ঢাকা ০৭:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাবেক মন্ত্রী কামরুলের ১৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ মহেশখালীর গোরকঘাটায় পাওয়া যাবে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সব সেবা সংঘবদ্ধ ধর্ষণসহ ২৮ মামলার আসামী আশিক গ্রেফতার দেশে আওয়ামী লীগ নামে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ মহেশখালীতে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার: পরিবারের দাবি হত্যা শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ফাঁসির ৯ আসামিসহ সবাই খালাস বিজ্ঞাপনী সংস্থা কক্স এ্যাড ও ফাহিম এ্যাড এর মালিক আবছার,হারুন ও জাহেদ এর বিরুদ্ব্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ রমজানে পণ্য মূল্যের কোন ব্যত্যয় হবে না- বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা পাসপোর্টে থাকছে না পুলিশ ভেরিফিকেশন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিন কেন নয়: হাইকোর্টের রুল যুক্তরাজ্যের মানবাধিকারবিষয়ক রাষ্ট্রদূত ঘুরে দেখলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্প বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ করতে গভর্নরকে দুদকের চিঠি দেশে ক্যানসার চিকিৎসা এখনও অপ্রতুল শাবান মাসে নফল রোজা রাখবেন যেভাবে বিপিএলে যেমন খেলছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাংলাদেশ স্কোয়াডের ১৫ তারকা

নবজাতক মেয়েশিশুর কানে কি আজান দিতে হবে?

সন্তান জন্মের পর সন্তানের কানে আজান দেওয়া সুন্নত। নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার নাতি হাসানের কানে আজান দিয়েছেন বলে বর্ণিত হয়েছে। আবু রাফে (রা.) বলেন,

رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ أَذّنَ فِي أُذُنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ حِينَ وَلَدَتْهُ فَاطِمَةُ بِالصّلَاةِ.

আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হাসান বিন আলি (রা.) জন্মগ্রহণ করার পর তার কানে নামাজের আজানের মত আজান দিতে দেখেছি। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১০৫)।

বিখ্যাত হাদিস ব্যাখ্যাকার মোল্লা আলি কারি (রহ.) এ হাদিস উল্লেখ করে বলেছেন, এই হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে, নবজাতকের কানে আজান দেওয়া সুন্নত। (মিরকাতুল মাফাতিহ: ৮/৮১)

এ ছাড়া কিছু হাদিসে ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই আলেমরা নবজাতকের ডান কানে আজান দেওয়ার পাশাপাশি বাম কানে ইকামত দেওয়াও মুস্তাহাব বলেছেন।

আজান-ইকামতের ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ে সন্তানের মধ্যে পার্থক্য নেই। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই জন্মের পর কানে আজান-ইকামত দেওয়া সুন্নত। অনেকে ছেলে হলে কানে আজান-ইকামত দেয়, মেয়ে হলে দেয় না বা শুধু আজান দেয় ইকামত দেয় না। এটা ঠিক নয়। ছেলে ও মেয়ে সন্তান উভয়ের ক্ষেত্রেই ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিতে হবে।

নবজাতকের কানে নামাজের আজানের মতোই আজান দিতে হবে। আজানের সব বাক্য উচ্চারণ করতে হবে। হাইয়া আলাস সালাহ ও হাইয়া আলাল ফালাহ বলার সময় নামাজের আজানের মতোই চেহারা ডানে-বামে ঘোরানো উত্তম।

পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও নবজাতক শিশুর কানে আজান দিতে পারেন। এই আজানের মাধ্যমে মানুষকে নামাজের দিকে ডাকা হয় না, তাই অনেক বেশি উচ্চৈস্বরে এ আজান দেওয়ার প্রয়োজন নেই। নারীরা নিচু স্বরে শিশুর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ওই নারীর হায়েজ-নেফাস থেকে পবিত্র থাকা জরুরী।

সন্তান জন্মগ্রহণ করার পর মসজিদে আজান হলেও নবজাতকের কানে পৃথকভাবে আজান দেওয়া সুন্নত। কারণ এটি একটি স্বতন্ত্র সুন্নত, মসজিদের আজানের মাধ্যমে এ সুন্নত আদায় হবে না।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কামরুলের ১৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

This will close in 6 seconds

নবজাতক মেয়েশিশুর কানে কি আজান দিতে হবে?

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সন্তান জন্মের পর সন্তানের কানে আজান দেওয়া সুন্নত। নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার নাতি হাসানের কানে আজান দিয়েছেন বলে বর্ণিত হয়েছে। আবু রাফে (রা.) বলেন,

رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ أَذّنَ فِي أُذُنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ حِينَ وَلَدَتْهُ فَاطِمَةُ بِالصّلَاةِ.

আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হাসান বিন আলি (রা.) জন্মগ্রহণ করার পর তার কানে নামাজের আজানের মত আজান দিতে দেখেছি। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১০৫)।

বিখ্যাত হাদিস ব্যাখ্যাকার মোল্লা আলি কারি (রহ.) এ হাদিস উল্লেখ করে বলেছেন, এই হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে, নবজাতকের কানে আজান দেওয়া সুন্নত। (মিরকাতুল মাফাতিহ: ৮/৮১)

এ ছাড়া কিছু হাদিসে ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই আলেমরা নবজাতকের ডান কানে আজান দেওয়ার পাশাপাশি বাম কানে ইকামত দেওয়াও মুস্তাহাব বলেছেন।

আজান-ইকামতের ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ে সন্তানের মধ্যে পার্থক্য নেই। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই জন্মের পর কানে আজান-ইকামত দেওয়া সুন্নত। অনেকে ছেলে হলে কানে আজান-ইকামত দেয়, মেয়ে হলে দেয় না বা শুধু আজান দেয় ইকামত দেয় না। এটা ঠিক নয়। ছেলে ও মেয়ে সন্তান উভয়ের ক্ষেত্রেই ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিতে হবে।

নবজাতকের কানে নামাজের আজানের মতোই আজান দিতে হবে। আজানের সব বাক্য উচ্চারণ করতে হবে। হাইয়া আলাস সালাহ ও হাইয়া আলাল ফালাহ বলার সময় নামাজের আজানের মতোই চেহারা ডানে-বামে ঘোরানো উত্তম।

পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও নবজাতক শিশুর কানে আজান দিতে পারেন। এই আজানের মাধ্যমে মানুষকে নামাজের দিকে ডাকা হয় না, তাই অনেক বেশি উচ্চৈস্বরে এ আজান দেওয়ার প্রয়োজন নেই। নারীরা নিচু স্বরে শিশুর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ওই নারীর হায়েজ-নেফাস থেকে পবিত্র থাকা জরুরী।

সন্তান জন্মগ্রহণ করার পর মসজিদে আজান হলেও নবজাতকের কানে পৃথকভাবে আজান দেওয়া সুন্নত। কারণ এটি একটি স্বতন্ত্র সুন্নত, মসজিদের আজানের মাধ্যমে এ সুন্নত আদায় হবে না।