ঢাকা ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সীমান্তে ফের মাইন বিস্ফোরণ, মিয়ানমার নাগরিক নিহত- বাংলাদেশি আহত চকরিয়া হারবাং ইউনিয়ন ছাত্রদলের আংশিক কমিটি গঠিত তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে সাঁতার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন ৬ বছরে ২৫ হত্যাকান্ড: বদরখালীতে পুলিশ ফাঁড়ি পুনঃস্থাপনের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন উখিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্র ও মাদক কারবারি এনায়েত উল্লাহ আটক চার পিস ইয়াবা ধরতে উখিয়ার ওসির ‘আলোচিত অভিযান’ দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশনের আজীবন সদস্য পদ থেকে মাহাবুবুর রহমান চৌধুরীর পদত্যাগ টিটিএন পরিবারের শোক: সাংবাদিক আনসার হোসেনের সহধর্মিণী আর নেই একনজরে চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন দোকান মালিক সমিতির সদস্য জিল্লু ও জাহেদের পদ বাতিল ঈদগাঁওতে দেশীয় অস্ত্রসহ সিএনজি চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ অনলাইনে জামিননামা গ্রহণ শুরু হচ্ছে কাল, এক ক্লিকে পৌঁছে যাবে জেলখানায়: আইন উপদেষ্টা মেক্সিকোয় ভারি বৃষ্টি, বন্যায় ৬৪ মৃত্যু; নিখোঁজ ৬৫ হঠাৎ মার্কিন দূতাবাসে নিরাপত্তা জোরদার ঈদগাঁওয়ের ইউএনও বিমল চাকমার বিরুদ্ধে মামলা, ২ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ

আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে মানব ও মাদক পাচারের অভিযোগ

​কক্সবাজারের টেকনাফে মানবপাচারের রহস্য পাহাড় খ্যাত কচ্ছপিয়া পাহাড়। যেখানে পাচারের জন্য বন্দী রাখা হয় শত-শত নারীশিশু-পুরুষ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানে প্রতিনিয়ত অপহৃত ও বন্দিদের উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে এ পাহাড়ে। তবে মূল হোতারা রয়ে গেছে আড়ালে।

কচ্ছপিয়া এলাকার মৃত ছৈয়দ আলীর ছেলে আব্দুর রহিম, টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৮ ওয়ার্ডের সহসভাপতি। প্রভাব খাটিয়ে মানবপাচারের রুট স্থানীয় ভাষায় বলে “এয়ারপোর্ট” গড়ে তুলেন উল্লেখিত এলাকায়।

​স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, শীলখালী এলাকায় চারটি নৌকার মালিক তিনি। এসব নৌকাকে ব্যবহার করেই তিনি দীর্ঘ দিন ধরে মানব-মাদক ও মিয়ানমারে অবৈধ পন্য পাচারের সাথে জড়িত।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কচ্ছপিয়াতে অবস্থিত আব্দুর রহিমের বাড়ির পেছনের অংশে মানবপাচারের উদ্দেশ্যে মানুষজনকে বন্দী রাখেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বহু পাচারকারীকে আটক ও জিম্মিদের উদ্ধার করলেও এই আওয়ামী লীগ নেতা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ​”একজনের এত সম্পত্তি কীভাবে হয়! গাড়ি-বাড়ি, জমি-জমা, ব্যাংকে টাকা—সবই তো অবৈধ পথে।

এ বিষয়ে স্থানীয় আবদুর রহিমের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দেয়া হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এই নামের অনেকে আছে আওয়ামী লীগ করে। চিনতে পারছি না এখন। তবে মানবপাচারের বিষয়ে কথা বলতে নারাজ এই ইউপি সদস্য।

বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দুর্জয় বিশ্বাস জানান, এ ধরনের অভিযোগের সংশ্লিষ্টতা পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

সীমান্তে ফের মাইন বিস্ফোরণ, মিয়ানমার নাগরিক নিহত- বাংলাদেশি আহত

This will close in 6 seconds

আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে মানব ও মাদক পাচারের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:৫০:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

​কক্সবাজারের টেকনাফে মানবপাচারের রহস্য পাহাড় খ্যাত কচ্ছপিয়া পাহাড়। যেখানে পাচারের জন্য বন্দী রাখা হয় শত-শত নারীশিশু-পুরুষ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানে প্রতিনিয়ত অপহৃত ও বন্দিদের উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে এ পাহাড়ে। তবে মূল হোতারা রয়ে গেছে আড়ালে।

কচ্ছপিয়া এলাকার মৃত ছৈয়দ আলীর ছেলে আব্দুর রহিম, টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৮ ওয়ার্ডের সহসভাপতি। প্রভাব খাটিয়ে মানবপাচারের রুট স্থানীয় ভাষায় বলে “এয়ারপোর্ট” গড়ে তুলেন উল্লেখিত এলাকায়।

​স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, শীলখালী এলাকায় চারটি নৌকার মালিক তিনি। এসব নৌকাকে ব্যবহার করেই তিনি দীর্ঘ দিন ধরে মানব-মাদক ও মিয়ানমারে অবৈধ পন্য পাচারের সাথে জড়িত।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কচ্ছপিয়াতে অবস্থিত আব্দুর রহিমের বাড়ির পেছনের অংশে মানবপাচারের উদ্দেশ্যে মানুষজনকে বন্দী রাখেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বহু পাচারকারীকে আটক ও জিম্মিদের উদ্ধার করলেও এই আওয়ামী লীগ নেতা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ​”একজনের এত সম্পত্তি কীভাবে হয়! গাড়ি-বাড়ি, জমি-জমা, ব্যাংকে টাকা—সবই তো অবৈধ পথে।

এ বিষয়ে স্থানীয় আবদুর রহিমের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দেয়া হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এই নামের অনেকে আছে আওয়ামী লীগ করে। চিনতে পারছি না এখন। তবে মানবপাচারের বিষয়ে কথা বলতে নারাজ এই ইউপি সদস্য।

বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দুর্জয় বিশ্বাস জানান, এ ধরনের অভিযোগের সংশ্লিষ্টতা পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।