ঢাকা ০৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মৌসুমি বায়ুর বিস্তার: বৃষ্টি থাকবে ‘ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল: হচ্ছে সরাসরি সম্প্রচার পরিত্যক্ত পুকুরে মিললো বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুর লাশ হাই কোর্টের রায় বাতিল, এক যুগ পর নিবন্ধন ফিরে পাচ্ছে জামায়াত প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল পিএসজি নাফ নদে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ কিশোর ফিরলো লাশ হয়ে ছি’নতা’ইকারীর ধা’ক্কা’য় মায়ের সামনে ছেলের প্রা’ণ গেলো সড়কে রামুতে অপারেশন ডেভিল হান্টে ২ আওয়ামীলীগ নেতা আটক নাফ নদে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ কিশোর ফিরলো লাশ হয়ে রেফারিজ প্রশিক্ষণ কোর্সে উত্তীর্ণ কুতুবদিয়ার নিহাল মহেশখালীতে রশিদ হ’ত্যা: আসামিদের পাল্টা মামলায় হয়রানির শিকার বাদীর পরিবার চকরিয়ায় পানিতে ডুবে ৭ বছর বয়সী রাফির মৃত্যু বৈরী আবহাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সেন্টমার্টিন: খাদ্য সংকট সি-ট্রাকে নেই ডাস্টবিন: যাত্রীরা যত্রতত্র ফেলছে প্লাস্টিক বর্জ্য

প্রবাসী আয়ে রেকর্ড, ডিসেম্বরে এল ২৬৪ কোটি ডলার

বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই আয় এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সাম্প্রতিক সময়ে দেশে প্রবাসী আয়ের জোরালো প্রবাহ শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এক মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এল। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

দেশে এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাইয়ে। সেই মাসে ২৫৯ কোটি ডলার আয় এসেছিল।

গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রতি মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। তবে এবার নতুন রেকর্ড করে ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ফলে গত মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

প্রবাসী আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি এমন সময়ে এল, যখন দেশের বাজারে ডলার সরবরাহে ঘাটতি অব্যাহত আছে। বৈদেশিক মুদ্রার এই ঘাটতি মোকাবিলায় প্রবাসী আয় বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন।

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ জোরালো হতে শুরু করে। সেই ধারাবাহিকতায় নভেম্বরে প্রবাসী আয় আসে ২২০ কোটি ডলার। গত বছরের নভেম্বরে দেশে ১৯৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। সেই হিসাবে নভেম্বরে প্রবাসী আয় বাড়ে প্রায় ১৪ শতাংশ। এ ছাড়া গত অক্টোবরে দেশে ২৩৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। আর গত সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ডলার ও আগস্টে ২২২ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে আসে।

প্রবাসী আয় হলো দেশে ডলার জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। কারণ, এই আয়ের বিপরীতে কোনো বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় না অথবা কোনো দায়ও পরিশোধ করতে হয় না। রপ্তানি আয়ের বিপরীতে দেশে ডলার এলেও তার জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে আবার বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয়। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতেও ডলারের প্রয়োজন হয়। ফলে প্রবাসী আয় বাড়লে দেশে ডলারের মজুতও দ্রুত বাড়ে।

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

প্রবাসী আয়ে রেকর্ড, ডিসেম্বরে এল ২৬৪ কোটি ডলার

আপডেট সময় : ০১:৪১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই আয় এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সাম্প্রতিক সময়ে দেশে প্রবাসী আয়ের জোরালো প্রবাহ শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এক মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এল। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

দেশে এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাইয়ে। সেই মাসে ২৫৯ কোটি ডলার আয় এসেছিল।

গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রতি মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। তবে এবার নতুন রেকর্ড করে ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ফলে গত মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

প্রবাসী আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি এমন সময়ে এল, যখন দেশের বাজারে ডলার সরবরাহে ঘাটতি অব্যাহত আছে। বৈদেশিক মুদ্রার এই ঘাটতি মোকাবিলায় প্রবাসী আয় বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন।

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ জোরালো হতে শুরু করে। সেই ধারাবাহিকতায় নভেম্বরে প্রবাসী আয় আসে ২২০ কোটি ডলার। গত বছরের নভেম্বরে দেশে ১৯৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। সেই হিসাবে নভেম্বরে প্রবাসী আয় বাড়ে প্রায় ১৪ শতাংশ। এ ছাড়া গত অক্টোবরে দেশে ২৩৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। আর গত সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ডলার ও আগস্টে ২২২ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে আসে।

প্রবাসী আয় হলো দেশে ডলার জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। কারণ, এই আয়ের বিপরীতে কোনো বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় না অথবা কোনো দায়ও পরিশোধ করতে হয় না। রপ্তানি আয়ের বিপরীতে দেশে ডলার এলেও তার জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে আবার বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয়। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতেও ডলারের প্রয়োজন হয়। ফলে প্রবাসী আয় বাড়লে দেশে ডলারের মজুতও দ্রুত বাড়ে।