশকতা বা সহিংসতায় জড়িত থাকলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। যত বড় প্রভাবশালীই হোক, আইনের আওতায় আনা হবে।”
বার্তা পরিবেশক 






















