ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সেন্টমার্টিনে নৌবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ আগামীকাল জুলাই সনদের গ্রহণযোগ্য খসড়া সব দলের কাছে তুলে দেওয়া হবে: আলী রীয়াজ অধ্যক্ষ রিয়াদ হায়দারের ভাই মাহবুবের মৃত্যু ডাকসু নির্বাচন: যে পরিকল্পনায় এগোচ্ছে ছাত্রসংগঠনগুলো, প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় যাঁরা পৌরসভার দেয়া টমটমের লাইসেন্স বাতিল না স্থগিত করা হয়েছে? চকরিয়ায় ১০ মা’দ’কসেবীর কারাদন্ড কক্সবাজার জেলা বিএনপি’র বিশেষ বিজ্ঞপ্তি- কুতুবদিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ২৬ হাজার টাকা জরিমানা হ্যাশট্যাগ থেকে হিউম্যান চেইন: বাংলাদেশের ছাত্রদের ডিজিটাল জাগরণ “প্লে ফর পিস” স্লোগানে বিচ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ সম্পন্ন গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে: প্রধান উপদেষ্টা গহীন পাহাড়ের আস্তানা থেকে গ্রেনেডসহ বিপুল অস্ত্র নিয়ে ডাকাত শফি আটক হাসিনা যে অপরাধ করেছে তা হানাদার বাহিনীর চেয়েও জঘন্য বিয়ে করে সংসার করব—এমন মানুষ এখনো পাইনি ‘ডাকাত শাহীনের’ সহযোগী আবছার অস্ত্র-গোলাবারুদসহ আটক

মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প, সক্রিয় শালা-দুলাভাইয়ের ‘ইয়াবা’ নেটওয়ার্ক

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের পুরাতন রাজধানী রেঙ্গুনে (বর্তমানে ইয়াঙ্গুন নামে পরিচিত) বাস করেন রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ আবছার।

সেই মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পর্যন্ত প্রযুক্তির সহায়তায় অবৈধ মাদক ইয়াবার রমরমা বাণিজ্যের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করার তথ্য মিলেছে দুর্ধর্ষ এই মাদক কারবারির বিরুদ্ধে।

ওপার থেকে সক্রিয় নেটওয়ার্কটির এপার নিয়ন্ত্রণ করেন আবছারের আপন বোন জামাই মোহাম্মদ ওসমান, যার অধীনে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ জন মাদক কারবারিদের একটি চক্র।

ওসমান পালংখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড’স্থ ধামনখালী এলাকার মৃত অলি আহমেদের পুত্র।

পুলিশের তথ্যানুযায়ী, ওসমান মাদক প্রতিরোধ আইনে দায়েরকৃত একাধিক মামলা’র আসামী।

২০২১ সালে থাইংখালী’র ফুটবল মাঠ এলাকা থেকে দশ হাজার ইয়াবা সহ ওসমান’কে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এছাড়াও ২০২৩ সালে বালুখালী এলাকায় ৫০ হাজার ইয়াবা সহ দুই নারী’কে বিজিবি গ্রেফতার করলে সে ঘটনাতেও ওসমানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে।

সাম্প্রতিক সময়ে মাদক পাচারের রুট হিসেবে কুখ্যাতি পাওয়া সীমান্তবর্তী গ্রাম ধামনখালীতে ইয়াবা লেনদেনের সংবাদ প্রচার পায় গণমাধ্যমে, এরপরই প্রকাশ্যে আসে শালা-দুলাভাইয়ের কীর্তিকলাপ।

প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষিত একটি ভিডিওর তথ্য বলছে, আবছারের সাথে নিয়মিতই ইয়াবা লেনদেন করে থাকেন ওসমান।

ওসমানের মধ্যস্থতায় তার অধীনস্থ মাদকবহনকারীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা মজুদের পর ছড়িয়ে দেয় দেশের অন্যান্য স্থানে।

আশ্রয় শিবিরের ১নং ক্যাম্পে বাস করেন আবছারের পিতা ফজল আহমেদ সহ তার পরিবার৷ ঐ ক্যাম্পের একটি সূত্র ব্যবহার করে আবছারের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেও অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো উত্তর মেলেনি।

