ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মহেশখালীতে প্যারাবন কেটে চিংড়িঘের নির্মাণ: অভিযান চালিয়ে ২৫ একর জমি উদ্ধার জলবায়ু উদ্বাস্তু শিশুদের সাথে ইয়াসিডের ইফতার রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ফিরে যাওয়ার তাড়না জানাবেন গুতেরেসকে কক্সবাজারে ফের বাড়ছে ছিনতাই এক লাখ রোহিঙ্গার সাথে গণ ইফতার করবেন ইউনূস ও গুতেরেস উখিয়ায় রোহিঙ্গা কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার ভাগিনার ইয়াবাকান্ডে সহযোগী ‘মামা’! – বালুখালীতে তোলপাড় শেখ হাসিনা-শেখ রেহানাসহ তাদের সন্তানদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে খেলাঘরের সমাবেশ কাল সেহরি ও ইফতারে ডায়াবেটিস রোগীর করণীয় কল দিতে বললেন শেখ সাদী, ফোনে টাকা নেই পরীমণির ফেসবুকে ‘ডাকাত’ গুজব! নিয়ন্ত্রণে আছে আইনশৃঙ্খলা – ওসি উখিয়া চকরিয়ায় ছয় দোকান,চৌদ্দটি বসতঘর পুড়ে ছাই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মাদকের এডি দিদারের প্রত্যাহার চেয়ে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
মিথ্যা সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে দাবী করে সংবাদ সম্মেলন

আ’লীগ নয়, পরিমল জামায়াতের কর্মী

দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পর গত শনিবার কক্সবাজারে কর্মী সম্মেলন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সেই সম্মেলনে বক্তব্য দেন পরিমল কান্তি শীল নামে এক হিন্দু নেতা। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাকে দাবি করা হয়েছে পরিমল কান্তি দে এবং তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেছে জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার কক্সবাজার শহরের এক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিমল কান্তি শীল নিজেকে ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেন।

পরিমল বলেন বলেন, ‘আমার পরিচয় হচ্ছে আমি পরিমল কান্তি শীল। পিতা বিনোদ শীল মাতা মণিবালা শীল।আমার বাড়ি হলো বড় মহেশখালী নাপিত পাড়া, হিন্দু পাড়া। আমি দীর্ঘদিন থেকে পল্লী চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত আছি। বর্তমান সরকার আমাকে নির্বাচিত করেছে হিন্দুদের প্রতিনিধি হিসেবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই আওয়ামী লীগ বা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। আমি সাধারণ একজন গ্রাম্য ডাক্তার। হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি মনোনীত হওয়ার পর থেকে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’

নিজেকে জামায়াতে ইসলামের কর্মী দাবী করে পরিমল বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে নির্ধারণ করলাম যে পৃথিবীতে মানুষ হিসেবে বাস করতে হলে কোনো একটি দলকে সমর্থন করতে হবে। দেশকে গড়তে হলে কোনো দলকে সমর্থন করে সত্যকে আনতে হবে। আমি দেখলাম জামায়াতে ইসলামী দল নিয়ম বহির্ভূত চলে না, গাজা খায় না মদ খায় না, প্রতিনিয়ত নামাজ পড়ে। এর আগে আমার ধর্মীয় সংগঠন বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটিতে দশ থেকে পনেরো বছর ছিলাম। দলের (জামায়াত) অনেক দক্ষ সদস্য আমার পাশে বসে আছে। আমার নেতা (এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ) আমাকে যেভাবে চেয়েছেন, সেভাবেই আমি তাদের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি। উনার কাছে আমি পরামর্শ নিতাম।এরপর থেকে কর্মী হলাম প্রাথমিকভাবে। এরপর আস্তে আস্তে যুক্ত হলাম দলে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত শত্রু আছে, আমি একজন সাধারণ মানুষ, আগের দলের অনেকে টাকা দিয়েও উঠে আসতে পারে নি। আমি একজন সাধারণ মানুষ হয়ে কিভাবে উঠে আসলাম, বর্তমাম সরকার কেনো আমাকে সাহায্য করলো। এই সরকারের কত সুন্দর নিরপেক্ষতা। এটা অনেকের সহ্য হয় না।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন  জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কিছু গণমাধ্যম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করেছে। নামে মিল থাকলেই কি দুজন মানুষের রাজনৈতিক বিশ্বাস ও চরিত্র এক হবে। গণমাধ্যম জাতির দর্পণ। তাদের উচিত সত্য তথ্য উপস্থাপন করা।’

