ঢাকা ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক খালেদার সেবাসঙ্গী ফাতেমা খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, একদিনের সাধারণ ছুটি

পেকুয়ায় ভাইয়ের হামলায় আহত হয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের মৃত্যু

 

কক্সবাজারের পেকুয়ায় জমি বিরোধের জেরে ভাইদের হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

পেকুয়া থানার ওসি মো. সিরাজুল মোস্তফা জানিয়েছেন, শনিবার মধ্যরাতে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়েছে।

নিহত মুহাম্মদ মামুন (৫৪) পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ষাটদুনিয়া পাড়ার মৃত আমির হামজার ছেলে। তিনি সেনা বাহিনীতে সার্জেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে সিরাজুল মোস্তফা বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মুহাম্মদ মামুনের সাথে তার ছোট ভাই মোজাম্মেল হক ও মমতাজুল ইসলামের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত কিছু পরিমান জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বিরোধীয় জমির মালিকানা নিষ্পত্তির জন্য সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করেন। এক পর্যায়ে মামুনের সঙ্গে অপর দুই ভাইয়ের বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। পরে তা হাতাহাতিতে রূপ নিলে দুই ভাইয়ের মারধরে তিনি ( মামুন ) আহত হন। এতে আহত অবস্থায় তিনি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ঘটনাস্থলের রাস্তার পাশে পড়েছিলেন।

“ খবর পেয়ে বিকালে বান্দরবানে অবস্থানকারি স্ত্রী ও সন্তান এলাকায় পৌঁছে মুহাম্মদ মামুনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে স্বজনরা তাকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলে স্বজনরা তাকে বাড়ীতে নিয়ে আসেন। “

ওসি বলেন, “ রাতে বাড়ীতে মুহাম্মদ মামুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা আবারও পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হয়। “

নিহতের স্ত্রী পাপিয়া সরওয়ার আরভি বলেন, মেয়ের পড়ালেখার সুবাদে স্বামীসহ সন্তানদের নিয়ে বান্দরবানে বসবাস করেন। ঘটনার দিন সকালে জমি বিরোধের জেরে তার স্বামীকে ভাইয়েরা মিলে মারধর করে ফেলে রাখার খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে বিকালে এলাকায় পৌঁছে রাস্তার পাশে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “ আমার দেবর মমতাজুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত কিছু পরিমান জমি জবরদখল করে রেখেছিল। তারা ভূমি অফিসে জমির বাৎসরিক খাজনাও পরিশোধ করতো না। “

ওসি সিরাজুল মোস্তফা জানান, ঘটনায় লিখিত এজাহার পেলে তদন্ত করে মামলা নথিভূক্ত করা হবে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে

This will close in 6 seconds

পেকুয়ায় ভাইয়ের হামলায় আহত হয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৯:১৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

 

কক্সবাজারের পেকুয়ায় জমি বিরোধের জেরে ভাইদের হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

পেকুয়া থানার ওসি মো. সিরাজুল মোস্তফা জানিয়েছেন, শনিবার মধ্যরাতে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়েছে।

নিহত মুহাম্মদ মামুন (৫৪) পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ষাটদুনিয়া পাড়ার মৃত আমির হামজার ছেলে। তিনি সেনা বাহিনীতে সার্জেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে সিরাজুল মোস্তফা বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মুহাম্মদ মামুনের সাথে তার ছোট ভাই মোজাম্মেল হক ও মমতাজুল ইসলামের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত কিছু পরিমান জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বিরোধীয় জমির মালিকানা নিষ্পত্তির জন্য সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করেন। এক পর্যায়ে মামুনের সঙ্গে অপর দুই ভাইয়ের বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। পরে তা হাতাহাতিতে রূপ নিলে দুই ভাইয়ের মারধরে তিনি ( মামুন ) আহত হন। এতে আহত অবস্থায় তিনি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ঘটনাস্থলের রাস্তার পাশে পড়েছিলেন।

“ খবর পেয়ে বিকালে বান্দরবানে অবস্থানকারি স্ত্রী ও সন্তান এলাকায় পৌঁছে মুহাম্মদ মামুনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে স্বজনরা তাকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলে স্বজনরা তাকে বাড়ীতে নিয়ে আসেন। “

ওসি বলেন, “ রাতে বাড়ীতে মুহাম্মদ মামুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা আবারও পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হয়। “

নিহতের স্ত্রী পাপিয়া সরওয়ার আরভি বলেন, মেয়ের পড়ালেখার সুবাদে স্বামীসহ সন্তানদের নিয়ে বান্দরবানে বসবাস করেন। ঘটনার দিন সকালে জমি বিরোধের জেরে তার স্বামীকে ভাইয়েরা মিলে মারধর করে ফেলে রাখার খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে বিকালে এলাকায় পৌঁছে রাস্তার পাশে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “ আমার দেবর মমতাজুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত কিছু পরিমান জমি জবরদখল করে রেখেছিল। তারা ভূমি অফিসে জমির বাৎসরিক খাজনাও পরিশোধ করতো না। “

ওসি সিরাজুল মোস্তফা জানান, ঘটনায় লিখিত এজাহার পেলে তদন্ত করে মামলা নথিভূক্ত করা হবে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।