তবে কথা বলেছেন ওসমান। তিনি প্রতিবেদক’কে দাবী করেন, ‘আমি কখনোই ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত ছিলাম না, আমার বিরুদ্ধে এলাকায় কিছু শত্রু অপপ্রচারে সক্রিয়। তারা আমার মানহানির উদ্দেশ্যে এধরণের তথ্য দিয়ে আপনাদের বিভ্রান্ত করছে।’

মাদক কারবারিদের দৌরাত্ম্য রুখতে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র কঠোর তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন ৬৪ বিজিবির ( উখিয়া ব্যাটেলিয়ন) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

সেন্টমার্টিনে নৌবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ

This will close in 6 seconds

মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প, সক্রিয় শালা-দুলাভাইয়ের ‘ইয়াবা’ নেটওয়ার্ক

আপডেট সময় : ০২:০০:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের পুরাতন রাজধানী রেঙ্গুনে (বর্তমানে ইয়াঙ্গুন নামে পরিচিত) বাস করেন রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ আবছার।

সেই মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পর্যন্ত প্রযুক্তির সহায়তায় অবৈধ মাদক ইয়াবার রমরমা বাণিজ্যের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করার তথ্য মিলেছে দুর্ধর্ষ এই মাদক কারবারির বিরুদ্ধে।

ওপার থেকে সক্রিয় নেটওয়ার্কটির এপার নিয়ন্ত্রণ করেন আবছারের আপন বোন জামাই মোহাম্মদ ওসমান, যার অধীনে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ জন মাদক কারবারিদের একটি চক্র।

ওসমান পালংখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড’স্থ ধামনখালী এলাকার মৃত অলি আহমেদের পুত্র।

পুলিশের তথ্যানুযায়ী, ওসমান মাদক প্রতিরোধ আইনে দায়েরকৃত একাধিক মামলা’র আসামী।

২০২১ সালে থাইংখালী’র ফুটবল মাঠ এলাকা থেকে দশ হাজার ইয়াবা সহ ওসমান’কে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এছাড়াও ২০২৩ সালে বালুখালী এলাকায় ৫০ হাজার ইয়াবা সহ দুই নারী’কে বিজিবি গ্রেফতার করলে সে ঘটনাতেও ওসমানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে।

সাম্প্রতিক সময়ে মাদক পাচারের রুট হিসেবে কুখ্যাতি পাওয়া সীমান্তবর্তী গ্রাম ধামনখালীতে ইয়াবা লেনদেনের সংবাদ প্রচার পায় গণমাধ্যমে, এরপরই প্রকাশ্যে আসে শালা-দুলাভাইয়ের কীর্তিকলাপ।

প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষিত একটি ভিডিওর তথ্য বলছে, আবছারের সাথে নিয়মিতই ইয়াবা লেনদেন করে থাকেন ওসমান।

ওসমানের মধ্যস্থতায় তার অধীনস্থ মাদকবহনকারীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা মজুদের পর ছড়িয়ে দেয় দেশের অন্যান্য স্থানে।

আশ্রয় শিবিরের ১নং ক্যাম্পে বাস করেন আবছারের পিতা ফজল আহমেদ সহ তার পরিবার৷ ঐ ক্যাম্পের একটি সূত্র ব্যবহার করে আবছারের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেও অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো উত্তর মেলেনি।

তবে কথা বলেছেন ওসমান। তিনি প্রতিবেদক’কে দাবী করেন, ‘আমি কখনোই ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত ছিলাম না, আমার বিরুদ্ধে এলাকায় কিছু শত্রু অপপ্রচারে সক্রিয়। তারা আমার মানহানির উদ্দেশ্যে এধরণের তথ্য দিয়ে আপনাদের বিভ্রান্ত করছে।’

মাদক কারবারিদের দৌরাত্ম্য রুখতে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র কঠোর তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন ৬৪ বিজিবির ( উখিয়া ব্যাটেলিয়ন) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।