কুতুবদিয়া(কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় মোখা’র ফলে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় হঠাৎ বেড়েছে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি।
রোববার সকাল থেকে গুঁটি গুঁটি বৃষ্টি হলেও বেলা ১২ টার পর থেকে উপজেলায় বৃষ্টি ও বাতাসের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলার ৯৩ টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। কৈয়ারবিল, বড়ঘোপ, দক্ষিণ ধূরুং লেমশীখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় এখানে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। এখনও পাইনি শুকনো খাবার।
কৈয়ারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া শামশুল আলম(৭৫) জানান, গতকাল সন্ধা ৭ টায় আশ্রয় নিয়েছি, এখনও পাইনি শুকনো খাবার।
কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে হদম্মহ রাণী দাশ জানান, আলী আকবর ডেইল কুমিরা ঘোনা থেকে গতকাল রাতে আশ্রয় নিয়েছে বাচ্চারা খাবারের জন্য কান্নাকাটি করতেছে, তাড়াহুড়ো করে চলে এাসেছি, খাবার নিয়ে আসতে পারিনি। তাদেরকে খাবার দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ার জহিরুল ইসলাম জানান, হঠাৎ বাতাস ও বৃষ্টি বেড়ে যাওয়া আতঙ্কের বেড়েছে। পরিবারের সব সদস্য আশ্রয় কেন্দ্রে চলে গেছে বলে তিনি জানান।
দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, অনেক লোক আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে তাদেরকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়নি বলে জানিয়ে, তিনি বলেন এখন মাত্র শুকনো খাবারের চিঠি উপজেলা প্রশাসন থেকে পেয়েছি, খাবার পেলেই বিতরণ করা হবে বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবারের ব্যবস্থা আছে বলে জানান। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে খাবার না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, রাত তিনটার দিকে বেশ কিছু মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে এসেছে। তারা হয়তবা পাইনি। তাদেরকও শুকনো খাবার পৌছে যাবে বলে জানান।