ঢাকা ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বার্মিজ মার্কেট এলাকার বাসিন্দা বকুল আর নেই: জানাজা বৃহস্পতিবার ভালো কিছু শুরুর আশা পঁচিশের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে আসা পর্যটকদের স্বামীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত খালেদা জিয়া জনজোয়ারে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় পাকিস্তানের স্পিকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জনতার ঢল সংসদ ভবনের পথে খালেদা জিয়ার মরদেহ কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার

‘সমঝোতার’ সুজা নাকি ‘যদি-কিন্তু’তে নুরুল বশর?

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। দেশের অন্যতম এই বড় দলের প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে সারাদেশের মতো কক্সবাজারেও ছিলো বেশ আগ্রহ।

বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত কক্সবাজার জেলায় মহেশখালী-কুতুবদিয়া নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন কক্সবাজার-২ এ কোনো প্রার্থী দেয়নি দলটি।

তাই আসনটি নিয়ে ‘যদি-কিন্তু’র আলাপ চলছে সর্বত্র। কক্সবাজারের সবচেয়ে বেশি মেগা উন্নয়ন প্রকল্প ঘিরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই আসনটি।

মাঠের আলোচনা অনুযায়ী, সারাদেশে শরিকদের জন্য ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনের মধ্যেই রাখা হয়েছে কক্সবাজার-২ আসনটি। তাই এনসিপির সাথে কী সমঝোতার হিসেব চলছে? এমন আলাপও ঘুরছে।

সমঝোতার আলাপে যদি নবগঠিত এনসিপির সাথে বিএনপির জোট হয়ে যায়, তবে কী এই আসনটি তাদের ঘরে যাচ্ছে? এমন প্রশ্ন করা হয় এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ এক নেতাকে। সরাসরি উত্তর এড়িয়ে তিনি বলেন, “কক্সবাজার গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলা। এখানে তো আকর্ষণ থাকবেই। দেখা যাক।”

তাই ‘সমঝোতার’ হিসাবে আসনটি এনসিপিরি ঘরে গেলে এখান থেকে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশি আছেন এসএম সুজা উদ্দিন।

নতুন প্রজন্মের রাজনীতিতে দ্রুত পরিচিত হয়ে উঠা এস. এম. সুজা উদ্দিন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব।

মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের এই তরুণ রাজনীতিক ৫ আগস্টের পর থেকে দলীয় কর্মকাণ্ডে নিজের সক্রিয়তা, নেতৃত্বগুণ ও বাগ্মীতা দিয়ে দৃষ্টি কেড়েছেন স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে।

কক্সবাজার-২ আসনে তাকে ঘিরে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় সুজার কাছে।
তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সুজা উদ্দিন বলেন, “নিজ এলাকার মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি”

বিএনপির সাথে সমঝোতার বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে, তিনি কোনো উত্তর দেননি। তিনি বলেন, “রাজনীতি মানে নিজ মাটির প্রতি বিশাল দায়, এটি মানুষের সেবা করার সুযোগ। আমি চাই তরুণ প্রজন্মকে ইতিবাচক রাজনীতির পথে নিয়ে যেতে।”

কিন্তু এনসিপির সাথে সমঝোতা নাহলে- আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ফরিদ যদি পুনর্বিবেচনায় না আসেন, তবে কে পাবেন ধানের শীষ?

এক্ষেত্রে ‘যদি-কিন্তু’র হিসাবে কুতুবদিয়ার রাজনীতির পরিচিত মুখ এ.টি.এম. নুরুল বশর চৌধুরীর নাম আসছে। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় রাজনীতি, সামাজিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন তিনি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ যখন কক্সবাজার জেলা সভাপতি ছিলেন, তখন টানা দুই বারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নুরুল বশর।

সালাউদ্দিন আহমদ এর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত নুরুল বশর নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন কিন্তু হেরে গেছেন, এমন রেকর্ড নেই। কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের ৫ বারের চেয়ারম্যান তিনি। এমনকি দুইবার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান। ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। এটিম নুরুল বশর টিটিএনকে বলেন, “আমি দলের কর্মী, দলের সিদ্ধান্ত যেদিকে, আমি সেদিকে। নির্যাতিত ও কারাভোগ করা কর্মী আমি, দল যদি আমাকে নিয়ে চিন্তা করে, আমি প্রস্তুত।”
কুতুবদিয়ার ৭০ ভাগ ভোট বিএনপির দাবী করে নুরুল বশর।

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

‘সমঝোতার’ সুজা নাকি ‘যদি-কিন্তু’তে নুরুল বশর?

