কর অঞ্চল-৪, চট্টগ্রাম এর অধীনস্থ কক্সবাজার জেলার প্রস্তাবিত আয়কর ভবনের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গায় অবস্থিত জলাশয়ের পানি শুকিয়ে ফেলা হচ্ছে। পানি তোলার মেশিন দিয়ে রাতের আঁধারে তোলে ফেলা হচ্ছে সব পানি। এতে ওই এলাকায় কোন অগ্নি দুর্ঘটনা হলে ফায়ার সার্ভিস পানির সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন পরিবেশবাদীরা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা আটটার দিকে কক্সবাজার শহরের লাবণী মোড়ে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের সামনে অবস্থিত ওই জায়গায় সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এতে সামনে ফুটপাতে পানি পড়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে।
আয়কর ভবনের প্রস্তাবিত ওই জায়গার ভেতরে গিয়ে কথা হয় এক শ্রমিকের সাথে। তিনি বলেন, মাছ ধরার জন্য শুকিয়ে ফেলা হচ্ছে পানিগুলো। এছাড়া আর কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
এবিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক এইচ এম এরশাদ টিটিএন-কে বলেন, জলাশয় ভরাট বা শুকানো আইনত অপরাধ। তারা মাছ জাল দিয়ে ধরতে পারবে তবে পানি শুকাতে পারবে না। যদি কোন দুর্বৃত্ত পানি শুকিয়ে ফেলে তাহলে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।