সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার জান্তা দু’পক্ষের সাথেই বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রাখতে হচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “দেশটা হলো মিয়ানমার। বর্ডারটা দখল করে আছে আরাকান আর্মি। ভবিষ্যতে কার হবে সেটার অফিসিয়াল কিছুও অজানা”।
“আর সীমান্ত এখন যেভাবে আছে পুরা নিরাপদ, কোনো সমস্যা নাই” বলেন উপদেষ্টা।
শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ায় বিজিবির নতুন একটি ব্যাটালিয়ন এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফকালে একথা বলেন।
উখিয়া ব্যাটলিয়ন, স্টেশন সদর দপ্তর, গার্ড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, কে- নাইন ইউনিট এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বিজিবি’র কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন এর প্রশিক্ষণ মাঠে এই আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলন করেন তিনি।
পতাকা উত্তোলনের পর উখিয়া ব্যাটালিয়ন, গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং বিজিবি ডগ স্কোয়াড কে-৯ ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত একটি সুসজ্জিতপ্যারেড প্রদর্শন করেন।
পরে বিজিবির মহাপরিচালককে সাথে নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বিজিবির নতুন উখিয়া ব্যাটালিয়ন এর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, এই এলাকা দিয়ে বেশিরভাগ মাদক চলে আসে। এছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যাটা বড় ধরনের হয়ে গেছে। এজন্য এ ব্যাটালিয়নটা খুবই দরকার ছিলো। ভবিষ্যতে যদি আরো ব্যাটালিয়ন দরকার হয় চেষ্টা করবো তাও করার। এ এলাকাটা যেনো শান্তিপূর্ণ ভাবে থাকে, বর্ডারটা যেনো শান্তিতে থাকে।
প্রায় ৬০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা নতুন করে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে মানবিক একটা কারনও থাকে আবার বিদেশিদের একটা প্রেশারও থাকে। এজন্য তাদের সাহায্য সহযোগিতাও বাড়াতে বলেছি।
“রোহিঙ্গারা অনেকদিন যাবৎ ক্যাম্পে আটকা। এজন্য তারা বের হয়ে আসতে চাচ্ছে এবং অন্যান্য দেশ কিন্তু প্রমিজ করছে যে তাদের নেবে। যে পরিমাণ নিচ্ছে তার সংখ্যা খুবই কম। বিভিন্ন দেশের এম্বাসেডররা দেখা করলে তাদের বিষয়টি নিয়ে আমরা বলি” বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সাম্প্রতিক ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী হত্যা নিয়ে জানতে চাওয়া হয় উপদেষ্টার কাছে। তিনি বলেন, বিজিবি বিএসএফ এর উচ্চ পর্যায়ের সভায় সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়েছে এটি নিয়ে। তারপরও কিন্তু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এগুলো যেনো কমিয়ে আনা যায় আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি
একই ইস্যুতে বিজিবির মহাপরিচালক আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীও কথা বলেন ওইসময়। তিনি বলেন, বিএসএফের সাথে সভায় প্রাইরটি ওয়ান এজেন্ডা ছিলো এটি। আমরা জোরালো ও কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমাদের এদিক থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ হোক আর যাইহোক হত্যা কোনো চুড়ান্ত সমাধান হতে পারেনা। আর যদি এমন হয়, আমরা আরো কঠোর অবস্থানে যাবো। আর অবৈধ ভাবে যেনো আমাদের এদিক থেকে কেউ না যায় সেদিকেও সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।