আপডেট সময় : ০২:১৪:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। দেশের অন্যতম এই বড় দলের প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে সারাদেশের মতো কক্সবাজারেও ছিলো বেশ আগ্রহ।

বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত কক্সবাজার জেলায় মহেশখালী-কুতুবদিয়া নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন কক্সবাজার-২ এ কোনো প্রার্থী দেয়নি দলটি।

তাই আসনটি নিয়ে ‘যদি-কিন্তু’র আলাপ চলছে সর্বত্র। কক্সবাজারের সবচেয়ে বেশি মেগা উন্নয়ন প্রকল্প ঘিরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই আসনটি।

মাঠের আলোচনা অনুযায়ী, সারাদেশে শরিকদের জন্য ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনের মধ্যেই রাখা হয়েছে কক্সবাজার-২ আসনটি। তাই এনসিপির সাথে কী সমঝোতার হিসেব চলছে? এমন আলাপও ঘুরছে।

সমঝোতার আলাপে যদি নবগঠিত এনসিপির সাথে বিএনপির জোট হয়ে যায়, তবে কী এই আসনটি তাদের ঘরে যাচ্ছে? এমন প্রশ্ন করা হয় এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ এক নেতাকে। সরাসরি উত্তর এড়িয়ে তিনি বলেন, “কক্সবাজার গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলা। এখানে তো আকর্ষণ থাকবেই। দেখা যাক।”

তাই ‘সমঝোতার’ হিসাবে আসনটি এনসিপিরি ঘরে গেলে এখান থেকে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশি আছেন এসএম সুজা উদ্দিন।

নতুন প্রজন্মের রাজনীতিতে দ্রুত পরিচিত হয়ে উঠা এস. এম. সুজা উদ্দিন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব।

মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের এই তরুণ রাজনীতিক ৫ আগস্টের পর থেকে দলীয় কর্মকাণ্ডে নিজের সক্রিয়তা, নেতৃত্বগুণ ও বাগ্মীতা দিয়ে দৃষ্টি কেড়েছেন স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে।

কক্সবাজার-২ আসনে তাকে ঘিরে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় সুজার কাছে।
তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সুজা উদ্দিন বলেন, “নিজ এলাকার মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি”

বিএনপির সাথে সমঝোতার বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে, তিনি কোনো উত্তর দেননি। তিনি বলেন, “রাজনীতি মানে নিজ মাটির প্রতি বিশাল দায়, এটি মানুষের সেবা করার সুযোগ। আমি চাই তরুণ প্রজন্মকে ইতিবাচক রাজনীতির পথে নিয়ে যেতে।”

কিন্তু এনসিপির সাথে সমঝোতা নাহলে- আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ফরিদ যদি পুনর্বিবেচনায় না আসেন, তবে কে পাবেন ধানের শীষ?

এক্ষেত্রে ‘যদি-কিন্তু’র হিসাবে কুতুবদিয়ার রাজনীতির পরিচিত মুখ এ.টি.এম. নুরুল বশর চৌধুরীর নাম আসছে। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় রাজনীতি, সামাজিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন তিনি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ যখন কক্সবাজার জেলা সভাপতি ছিলেন, তখন টানা দুই বারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নুরুল বশর।

সালাউদ্দিন আহমদ এর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত নুরুল বশর নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন কিন্তু হেরে গেছেন, এমন রেকর্ড নেই। কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের ৫ বারের চেয়ারম্যান তিনি। এমনকি দুইবার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান। ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। এটিম নুরুল বশর টিটিএনকে বলেন, “আমি দলের কর্মী, দলের সিদ্ধান্ত যেদিকে, আমি সেদিকে। নির্যাতিত ও কারাভোগ করা কর্মী আমি, দল যদি আমাকে নিয়ে চিন্তা করে, আমি প্রস্তুত।”
কুতুবদিয়ার ৭০ ভাগ ভোট বিএনপির দাবী করে নুরুল বশর।