এধরণের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের জন্য হামিদুর রহমান সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

মিথ্যা সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে দাবী করে সংবাদ সম্মেলন

আ’লীগ নয়, পরিমল জামায়াতের কর্মী

আপডেট সময় : ০৪:৩২:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পর গত শনিবার কক্সবাজারে কর্মী সম্মেলন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সেই সম্মেলনে বক্তব্য দেন পরিমল কান্তি শীল নামে এক হিন্দু নেতা। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাকে দাবি করা হয়েছে পরিমল কান্তি দে এবং তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেছে জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার কক্সবাজার শহরের এক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিমল কান্তি শীল নিজেকে ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেন।

পরিমল বলেন বলেন, ‘আমার পরিচয় হচ্ছে আমি পরিমল কান্তি শীল। পিতা বিনোদ শীল মাতা মণিবালা শীল।আমার বাড়ি হলো বড় মহেশখালী নাপিত পাড়া, হিন্দু পাড়া। আমি দীর্ঘদিন থেকে পল্লী চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত আছি। বর্তমান সরকার আমাকে নির্বাচিত করেছে হিন্দুদের প্রতিনিধি হিসেবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই আওয়ামী লীগ বা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। আমি সাধারণ একজন গ্রাম্য ডাক্তার। হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি মনোনীত হওয়ার পর থেকে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’

নিজেকে জামায়াতে ইসলামের কর্মী দাবী করে পরিমল বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে নির্ধারণ করলাম যে পৃথিবীতে মানুষ হিসেবে বাস করতে হলে কোনো একটি দলকে সমর্থন করতে হবে। দেশকে গড়তে হলে কোনো দলকে সমর্থন করে সত্যকে আনতে হবে। আমি দেখলাম জামায়াতে ইসলামী দল নিয়ম বহির্ভূত চলে না, গাজা খায় না মদ খায় না, প্রতিনিয়ত নামাজ পড়ে। এর আগে আমার ধর্মীয় সংগঠন বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটিতে দশ থেকে পনেরো বছর ছিলাম। দলের (জামায়াত) অনেক দক্ষ সদস্য আমার পাশে বসে আছে। আমার নেতা (এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ) আমাকে যেভাবে চেয়েছেন, সেভাবেই আমি তাদের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি। উনার কাছে আমি পরামর্শ নিতাম।এরপর থেকে কর্মী হলাম প্রাথমিকভাবে। এরপর আস্তে আস্তে যুক্ত হলাম দলে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত শত্রু আছে, আমি একজন সাধারণ মানুষ, আগের দলের অনেকে টাকা দিয়েও উঠে আসতে পারে নি। আমি একজন সাধারণ মানুষ হয়ে কিভাবে উঠে আসলাম, বর্তমাম সরকার কেনো আমাকে সাহায্য করলো। এই সরকারের কত সুন্দর নিরপেক্ষতা। এটা অনেকের সহ্য হয় না।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন  জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কিছু গণমাধ্যম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করেছে। নামে মিল থাকলেই কি দুজন মানুষের রাজনৈতিক বিশ্বাস ও চরিত্র এক হবে। গণমাধ্যম জাতির দর্পণ। তাদের উচিত সত্য তথ্য উপস্থাপন করা।’

এধরণের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের জন্য হামিদুর রহমান সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান।