ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
স্বামীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত খালেদা জিয়া জনজোয়ারে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় পাকিস্তানের স্পিকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জনতার ঢল সংসদ ভবনের পথে খালেদা জিয়ার মরদেহ কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক
কক্সবাজারে পর্যটন:

অবহেলার বোঝা নামিয়ে টেকসই ভবিষ্যতের ডাক চায় সিসিএডি

আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (UNWTO) ঘোষিত এবারের প্রতিপাদ্য, “পর্যটন ও টেকসই রূপান্তর।” এই তাৎপর্যপূর্ণ দিনে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের ঠিকানা কক্সবাজারে যেমন অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি ভয়াবহ সংকটও ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

কক্সবাজার কমিউনিটি অ্যালায়েন্স (সিসিএডি) এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রতি বছর প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ পর্যটক সমুদ্রসৈকতে ভিড় জমালেও মৌলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আর্থিক সংকটে লাইফগার্ড কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম, যেখানে প্রতিদিন হাজারো মানুষ সাগরে নেমে জীবন ঝুঁকিতে ফেলেন। এর সঙ্গে মাদক, ছিনতাই আর হয়রানির মতো অপরাধ যোগ হয়ে পুরো পরিবেশকে অস্থির করে তুলছে, ক্ষুণ্ণ করছে দেশের ভাবমূর্তিও।

সংস্থাটি বলছে, সমুদ্রসৈকতের প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ বালিয়াড়ি বছর বছর বিলীন হয়ে যাচ্ছে দখলদারদের কারণে। রাজনৈতিক প্রভাব আর ব্যক্তিস্বার্থের কাছে পরিবেশ সুরক্ষা বারবার পরাজিত হচ্ছে। অপরিকল্পিত নগরায়ন পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। নীল অর্থনীতি নিয়ে নানা পরিকল্পনা থাকলেও স্থানীয়দের অংশগ্রহণ নগণ্য। লবণচাষীরা ন্যায্যমূল্য পান না, কৃষিপণ্য হিসেবেও তাদের স্বীকৃতি নেই।

তাদের মতে, স্থানীয় উন্নয়নের পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীর চাপ, পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার অভাবও।

বিবৃতিতে কক্সবাজারকে শুধু ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে নয়, বরং নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীল অর্থনীতির বিশ্বমানের মডেল শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারের প্রতি জাতীয় অঙ্গীকারের আহ্বান জানানো হয়েছে।

সিসিএডি বলেছে, “প্রকৃতির প্রতি সম্মান, মানুষের প্রতি মর্যাদা এবং উন্নয়নের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে কক্সবাজারকে জাতীয় গর্বের প্রতীকে রূপান্তর করাই এখন সময়ের দাবি।”

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

কক্সবাজারে পর্যটন:

অবহেলার বোঝা নামিয়ে টেকসই ভবিষ্যতের ডাক চায় সিসিএডি

আপডেট সময় : ০২:৩৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (UNWTO) ঘোষিত এবারের প্রতিপাদ্য, “পর্যটন ও টেকসই রূপান্তর।” এই তাৎপর্যপূর্ণ দিনে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের ঠিকানা কক্সবাজারে যেমন অপরিসীম সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি ভয়াবহ সংকটও ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

কক্সবাজার কমিউনিটি অ্যালায়েন্স (সিসিএডি) এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রতি বছর প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ পর্যটক সমুদ্রসৈকতে ভিড় জমালেও মৌলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আর্থিক সংকটে লাইফগার্ড কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম, যেখানে প্রতিদিন হাজারো মানুষ সাগরে নেমে জীবন ঝুঁকিতে ফেলেন। এর সঙ্গে মাদক, ছিনতাই আর হয়রানির মতো অপরাধ যোগ হয়ে পুরো পরিবেশকে অস্থির করে তুলছে, ক্ষুণ্ণ করছে দেশের ভাবমূর্তিও।

সংস্থাটি বলছে, সমুদ্রসৈকতের প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ বালিয়াড়ি বছর বছর বিলীন হয়ে যাচ্ছে দখলদারদের কারণে। রাজনৈতিক প্রভাব আর ব্যক্তিস্বার্থের কাছে পরিবেশ সুরক্ষা বারবার পরাজিত হচ্ছে। অপরিকল্পিত নগরায়ন পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। নীল অর্থনীতি নিয়ে নানা পরিকল্পনা থাকলেও স্থানীয়দের অংশগ্রহণ নগণ্য। লবণচাষীরা ন্যায্যমূল্য পান না, কৃষিপণ্য হিসেবেও তাদের স্বীকৃতি নেই।

তাদের মতে, স্থানীয় উন্নয়নের পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীর চাপ, পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার অভাবও।

বিবৃতিতে কক্সবাজারকে শুধু ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে নয়, বরং নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীল অর্থনীতির বিশ্বমানের মডেল শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারের প্রতি জাতীয় অঙ্গীকারের আহ্বান জানানো হয়েছে।

সিসিএডি বলেছে, “প্রকৃতির প্রতি সম্মান, মানুষের প্রতি মর্যাদা এবং উন্নয়নের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে কক্সবাজারকে জাতীয় গর্বের প্রতীকে রূপান্তর করাই এখন সময়ের দাবি।”