দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে বাংলাদেশ আসিয়ানের (Association of Southeast Asian Nations) সদস্যপদ অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের সহযোগিতায় এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। রাজধানীর হেয়ার রোডে ডাভোস সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই তথ্য জানান।
ঐতিহাসিকভাবে বঙ্গোপসাগর দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও সংস্কৃতির সংযোগস্থল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। নাফ নদীর মাধ্যমে মায়ানমার সীমান্ত আমাদের সার্ক ও আসিয়ানের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। যদিও প্রতিবেশী দেশগুলোর অসহযোগিতার কারণে সার্ক কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি, তবুও আসিয়ানের অন্তর্ভুক্তি বঙ্গোপসাগর-কেন্দ্রিক ভূ-রাজনৈতিক কৌশলগত অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে।
কক্সবাজার কমিউনিটি অ্যালায়েন্স বিশ্বাস করে, শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতি এবং কৌশলগত পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এই অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে আরও প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হবে। আসিয়ানের সদস্যপদ অর্জন ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য নতুন বাজারের দ্বার উন্মোচন করবে।
আসিয়ানে অন্তর্ভুক্তি হবার প্রচেষ্টা বাংলাদেশের জন্য শুধু একটি কৌশলগত পদক্ষেপ নয়, বরং এটি নতুন আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। কক্সবাজার কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মনে করে, বঙ্গোপসাগর-কেন্দ্রিক কৌশলগত অর্জন এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের এই স্বপ্নপথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের জাতীয় অগ্রগতির জন্য এক অনন্য সুযোগ।