নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলে বেড়েছে জোয়ারের পানি।এতে মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপকূলের বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মো: সালাহউদ্দিন বলেন, “টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের প্রকোপে কুতুবদিয়ায় তিনটি স্থানে বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। যেখানে বেশ কিছু ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়ে গেছে।”
“পাশাপাশি মহেশখালীর মাতারবাড়িসহ বেশকিছু এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকেছে। তবে সে পানিটি আবার ভাটার সময় নেমে যাচ্ছে। এছাড়া টেকনাফ সেন্টমার্টিনেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।”
ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, কুতুবদিয়া ও মহেশখালীতে ৫ টন চাল ও অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
তবে সেন্টমার্টিনের বিষয়টি আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ার আগেই ৭৬ হাজার কেজি চাল ও ১০০ পরিবারের জন্য ফুড প্যাকেজ পাঠানো হয়েছে।”
এছাড়া ঝড় বৃষ্টি কমে সমুদ্র শান্ত হলে সেন্টমার্টিনবাসীর জন্য আরও কিছু খাদ্য সহায়তা পাঠানোর কথাও জানান তিনি।
এই দুর্যোগে জেলায় দুইজন মৃত্যুর খবরের বিষয়ে তিনি বলেন, “একজনের মৃত্যু নিশ্চিত, আরেকজনেরটা অনিশ্চিত। আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। মৃত্যুর বিষয়ে সঠিক তথ্য পেলে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
উপকূলের বেড়িবাঁধগুলো টেকসইকরণের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, কুতুবদিয়া মহেশখালী ও সমুদ্র সৈকত লাগোয়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে দ্রুত কাজ করা হবে। এছাড়া কুতুবদিয়া মহেশখালীর যেসব বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে সেগুলো জরুরী ভিত্তিতে পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এই দূর্যোগে উপকূলের মানুষদের সতর্ক করতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে মাইকিং চালু করেছে কক্সবাজার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও জেলা প্রশাসন।দুর্যোগ মোকাবেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৬ টি সহ কক্সবাজার জেলায় মোট ৭১ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।