সাইফুল ইসলাম সাইফ :
কাফনের কাপড় পরে অবস্থান কর্মসচী। চকরিয়ার পশ্চিম বড়ভেওলায় ২৭ টি পরিবার উচ্ছেদ থেকে রক্ষা পেতে নিজেদের পাড়ায় এই অভিনব কর্মসূচী বলে জানিয়েছেন তারা।
শনিবার বিকেলে উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউপির টেকছিরা পাড়ার স্থানীয়রা এ কর্মসূচি পালন করেন।
চকরিয়া ফাঁসিয়াখালীর সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী গং তাদের যুগযুগ ধরে বসবাস করে আসা বসতভিটা গুলো চিংড়ী চাষের জন্য ইজারা নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় উচ্ছেদ করতে চায় বলে অভিযোগ এই পরিবারগুলোর।
আতঙ্কে থাকা পরিবারগুলো জানান,দীর্ঘ ৫০ বছর যাবৎ তারা বসবাস করে আসছে। এবং এ বসতভিটা তাদের শেষ সম্বল।
তারা বাপদাদার স্মৃতি বিজড়িত বসতভিটা ছেড়ে কোথাও যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
১৯৫৫ সালে চকরিয়া ইলিশিয়ার জমিদার খাঁন সাহেব মকবুল আলী চৌধুরী’র নাতী মকবুল কাদের চৌধুরী ২০টি গৃহহীন পরিবারকে তাদের মালিকানাধীম জমিতে আশ্রয় দেয়। আশ্রিতদের বংশধর বৃদ্ধি পেয়ে ২৭ টি হয়েছে।
খাঁন সাহেব মকবুলুল কাদের চৌধুরী’র ২য় সন্তান ক্যাব ইয়্যূৎ গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি চৌধুরী খালেদ নেওয়াজ মো:রিয়াদ জানান,পূর্বপুরুষ অসহায় মানুষগুলোকে আশ্রয় দিয়েছে।কিছু অসাধু ব্যক্তি তাদের উচ্ছেদ করতে চায়।জমিগুলো তাদের নামজারীতে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে এসব জমির ইজারাদার গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী ও মো :জাহেদ জানান,মানুষগুলো দাফনের কাপড় পড়লেও সমস্যা নাই জায়গা পেলে চলবে। কারণ সরকারি নিয়ম মেনে তারা লীজ নিয়েছে বলে জানান।
এদিকে মানবিক কারণে বিষয়টি বিবেচনায় নিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ উর্ধতন কতৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান,উচ্ছেদ আতঙ্কে থাকা মানুষগুলো।